মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০১৮

মৌমিতা দে সেনগুপ্ত


মৌমিতা দে সেনগুপ্ত

নৈশব্দ্যেরও কান্না আছে

আজ কুয়াশা পড়ে

শহর জুড়ে,

আবছা-আবছা

আমার তল্লাটে !

পাতা উল্টে

স্মৃতির ভাঁজে,

বাঁশরি বজায়

এক মনে কে !


কুয়াশা পড়ে

আমার কবিতার খাতায়,

তোমরা শব্দ কি

তার শুনতে পাও ?


কান পেতেছো

কখনও শূন্যেতে ?

নৈশব্দ্যেরও কান্না আছে !






আমার শব্দরা

কখনও শ্রাবণধারার মত আসে,

কখনও সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ হয়ে আসে,

কখনও শরতের শিউলি গন্ধ নিয়ে আসে

আমার শব্দরা--


তাদের নিয়ে বুনে চলি,অহোরাত্রি;

কখনও বেনারসী কখনওবা ধনেখালি,

তাদের গায়ে পরম মমতায় হাত বোলাই |



হেমন্ত বিকেলের হলদে রোদ হয়ে

ভাসিয়ে দিয়ে যায় আমায় !



একলা ঘরে বসে শব্দের সাথে

আমার এ খেলা চলতে থাকে অবিরত;

খেলতে-খেলতে কখন শব্দগুলো ধ্বনি হয়ে

পাড়ি দেয় দূর-বহুদূর....







সাঁঝের অতিথি

অনেকদিন বাদে বৃষ্টি এল

আমার আঙিনায়--

বহু যুগ কাটলো শুধুই অপেক্ষায়,

প্রতি মুহূর্ত,প্রতিক্ষণ পিয়াসী এ হৃদয়;

বৃষ্টিকে ছুঁতে চেয়ে আকাশপানে

হাত বাড়ায়--



হঠাত্ ঝরে পড়লে

সাঁঝের অতিথি হয়ে,

বিহ্বল-ব্যাকুল ধূসর আকাশ

রোমাঞ্চিত প্রতি পল-অনুপল;

শ্রাবণধারায় নিবিড়

এ সময়--






আঁজলা পেতেছি

আঁজলা পেতেছি আজ

তৃষ্ণার্ত বুক নিয়ে,

যদি ভরিয়ে দাও আমায়

শ্রাবণ-ধারা হয়ে !



ধূসর মরু একা চলেছি হেঁটে,

বৃষ্টি আসবেই জানি

পথের কোন বাঁকে !


সিক্ত হবে তৃষ্ণার্ত হৃদয়

বহু যুগ বাদে;

আঁজলা পেতেছি আমি

অনেক সাধ নিয়ে !







মেঘলা বিকেল

জানলা দিয়ে মেঘলা বিকেল

দিচ্ছে উঁকি--

সঙ্গে তার ধূসর মলিন

ছেঁড়া-ছেঁড়া স্মৃতি !



আটপৌরে জীবন থমকে

মেঘের মুখোমুখি;

নিবিড় কথোপকথনে

ভিজতে থাকি--

জানলা দিয়ে মেঘলা বিকেল

দিচ্ছে উঁকি !