তৈমুর খান
ভোর
মৃত্যুর কলোনিতে ভোর এল
জেগে উঠছে মৃতেরা এবার
রোদ্দুরেরা শাড়ি মেলছে
কাকলিরা বসাচ্ছে বাজার
নাচের স্কুল খুলে দিয়েছে হাওয়া
পাতাদের কানাকানি
ভ্রমরদের শুরু আসা-যাওয়া
যার জন্য
কার কণ্ঠস্বর ?
ভ্রমের তুলনা ভেঙে ভেঙে
সত্যেরও অপলাপ হয়
দীর্ঘ ছায়ার গাছে
যদিও অনবদ্য কুসুম ফোটে
কুসুম কি জানে সুখ ?
যার জন্য সমস্ত বিকেল গেল
যার জন্য স্বপ্নেরা শুকনো কিংশুক
শ্রীনিরপেক্ষ
চারিপাশে নীল মাছ
বুড়বুড়ি তুলছে
আমি কেন তাদের মতো হব ?
চারিপাশে মাছধরা লোক
টোপ ফেলে বসে আছে
আমি কেন সবার মতন টোপ খাব?
জলে অন্তর্বাহী স্রোত
বিষণ্ণ শ্যাওলার কাছে
আমি নিরপেক্ষ হতে চাই
যদিও এখানে বেশিক্ষণ স্থায়ী হওয়া
যাবে না কখনও
বাসা বদল
বাসা বদল করার কথা হচ্ছে ঘন ঘন
এবার কোন্ বনে যেতে হবে…
সবকিছু বুঝে তারপর
জীবনের ইতিবৃত্ত অলিখিত রেখে
একটা শ্লেট শুধু
সাদা পেন্সিলে ভর্তি করতে চাই
বাসা বদল হলেও হৃদয় বদল হবে নাকো
অনুভূতি
তোমার হাতের ছোঁয়াটুকু
লেগে আছে শরীরে আমার
আমি তাকে অনুভূতির অ্যালবামে রাখি
প্রতিটি বসন্তে পাতা ঝরে গেলে
তাকেই ফোটাতে চাই নতুন মঞ্জরী
অনুভূতির মৃত্যু নেই
প্রাচীনত্ব নেই
অনুভূতি রোজই এসে দরজায় দাঁড়ায়
নতুন
কিশোরী