বৈদূর্য্য সরকার
স্বরূপ
দুর্ধর্ষ গাণ্ডীবে দ্রৌপদীকামনা
শ্রীকৃষ্ণসুলভ
ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা বিজ্ঞ যুধিষ্ঠির
হস্তীমূর্খ ভীম,
ভীরু দুর্যোধন অসম্ভব কর্ণ বাকী
নাবালক...
সৃষ্টিশীল ব্যাসে আমাদের বাঁচা কী
ধারাবাহিক !
প্রেরণা বলতে সেই মহাভারত
কালীপ্রসন্নের
বীররস কাব্য, টানা
গদ্যে লিখে প্ররোচনা দিলেন
কোমল লিরিক বর্জন করতে... সেই থেকে
মহারণ্য ঘুরে খুঁজে ফেরা নিজের
চরিত্র ।
দুঃখ নদী
কাঠের ঘুণপোকারা কি জানতো – এই
টেবিলের
কাহিনী ধরে এগোলে কার নাম যেন
বুকের ভেতর পোড়ে,
অতীতের সুখে ভাদ্র আসে কোনো গল্পের
আসরে
মুক্তির বদলে আজ শরীরে বাসা বাঁধে
অসুখ,
গ্লানিময় এ জীবনে লেখা হয় ঘুষের
হিসেব ।
যা খুশি করার উপভোগে
অকারণ রাগ অভিমানের ওপর জেগেছে
আমিত্ব,
বেশী কথা বলা হয়ে গেলে অনাগত
ভবিষ্যতে
অফবিট প্রমাণ করতে গিয়ে হয়েছি
প্রান্তিক ।
অনেকরকম খিদে আর বয়স বাড়ার কথা -
সংগঠন দরকারি অযাচিত বাহবারা অসহ্য
না হলে
স্নেহময়ী এ আঁধারে কিছু দেওয়ার
কিছু নেওয়ার নেই ।
বাস্তবের সাথে বেশী স্বপ্ন মিশে
গেলে দুলে ওঠে চারপাশ
কাকে দিই ডাক, বাজার
চলতি হওয়ার দায় ছিল না –
অবেলায় ভাবি যে যার সাথে থাকুক ।
দুঃখ নামের নদী ভাসলে
সবাইকে শত্রু মনে হয় - তুমি সাথে
না থাকলে ।
এ সামান্য মায়া
সাধনে যেমন ঘটে
এ সামান্য উপহারে ভরে থাকে মন,
অক্লান্ত ঝোলায় পুড়ে রাখি
ব্যক্তিগত
সিগন্যাল না পাওয়া সুপারফাস্টের
পাশ দিয়ে কখনও
বয়ে যায় লোকাল জীবন ।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে এলে বিএসেনএল নাম
ফিরে আসে
বুকের মধ্যে যেমন জমে থাকে কবিতার
ঘাম,
আমরা যে সবাই আসলে বিভ্রান্ত বলে
ভেবেছি
আমাদের সবার শরীর ভাড়া নেয় পদাবলী
।
আসলে কিছুই নয় শুধুমাত্র ধূধূ - ধ্বংসকে সামনে নিয়ে
বসে আছে যারা চোখে ভবিষ্যৎ মেখে,
দারিদ্র দেখাতে নেই যে কারণে ঠিক
তেমনই
বিষণ্ণতা ঢাকি ঝকঝকে প্রোফাইল
পিকচারে ।
ইন্টারভিউ
মেদিনীপুর পার করে শালের আভাসে
স্টেশনের নাম
‘ভাদুতলা জঙ্গলমহল’ অবাক হয়েছি সমাপতনে ।
নিজের দিকে তাকিয়ে হেসে বলতে ইচ্ছে
করছে –
ইন্টারভিউ নাকি আজ আমার নিজের সাথে
পিকনিক !
চলন্ত ট্রেনে বৃষ্টি এসে আজ আলগোছে
বান্ধবীর সাড়া,
প্রাচীন এসএমএস পেলাম – আজকাল
কেমন আছো ?
ডাউন মেমোরি লেনে আমার বিশ্বাস নেই, আজ
তাই
সবার মুখই চেনা মনে হচ্ছে – প্রশ্ন
উত্তরগুলো এক ।
আসলে কেউ সঠিক উত্তর জানে না, প্রশ্নও
খাপছাড়া
আঁধারনয়নে এসে সবাই অন্ধের মতো
কাকে হাতড়াচ্ছে !
রহস্য
ঠাকুর দেবতার মুখ ঝাপসা হয়ে এলে
কে কাকে ডেকে নেয়, সাবেক
বৈঠকখানায়
মৃত্যুদাগ মুছিয়ে দেয় কে অনীহার
রাজরোগে !
ইচ্ছে করে কষ্টভোগ শিখিয়েছ তুমি,
অপশন আর কামনার দ্বন্দে ভুলে থাকো
-
যেমন ঝুলে থাকে চাঁদ টানাপোড়েনে
নিঃস্ব
হাতে আঁকা অতীতের সেটে !
গা দিয়ে বয়ে যায় নদী...
মাটিতেই ফিরে যায় মাটির জিনিস
আদর শেখালে যদি,আবেশে
অসুখ
উপবাসি শহর উথলে জিত নাকি হার !
শারিরিক উৎসাহ আগুণ গিলে খেয়ে
প্রবল উষ্ণতার গভীরে গতি সঞ্চারিত
হলে
সুতীব্র সেই পরুষগন্ধে পাগল হয় কে
!