পুলক
মন্ডল
জলরং
কতনা কত সময় ধরে ভাবি
একটি মিষ্টি প্রেমের কবিতা লিখব ।
পারিনি;
মনের গহনে উকিঁ
দেয় একটি উদাসী মুখ।
কতনা কত সময় ধরে ভাবি
কবিতা দিয়ে সে মুখটিকে
রাঙিয়ে দেব রামধনুর সাতরঙে।
পারিনি;
তার আখিঁপল্লব থেকে
ঝরে পড়ে একবিন্দু জল
ধুয়ে যায় কবিতার পাতা
তবুও ভাবি একসময় তাকে
জলরঙে আকঁব কবিতার খাতায়-
ভেজা
সংলাপ
যদি রক্তগোলাপ নিতে না চাও
যদি আমাকে দেখে
মুগ্ধ না হও-
তবে বিনিদ্র রাত্রি দিও
অনুতাপের! অশ্রুপাতের রাত্রি!
যদি কোনদিন একটি ছোট্ট
চুম্বনেও সাড়া না দাও
তবে উজাড় করে
একটি ঝড়ের রাত দিও আমায়
উথাল পাতাল ঝড়ের রাত!
আর যদি ভালোবেসে থাকি
তবে বক্ষ খোলা রেখো তোমার
যেন আনন্দ অশ্রুতে ভেজাতে পারি!
ভালো
আছো তো
যেদিন আমি থাকব না
তোমার আঙিনায়
একটা সাঝঁপ্রদীপ জ্বেলে ভেবে নিও
দুষ্টুমী করে লুকিয়ে আছি কোথাও
এলোমেলো হাওয়ায় যদি প্রদীপ নিভে যায়
তবে আধাঁরে একটুক্ষন থেকো একা
আর ভেবে নিও-
সেদিনের মতো আজো
চুপিচুপি এসে বলছি
তোমার কানে কানে
তুমি ভালো আছ তো!
এসো
বৃষ্টি হয়ে
একটি অভিমানী কন্ঠ বলে
তোমার ম'নে কি আছে
সত্যি বলো-
চোখে চোখ রেখে
সে বলে
একটা ছোট্ট নদী আছে।
এবারে তুমিও বলোনা
কি আছে তোমার ম'নে-
অভিমানী কন্ঠ বলে
একটি আকাশ আছে
কখনো আলোয় ভরা
কখনো মেঘে মেঘে কালো
শুনে সে বলে
তাহলে এবারে বৃষ্টি
হয়ে ঝরে পড়ো
ভরিয়ে দাও নদীটা
ঝরা পাতা
ঝরা পাতা’কে বললাম
তুমি তো উড়েই যাবে
তবে যাওনা কেন
আমার প্রিয়ার ঠিকানা’য়
যাবার পথে তাকে একবার
বলে দিও আমি ভালো আছি
আমি ভালো আছি
ঝরা পাতা বল’ল
আমার বয়ে’ই গেছে
দেখছো না আমি ছটফট করছি
আমার প্রিয়ার খোঁজে
জানতে চাইলাম কেন
কি হয়েছে তোমার প্রিয়ার?
ঝরা পাতা বল’ল দেখোনা
আগের বাতাস আচমকা উড়িয়ে
নিয়ে গেল তাকে
কে জানে কোন সুদূরে
এখন আমি অপেক্ষায় আছি
পরের বাতাসের জন্য----
----আমাকে চুপ দেখে ঝরা পাতার
বোধহয় একটু মায়া হ’লো
সরে এলো আমার কাছে
তারপর----ফিসফিসিয়ে বল’ল
তারচেয়ে এক কাজ করোনা
বরং আমার মতো তুমিও
ঝরা পাতা হ’য়ে যাও
তারপর------
অপেক্ষা করো আরও
পরের বাতাস’টার জন্য ------