অমিত পাটোয়ারী
অনিমেষ একা এবং
প্রেতবন্ধুরা
ঠিক দুক্কুরবেলা তার ঠ্যালা খাওয়ার
স্বভাব
সোনাঝুরি থেকে বর্ষামঙ্গল
এনেছিল খুব গোপনীয়।
বেলা পড়ে এলে প্রেতবন্ধুকে দেয়া
একলা হওয়ার জবাব।
অরূপদর্শন তার সমস্ত প্রশ্নে
ঠিকরে এসে পড়বে সোনালীরঙা আলো
এখানেই , আরও
দু'তিন গলির পরে
প্রেতবন্ধুর ঈশ্বর জমকালো।
বটপাতার বাঁশি
গলির মোড়ে দু'ভাই।
কাঁধে হাত
এর ওর মুখে বাঁশি
আধশুকনো সমস্ত শাড়ির আড়ালে
হাসাহাসি।
হাসির সুরে সুরে বাজে বটপাতা
পাতা ও ঠোঁটের ফাঁকে হাসির প্রপাত।
শাড়ির আড়াল থেকে দ্যাখে একমনে
এপারে একলা লোক , ওপারে
জোড়া
বুঁদ হয়ে বসে থাকে দর্শকাসনে
পাতার সহজ সুরে ছেলে আনকোরা।
অবিশ্বাসী হেঁতালদন্ড
একমুহূর্তে হেঁতালবাড়ির ঘায়
বছরভরের বিশ্বাস ভেঙে যায়।
পুরনো বন্ধুর নাম মধ্যপদলোপী
পুরনো স্কুল ঘেরা বিষের বাগান
সে তার মিথ্যে বর্ষা ডেকে আনে -
সে তার গোপনীয় ঈর্ষা জানায়।
হেঁতাল ঘায়ে ঘায়ে পাগোল স্বভাব
দু'মুঠো কবিতা ডেকে
আনে
দিন রাত পঙক্তিরা কুরে কুরে খায়।
নিষিদ্ধ বায়োডাটা
এই নাও গাছ , এই
নাও জল , এই নাও মায়া
আগামী কন্যা অথবা ঊষর স্মৃতি
প্রচ্ছায়া
সব বায়োডাটা নদীকে দিলাম -
এই বলে কানা লোকটা যখন পৃথিবী
ছাড়ছে
তখন হঠাৎ তাকিয়ে দ্যাখে
লাল- নীল ফ্রক উঠোনে একলা
লাফিয়ে লাফিয়ে সকাল পাড়ছে।
এসব আমারও দেখার কথা ,
কারণ আমি ওদের বাড়ির শিউলিতলার
সেই মাটিতেই মিশিয়ে ছিলাম।
হিমেল গ্যালারি
এই তো , সে
তার বৃদ্ধ পিতার সাথে সাথে
জীবনে প্রথম দেখলো হিমেল গ্যালারি
ভুলেছিলো বারোমাস , কলমিশাক-ডালভাতে
ভুলেছিলো চিররুগ্ন লালপেড়ে
সাদাশাড়ি।
সমস্ত নাগরিক ইঁদুরের মতো
ছুটতে ছুটতে একদিন দিল মেট্রোলাইনে
ঝাঁপ
কিন্তু সে মরলো না
আচমকা খেলো তাকে পাহাড়িয়া সাপ।
সেই থেকে ঘুমে , সেই
থেকে দিনে রাতে
পুরনো বুককেস - আলমারি - আয়নায়
ছায়াছবির মতো স্বপ্ন দেখতে থাকে সে
বাবা মা প্রেমিকার সাথে
হিমেল গ্যালারি ট্যুরে ফি-বছর যায়।