সুনন্দ মন্ডল
কালসিটে চিহ্নের নাম
অক্সিজেন ভরা সকাল ছিল
ফুসফুসে সচল ক্রিয়া ছিল
মগজ বৃত্ত টেনশন বিহীন ছিল
আকাশে সূর্যের নাম লেখা ছিল
আমার মনে দোলাচল ছিল
তোমার নিতম্ব ছোঁয়া চুলে জল ছিল
চোখটা আঁধারের শোক মিছিল ভুলে ছিল
কালসিটে দাগের তাপ দহন ভুলে ছিল
উঠোনে সূর্যমুখী ফুলের গন্ধ ছিল
নদীর ধারে হাওয়া, পাখির
গান ছিল
বিলাপী বহুল প্রবাহী তড়িৎ ছিল
গায়ে তোমার মৃদু সুগন্ধী ছিল
শুধু ছিলোনা আমার নামে আঁকা মন
ছিলোনা কামরস ভরা উন্মত্ত যৌবন
ছিলোনা সুদেহি প্রভাতী সঙ্গীতানুষ্ঠনে 'বর্মন'
ছিলোনা মুখে সত্যের মিষ্ট আলাপন।
কোত্থেকে যে আসলে?
আকাশ থেকে পড়লে তুমি
বৃষ্টি সাথে নিয়ে।
মাথার চুল পড়ল এসে
আমার চোখে ধেয়ে।
জানলা খোলা, চুলটা
এলো
চিরুনি দেয় আঁচড়।
মোটর গাড়ি থমকে গিয়ে
একটু মাখে আদর।
গন্ধ মাখা একটি চুল
ভুলিয়ে দিল পথ।
ভাবতে গিয়ে তোমার কথা
কাজের পোকা বধ।
বাদল দিন মেঘলা দেখি
বায়ুর ভরে ভাসলে।
কোথায় তুমি পড়লে দেখ
কোত্থেকে যে আসলে?
চাপা
মোটর বাইক হঠাৎ ছুঁয়েছে লাল দাগ
জানলাটা পর্দাবিহীন
বৃষ্টির ছাঁট বিছানা ভেজায়।
আকাশের বুকে বিদ্যুতের নাচ
ছুঁয়েছে সেও বিরহী মেঘ
বৃষ্টির গন্ধে ভরেছে দুপুর।
মিথ্যে উস্কানি, সত্য
বালিচাপা
মাথায় খেলে অলক দাম
কালো পোশাক মোড়া
তোমার সুদেহ ফুলেল সম্ভাষনে।
অনিয়ম
অনিয়মিত ঋতু
চক্করে খাঁজ কাটা বিবর্ণতা!
শুষ্ক যোনিদেশ
মরদের মতো দাপানি
সংসারে অগোছালো, অস্বচ্ছ।
ফুলে ফলে জলে শস্যে
ঝলসানো রুক্ষতা
নিদারুণ তাপের
চাপ
মস্তিষ্কে অবরুদ্ধ মন।
লাল নীল স্বপ্নরা
নতুন ফসলের বীজ বোনে
আশাহীন
চাষীর জীবন
অবহেলা
অবহেলিত
রৌদ্রের ঋণ....
বর্ষাহীন প্রকৃতি,
মাসিকের গোলযোগে ব্যথিত মেয়েটা!
বাসস্থান
ট্রাপিজিয়মে আঁকা তোমার শুষ্কতা
পরিবেশ ও শ্যাওলারা পিপাসার্ত
কামধেনু ঘুমিয়ে
গোশালা ডেঙ্গুর আদি বাসস্থান।
নিস্তব্ধ দুপুর খুব চটে গেছে
ক্ষেপে গেছে নির্ভেজাল কলম
রক্তাক্ত রৌদ্রের সবুজ গেলা
হলুদের রঙ চটা ভূমির আস্তরণ।
মা ও মেয়ের কাজ শেষে ঘুম
পিতার নাক ডাকা দুপুর-রাত
চাতক হাঁপায়
চেয়ে থাকা মানুষের জীবন।