মন্দিরা
ঘোষ
সেজে ওঠা দিন
সরল আলোয়
ডুবে যায়
সকালের মুখ
দুপুরের
শান্ত রঙ সেদিন
ক্যানভাসে
লাজুক বিকেল
সন্ধ্যাটি
নিবিড় হয়ে এলে
জ্যোৎস্নারঙ
ছড়িয়ে দেয়
পৃথিবীর সবুজ
ঠোঁট
আয়োজন
আসর সাজিয়ে
রেখেছি
আয়োজনে অনুষ্টুপ রঙ
সব উজাড়
নামানো পথে
আশার বিন্যাস
এঁকে
চেয়ে আছি
শূন্য খাতায়
সাড়াগুলি
গুছিয়ে নেবো
পালকআদরে
আশা
দাঁড়িয়ে আছি
একা
দুপুর রাঙানো
রোদ ঢুকে যাচ্ছে
জায়মান
মেঘশরীরে
অন্ধকারে তীর
ভেঙে ভেঙে
তুমি এলে
সমস্ত জলছাপের
আলোড়ন তুলে
জন্ম
গাঢ় আলিঙ্গনে
তছনছ
ঝিনুকঘর
ছায়াপথ জূড়ে
অক্ষজ ক্ষিদে
আকাশে
সম্মতির ছায়ারোদ
আঘাতে
আঘাতে দুটি শিখাজন্ম
বজ্রবিদ্যুৎ
আর ধারাজল
আঘাত
ভাগ কর,খন্ড খন্ড কর
ঋতু জন্ম
সাধে
উৎসের ধারাটি
পাললিক
পড়শির ঘাটে
উৎসব সাজ
বিপথগামীতায়
জলীয়
আঘাত
বিচ্ছেদ
কেঁপে ওঠা
পালকঘরে
কৃত্রিম
রেখাগণিত
ক্ষরণগুলিতে
অনিবার্য ঝোঁক
ত্রিমাত্রিক ভাঙনে
আয়োজনটি
অসম্পূর্ণ
থেকে যায়
বেদনা
সত্তাটি যখন
উদ্বায়ী তোমার
নামিয়ে রাখি
চোখ
নামিয়ে রাখি
আশার বিন্যাসগুলি
ক্রমে ক্রমে
সরে যায় বিন্দুজল
আলোর
উদ্ভাসটুকু
তুলে রাখি
পালকঘরে
বিরহ
টানটুকু ধরা
থাক প্রক্ষেপে
ছন্দভাঙা
সময়ের গান
জড়িয়ে রাখি
আদরে
যে স্পর্শ
রেখে গেছো
হাওয়ায় জলে
প্রান্তরে
গভীরে মিশিয়ে
নিই তার রেশ
জলবিন্দুর
মত মিশে থাকি
তোমার
বিম্বিত ছায়ায়