দেবযানী বসু
১.
মন নিল না বঁধু
আহত নিরাময় কৌশল।
হাওয়া কলের পাখনায় জলবায়ু পড়ি।
মেয়েরা ইনিয়ে বিনিয়ে বিনুনি
বাঁধছে।
ট্রাক্টরের মেজাজ লোকগীতির কোলে।
যে কোনো সময়ে পালাবে।
মুহূর্ত বাজাতে বাজাতে চলে
ঘোড়ামুখো ঘোড়া।
২.
মাপি গতি
জন্ম নিলেই মুস্কিল।
ফুঁ দিয়ে ফাটাচ্ছো তিন মাসের
ঘোড়াজন্ম।
পলিমার মমতা ব্র্যান্ড
প্রেমকথায়।
কিছু উদাহরণ গরম গরম পড়ে পাতে।
সন্ন্যাসিনীরা আদিম সভ্যতা
পুড়িয়ে খাচ্ছে।
ঘোড়ার নালে আঠালো সর্বনাম।
গতি মেপে নিচ্ছো হাঁচি ও হ্রেষার।
৩.
কৃষ্ণচূড়া ফুল পাঠিয়েছি
জন্ম নিতে দেরি হল জলবায়ুর।
ফলে দুটো ঘোড়া একই সময়ে উড়ে
গেল।
খিস্তিগুলো পর্যন্ত দুঃখিত।
বোড়ের আচরণ পালতে পালতে মরে যায়।
ন্যুড স্টাডির ভূমধ্যসাগরীয়
চেরি।
রাজধানী কোলকাতা জেনে ঝোপঝাড় বুক
করে।
৪.
দৃশ্যের অজন্মা মুখ
চোখের জলের গান আচমকা বেজে ওঠে
চোখে।
জ্বালামুখিতে মুখ ডুবিয়ে হাজার
বছর।
ঐতিহ্য প্রয়োগ করি।
ফর্মুলা থিতিয়ে বোতলে।
পাথুরে চুম্বন গুলো দেবশিশু।
ফোয়ারার সরলতার পাশে।
রাজধানী পা টেনে জলে নামাতে পারে।
সবই অদৃশ্য যখন।
৫.
নিজের বলে জেনেছো ?
চোরকাঁটার সুড়সুড়ি।
মানুষ সযত্নে হারাচ্ছে পরের জিনিস।
প্রাচীন ঋষির তোতলামি ফোঁটা ফোঁটা
রস।
গোলাপি আইফেল টাওয়ার। পার্সেল
বক্সে চুমু।
স্মৃতির কদরদান।
দেবশিশুর হাততালি বিদায়কালে।
ট্রেনের শীৎকারে প্লাটফর্ম এক চোখ
মেলে তাকালেন।