অরুণ
কুমার দাস
হৃদয়ের বিবাহ হয়ে গেলে
হৃদয় বড়োই একলা
১
যে ঘরটা সাথে
নিয়ে ঘুরে বেড়াই একটিও বেডরুম নেই
একমাত্র
জানালা কাচের,তাৎক্ষণিক বৃষ্টিতে সন্ধ্যা নামে
সন্ধ্যার
গাওয়া গানগুলো বৃষ্টির মতন সুরেলা
কত জন্ম
আগেথেকে দাঁড়িয়ে আছে ট্রেন
পর্যাপ্ত
আগুন নিয়ে শুয়ে থাকি বুকের ভেতর পলি জমে পাথর
এই পাথরে ফুল
ফোটে!
এই পাথর
ডানাপেলে উড়ে যায় অন্য পাথরের কাছে
পাথর ঘসে ঘসে
আগুন জ্বালাই
তোমার ঠোঁটে
ও আগুন আছে,স্পর্শ পেলেই জ্বলে উঠি
আর পুড়ে যাই
হৃদয়ের বিবাহ
হয়ে গেলে হৃদয় বড়োই একলা,তখন
পাথর ছাড়াই
আগুন জ্বলে
বৃষ্টিতে ও নেভেনা---
২
মিসড্ কলগুলো
হাত দিয়ে চেপে ধরি
হাতের মধ্যে
তোমার হাত।সূর্য ওঠে।সবজি বাগানের ঘুমের মতন সবুজ রঙের ভোরে
বাসি ঠোঁটেরর
উষ্ণতা মাপি
পৃথিবী
বিমোহিত
রিংটোন আবার
বাজে
বেজে বেজে
ক্লান্ত,তখন আর চাঁদ ওঠেনা
রামধনুর মতন
দীর্ঘ উড়ান থেকে বলছি-ঘটমান বিবাহের কথা
ছপ ছপ ছপা ছপ
চাঁদের দাঁড়
দুবাহু
উড়েগেল নরোম তুলোর দেশে
এখানে
বিশ্রাম করতে নেই
এখানে
মৃত্তিকা কর্ষণের পর মন্থন এবং নরোম অমৃত পাত্র ফেটে গেলে
চারদিক
ফুজিয়ামা স্রোত
ভাসতে ভাসতে
ফুলের দেশ
চল সংবিধান
উলটে পালটে দেখি,দেখি তোমার
অমৃতকুম্ভ-
যাবতিয় পায়েস
খেয়ে চলে গেছেন বুদ্ধ
সুজাতার
দারিদ্র্য কে মহান করে
৩
তোমার দিকে
হেঁটে যাই
পাহাড়
উপেক্ষা করি শরতের শিশির ভেবে
অর্বাচিন
চূড়োয় দাঁড়িয়ে ডাকি--- এসো এসো এখানে
দেখ আমি
এসেছি
শ্রাবণের
প্রবল উচ্ছ্বসে,বৃষ্টিতে,স্রোতে আমি
এসেছি
তোমার জন্য
নিভৃতির কবাট
খুলে দেখ চেয়ে - তাকিয়ে দেখ একবার
গোধূলির
ম্লান আলোয় সম্পর্কের সূর্যটা জ্বল জ্বল করছে
চোখে
চোখে এখনো
ঠিকরোয় দ্যুতি - এখনো - উস্মৃতি কাঁপায়
তোমার সমস্ত
হৃদয় ধারণ করেছি বুকে - বুকের স্ফটিক বাগানে
সাদা সাদা
অক্ষর আর মৌমাছি,আর দুএকটা গুবরেপোকা
স্বাধীন
আকাশে স্বাবলম্বী আলোয় তাকাও
দেখবে এসো -
সরসীতীরে কী সুন্দর চাঁদ! তোমার
স্তনের মতন
অত সুন্দর নয়।তোমার ঠোঁটের মতন
অত সুন্দর নয়
তার উপত্যকা
তলস্তয়ের
গল্পের থেকেও বেশী সুস্ততা দেয় তোমার
উপস্তিতি
আমি রোগভোগের
প্রথা ভেঙে দিয়েছি!
বাইরে এসো
দেখ আমাকে
আমার ভেতরে
চিরজন্ম এক পাখিওলার বাস
অচেনা
পৃথিবীকে ডানার আড়ালে রাখি।তা দিই।ফুটিয়ে তুলি।
খুচিয়ে তুলি
আগুন
তোমার মুখের
দিকে তাকিয়ে আগুনের উপর হেঁটেযাই
তুমি তখন
আগুন আগুন জ্বর।ঘোর বৃষ্টতে নেভেনা।জ্বলে।
জানালা
দরজা পার হয়ে যাই দূরে, আকাশের সর্বশান্ত সাদায়
না পাওয়া
স্বপ্নের পায়ে পায়ে বিকেলের অনুশোচনা ডুবে যায়
জলের পাশে জল
হয়ে,
বৃষ্টি হয়ে, ফুল হয়ে ফুটি
রোদ্দুরের
তীব্র মন্থনে হাঁস হয়ে হাঁসের স্বীকারোক্তি ফুটে ওঠে গোপোন
আয়নায়
রোপওয়ের
এপারে আমার মদিরা পাহাড়
ওপারে তোমার
লাইট হাউস ঘিরে মখমলের জ্যোৎস্নায়
তৃতীয় আকাশ -
অভয়ারণ্য
জলকে আর ধরা
যাচ্ছেনা
জলের
পাত্রে
৪
পরিবর্তিত
স্বপ্নের রঙ সবুজ
আড়মোড়া
ইনবক্স - কেউ তারপিনের গন্ধ ছড়িয়ে রাখে
কোজাগরের
মইবেয়ে সাত রঙের মহলা
আড়াআড়ি তাকাই, পাঠক্রমের বাইরের পড়ারা নৌকা হয়
ভাসি
ভাসানের
বিদ্যুতে জলমগ্ন পৃথিবী
,ডানার সাহসে আঁকড়ে থাকি স্তন
বাকি পৃথিবী
স্বপদোষের কবলে বিছানা ভিজিয়ে
ঘোড়া ধরতে
যায় পারেনা
অনুর্বর
দিনকাল চক্রাকারে তাকায়
সূর্যের
প্রারম্ভিক সোপানে
যোগফল কখনোই
ঋণাত্নক চার্য গঠন করেনা
৫
জলের মধ্যে
মন্ত্র ডুবিয়ে কাগজের চাঁদ ভাসাই
পর্বান্তরে
আকাশ নামে
মাথানীচু
হেলেসাপ।
পীছনের
বায়পিক সামনে টেনে অমর দৃশ্য
পাখিরা
সাদাপালক খশিয়ে ঘুমাতে যায়
ঘুমের আগে
আমাদের অনিবার্য ক্রিয়াটি ফুটবল মাঠ
এই দূর্দান্ত
হাওয়ায় জার্সিহীন সাঁকো!
শুধু শীত
থাকুক আমাদের
শীতকাল থাকুক
অটুট চুম্বনে---