সুকান্ত
মজুমদার
শেষটুকু
সমাগত
রোদ্দুর
তীব্র
আলোকসম্পাত,
ছায়াঘেরা -
বিধ্বস্ত
আভ্যন্তরীণ সংবাদ
লালিত নিথর
বৈরাগ্য
হারিয়ে যাওয়া
আত্মসন্মানে
ধূলো ওড়ানো
অভিপ্রায় সার।
দলীয় পোশাকে
আবৃত
কালো ছায়া
আঁকা রাত দীর্ঘতর
সামান্য
সম্ভ্রম টুকুও
ছিড়ে নিচ্ছে
মানুষ কুকুর।
আমাদের
আর্তনাদ কোলাহল
ভাঙন লাগা
চরে তৃণ অবলম্বন
শেষটুকু এখনো
আছে এভেবে
ম্লান আলোতে
পশ্চাৎ পদ
আমরা পশুবৎসল
খামার গড়ছি।
দীনতা
দিন ঝাড়
দেওয়া দীনতা
আত্ম
মীমাংসার অবৈধ সংসর্গে
টুকরো অবসরে
অন্ধত্ব ঘাটছি
নিজ ছায়া ও
দেহের অযাচিত
প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রতিনিয়ত -
রাত নোনা করা
উদ্ভট কান্নারা
কিন্নর আচলে
ভয়ার্ত ভাষায়
আমিকে
প্রতিপদে শাসন করে
বোকা
শব্দগুলি সংহত চর্চায়
ঋণাত্মক চয়নে
মাথা উচুকরে
বাঁচতে পারা
শেখে!
বিলম্ব
অদ্ভূত
অনির্দিষ্ট অবয়বে
সেই হারিয়ে
ফেলা মুখ দিশা
স্বপ্ন কাতর
বর্ণাঢ্যে নিশিযাপন,
মেঘের ছায়া
যাপনে বৃষ্টি চায়
ধূলোভরা
দিনের অযাচিত
অন্ধকার
পোষ্য বেড়াল হয়ে
খেয়ালহীন
বাতাসে গা ভাসিয়ে
সূর্যের থেকে
অনেক খানি তির্যক
নিস্তার খুজি
চতুর চাঁদ হয়ে
শরীর জড়ানো
রাতথেকে।
আমাকেই আমি
বলবো জানি
বিলম্বিত
স্বপ্নের স্বাক্ষর
আলোহীন মোহের
দেহে -
তোমায় নিয়ে
অনেক দূর হাটবো
নিজেকে খুজবো
আলো দিনে
স্বতন্ত্র
অভিসারে ঘর্মক্লান্ত
আক্ষরিক
প্রলেপ শান্তনার
পিছু ধায়
অক্ষমতার পদচিহ্ন।
মিথ্যাচার
ক্ষয়িষ্ণু
আয়নাতে নিজ নির্বাক তন্ত্র
বহুচর্চিত
সুপরিচিত সন্ত্রাস
আলিঙ্গন
বৈভবে আস্থা হয়।
আলো হাতে
বৃষ্টিরা নামে দেখি
পাথুরে
সহ্যের তেপান্তরে
শাষন পোষাকী
সম্ভ্রম
সকাল সংকট
নোংরা মেঘলা
আমিসহ
অচৈতন্যর দায়ভার
দাড় টানি
কুলে এসেও
চতুর যুক্তিক
আত্ম সংরক্ষণে
ওদের সাথেই
সহ প্রবাহে জল কলা
জলাশয়ের কুল
ধরে
বহুদুর এগিয়া
যাবার মিথ্যাচারে।
অবশেষ
দেখতে না
পাওয়া
তোমার হিসেবি
বৃষ্টি কান্না
সময়ের আঙিনায়
নদী হয়েছে,
যতটুকু বিভেদ
আঁচল ছায়াবত
শীতল স্বপ্ন
গহনে
চিনিয়ে ছিলে
আর্ত মোহ।
কোন এক
সন্ধ্যা স্নাত দৃষ্টি
আজ অবধি
ফুরিয়ে আসা
আলোর হিসেব
পায়নি -
তোমার
রূপান্তরিত রূপ বৈভবে
এক টুকরো
ইতিহাস
প্রতি শয়নের
জটিল উপাদান
এক চিলতে সময়খানি
বারংবারের
লঘু নিদ্রার কালবৈশাখী
বিনম্র
সত্যের দীগন্তে উপহাস্য।
.......*......