ঝুমা মল্লিক
সময় জানবে না
দেখতে দেখতে অনেক টা সময়
বন্দী খাঁচায় বন্দী দশায়, দুঃসময়
সেই কবেকার কথা, পেয়েছিলাম
যত ব্যথা ।
শিকল আমার পায়ে, শক্ত
বাঁধন
ঘরখানা মোর ভালো, প্রভু
সেবা যতবার হল
বাঁধতে চায় আমায়, শরীর বাঁধিস শুধুই,
মন আমার মতো জানিস?
জানালা দিয়ে মুক্ত আকাশ আমায় দেখে
বলে মুক্তি চাই তোর? ঠিক
পাবি দেখিস
পায়ের শিকল আমায় ভালোবেসে বলে
আমায় ছাড়িস না মেয়ে ।
খোলা আকাশ খোঁজে আমায়।
আমি খুঁজি আকাশ।
কতদিন নদীর জলে মায়া বাঁধিনি
কতদিন আমি সুর খুঁজিনি
কতদিন আকাশে মেঘ গোনা হয়নি
কতদিন বৃষ্টিতে ভেজা হয়নি
আর কতদিন আমার আমি জ্বলবে মরবে?
সময় যাচ্ছে বয়ে । জীবন ও যাচ্ছে সয়ে।
শ্রাবণ সুখ
শ্রাবণ আসবে বলেই তো, শ্রাবণের
ধারা
মনে ভিজে মাটির গন্ধ, ভিজছে
মন
আকাশ তুমি কত সুন্দর আজ, দেখছি
মেঘ আর মেঘের পবিত্রতা, মেঘেদের
বাড়ি
সবুজ আরও সবুজ হবে বলেই, ভিজছে
তারাদের উল্লাস, চাঁদের
দেখা ওই
শ্রাবণের ধারাতে শান্তির কণা ।
একটু একটু করে ভিজিয়ে দিচ্ছে, উদযাপন
ভিজে মাটিতে নতুন বীজের উৎসব ।
রঙিন ফুলেরা ভিজছে, পাপড়িদের
আনন্দ
বাতাসে মিশেছে শত ফুলের গন্ধ
সমুদ্রের জোয়ারে জলের আনন্দ, সেকি
আনন্দ
যেন উৎসব । শ্রাবণী
পূর্ণিমার পূর্ণতা ।
মধ্যাহ্নে আঁধার
নদীর ঘাটে যখন আলোর উৎসব
পূব আকাশে তখন কালিমা
সময়কালে আঁধার নেমেছে বুকের ভিতর
তারপর কত কতবার বিষ পান।
বুকের যন্ত্রণাতে আজ জোছনার আলো
রক্ত নদী বইছে, তারপরও
রক্তক্ষরণ
যন্ত্রণার মালিক যারা তারাই প্রভু
সেজে ।
হা ঈশ্বর আঁধার নেমেছে দেখ চেয়ে
আঁধারে আঁধারে বেলা গিয়েছে ।
কালি মাখা মেঘেদের কারসাজি হায়
মেঘে মেঘে লুকোচুরি
শ্রাবণের মেঘেতে আজ দরাদরি
মেঘের সুখ মেঘে ঢাকা
আকাশের বুক খাঁখাঁ।
আঁধার নেমেছে ঐ
বন্ধু
বন্ধু মানেই এক আকাশে একশত তারা
বন্ধু মানেই নতুন স্বপ্নে নতুন দেশ
গড়া
বন্ধু মানেই ভাবের সাথে আড়ি
বন্ধু মানেই ভালোবাসার শাড়ি
বন্ধু মানেই এক ফসলা বৃষ্টি
বন্ধু মানেই নতুন নতুন সৃষ্টি
বন্ধু মানেই চায়ের সাথে টা
বন্ধু মানেই মেলার ভিড়ে খা
বন্ধু মানেই বিকেলের ঘাস
বন্ধু মানেই সিনেমা হলে শ্বাস
বন্ধু মানেই সুখ দুঃখে ভাসা
বন্ধু মানেই আনন্দে হাসা
বন্ধু মানেই শীতের ছুটির মজা
বন্ধু মানেই পুরীর দেশের গজা
বন্ধু মানেই ছুটির শেষের ঘন্টা
বন্ধু মানেই এক সাথে চলার নামতা।
বন্ধু মানেই দক্ষিণ খোলা জানলা ।
বন্ধু মানেই নতুন নতুন খেলনা ।
বন্ধু মানেই সুখের স্মৃতি
বন্ধু মানেই দুঃখের গীতি ।
আমার স্বাধীনতা
স্বাধীনতা, হে
স্বাধীনতা
তোমাকে পাওয়ার জন্য এক জন্ম ।
মৃত্যুর খুব কাছাকাছি দাড়িয়ে বলছি, স্বাধীনতা
তোমাকে পাবো বলেই নব জন্ম ।
শৈশব গিয়েছে চলে মোর আঁকাবাঁকা পথে
কিশোরী মন স্বপ্ন দেখে, স্বাধীনতার
সুখ খোঁজে।
নারী জন্মের সাধ বুঝেছিল শিকলের
ফাকে।
শিকল জুটেছে বিশেষত বিশে
বিষাক্ত হয়েছে শরীর, বিষ
টাই দামী ।
জীবন আছে আজও জীবনীতে রক্তক্ষরণ
শ্বাসনালিতে জমাট বেঁধেছে রক্ত ।
পায়ের শিকলে যন্ত্রণার দাগ
খোলা আকাশে আজও কত কালো মেঘ।
কালো মেঘের আবদারের সুর
স্বাধীনতা, হে
স্বাধীনতা
তোমাকে পাওয়ার জন্য এক মৃত্যু ।