নাসির
ওয়াদেন
বিরহ মিলন
জোৎস্নার
এক্ষু ভেজা যোনীহীনা আকাশ
বৃষ্টিপতনের
গান গাইছে
অশরীরী বাতাস
উলুবনে মুক্তো বোনে
এবার হিম চাষ
হবে থর মরুভূমিতে
শ্রাবণের
ধারাপাত শুনিয়ে যায়
বিরহের গান ,অশনি গান
বাইশে শ্রাবণ
---
অদ্ভূত
রাতগুলো বেহালার তানে বাঁধা
হিংসার জোয়ার
জলে ভাসে রবীন্দ্র সংগীত
পাখি গান
গাইছে বাতায়নে
বাতানুকূল
পরিবেশ
কদম্ব, কেতকী কেয়ার গন্ধ,,,,
একুশে শ্রাবণ
আমার ঘরে এলো,
শ্রাবণী
একটা মিলনের
সুর উঠলো বেজে --
ছুঁয়ে দাও বৃষ্টি
অহংকারগুলো
ধুয়ে দিচ্ছে বৃষ্টি
শ্রাবণের বৃষ্টি
-- অহংকারের বৃষ্টি --
নদী পাড় ভাঙে
ধৈর্য্য ভাঙে
জীবন যুদ্ধের
ক্ষেত্রভূমি পরিমাপ করে
সত্যকে পালিশ
করছে জলস্রোত
বৃষ্টি ধুয়ে
দিচ্ছে অকৃতজ্ঞতা
এসো না বাতাস, কাঁপে নীড়হারা
বুলবুলি
বৃক্ষশাখা
কতটা সময় আগলে রাখবে ?
প্রকৃতি উদার
হলে কালো মেঘ,
ভীতু বাতাস, সহনশীল বৃষ্টি,
একাকার
মাঠ--- শস্যের পোয়াতি ক্ষেত
সত্য এসে
দাঁড়ালে মিথ্যে পালিয়ে বাঁচে
একটু বিরল
আলো ছুঁয়ে দাও বৃষ্টি
ছেঁড়াচিঠি
একখানা শুষ্ক
আকাশ ধার দিতে পারো বৃষ্টি --
ছেঁড়াচিঠি
লিখেছিল শ্রাবণ
রাধা
অভিসারিনী পিছল পিছল পথে
অভিসারী পথ
জাপটে ধরে কৃষ্ণকেও,,,,
ভাঙা নৌকা
হারিয়েছে একূল ওকূল
মানব-মানবী
মুখ লুকোয় কালমেঘের চাদরে
বিজলী ছিঁড়ে
ছিঁড়ে ফেলে অন্ধকার
ছেঁড়াচিঠি
উড়ে যায় দিগন্তে প্রেমিকবর্ষার বুকে--
প্রশয়
অধীত দিনগুলো
লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার
হারিয়ে
ফেলেছে অধ্যাস ---
অধীতমন
লেলিহান লিপ্সার আগুনে
পুড়ে ছাই
চোখের সামনে
অকুতোভয়,,,,,
তবুও আমি
কার--পর--দাজ---
বিধর্মী জলের
উপর দিয়ে হাঁটে
হিতৈষী বাতাস
মুগ্ধ
কিঙ্করী মন
প্রশয় এসে
ঘাড় গর্দান ভাঙে
তোমার
কামদানি আলোবনে
বেহায়া আবদার
ফোটায় ঢেউফুল
অমীমাংসিত
অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে না বৃষ্টি,,,,,
শ্লোগানের ধারাপাত
মনখারাপের
দিনে শ্লোগান আসে না
রৌদ্রদগ্ধ
যুবকের বুকে বহে রক্তবন্যা
ঝড়োহাওয়ার
সাথে বিজলী পতন
মলিন
শব্দগুলো বিবর্ণ বৃষ্টিভেজা দাগ
বাউলের
একতারা সুর ভাজে ছাতিমতলায়
ডিজিটাল
ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে রুদ্ধ
কালো টাকার
গায়ে ক্যাকটাসের তাজারক্ত
সাম্প্রদায়িকতার
প্রতিযোগিতা ঝড়ের বেগে
গতিবেগ
আড়াই-তিনশ,,,,
শ্লোগানের
ধারাপাত সেভাবে আসে না
মানুষের জন্য
যদি একটা শ্লোগান পেতাম --