চৈতালি
ধরিত্রীকন্যা
তোমার শূণ্যতায় তুমি
দু:খকে মেনে
নেওয়াটাও শিল্প
দু:খের মধ্যে
আর এক দু:খ
ভয়ঙ্কর সুখের
দু:খে ঢুকে পড়ছে শিল্প,
হাহাকার
তবু তোমার
শূণ্যতায় তুমি সৃষ্টি,আমি----
অজানা যা
কিছু জানালার শার্শিতে রেখেছি
একটা একটা
ভাঁজ করে রেখে দিচ্ছি
আলনায়
ভয়ের পুতুল নিয়ে মঞ্চ জুড়ে পুতুল নাচ
দেখাবো
এবার
বর্তমানকে কাঁধে নিয়ে পার করে দেবো আরো কিছু
বর্তমান ।
অভিযাত্রী
কবে আবার
অভিযাত্রী হবো
তুমিই ঠিক ক'রো
আমরা যেখানে
যাবো
সেখানে যেন ঘাসফড়িং ---
আমরা যেখানে
থাকবো
সেখানে
ঝাড়বাতি থাকবে না কিছুতেই
শুধু বাজবে
বিঠোফেন গাইবেন
গুলাম
আলি
আমরা
খালিপায়ে হেঁটে যাবো অনেকটা
পথ
বরফগলা জলে
ঠান্ডা শরীরে তুমি
ছুঁয়ে যাবে এক নীল পাখি
কমলালেবু
কোয়া জড়ানো ঠোঁটে বলবে
আবার
অভিযাত্রী হ'বো কোনোদিন।
তার উষ্ণীষ
পায়ে পায়ে
হেঁটে আসে আত্মকথা
আত্মকথার গদ্যাংশে
মহাযুবকের গান
গ্রীসের
শান্ত ঘরানায় ফল্গুর মতো
বোয়ে চলেছে ব্যথাতুর
অনুভব তার
ছুটন্ত জেব্রার মতো
বহতা
ক্ষয়চিণ্হ নিয়ে গর্ভের ভিতর থেকে
মুখ
তুলি
এক দশক
মেধাস্রোতে তার উষ্ণীষ আমার
হাতে ।
ব্যবচ্ছেদ
আমার মধ্যে
আমাকে চাষ করে চলেছি
আজ মাটি
আমাকে মাফ করেছে
ঝরণা আমাকে
আর হিংসে করে না।
প্রথমত: আমি
সব কেউটেকে চিনে নিয়েছি
দ্বিতীয়ত:
আমি অর্কিডজীবন ঘেন্না করি
তৃতীয়ত:আমি
বুঝে নিয়েছি সমস্ত
বোঝাপড়া
শেষ পর্যন্ত
আমি বুঝেছি
আগুন শেষে
ধোঁয়ার স্মৃতি কী কামড় খায়।
অর্গানে তোলা দিনলিপি
আমার কাছে
তোমার যা কিছু আছে
কোশাকুশির
দানের মতো ফেরত নিও একদিন
বরফকুচি সকাল
মেখে এসো
ঘন ধোঁয়ার
কনকনে সাম্রাজ্যে
যে সন্ধ্যায়
শিশিরভেজা ওষ্ঠে তুলে
নিয়েছিলে জীবন্ত স্থপতি ।
এসো তুমি
তুহিন সন্ধ্যায়
আমি সেদিন
ফিরিয়ে নেবো আমার সমস্ত উষ্ণতা ।
বর্ষায় ভেজা
পাথর ছুঁয়ে যখন তুমি আসবে
আমি আকাশের
সেই রহস্যময়
সবুজ বৃষ্টিতে স্নান সেরে নেবো।
আর তোমাকে
ফেরত দেবো
থইথই ঋতুর
জলকেলি খেলার অতীত
মুহূর্ত ।
ঘোড়ার মতো
তীব্র দাবদাহে এসো
যে
ঘামের বিন্দুতে দেখেছিলাম
সূর্যের
চেয়েও তেজস্বী যুবা
সেই নিদাঘের ছায়ায় বসো
আমি তোমায়
দেবো নোনতা জলের
বাস্তবতা ।
তুলোর
পিরামিডের বুনোট শরতে এসো
আমি ফিরিয়ে
নেবো উধাও মেঘের জন্য
শারদীয়-যণ্ত্রনার যাপনকথা ।
শেষ পর্যন্ত
আমার শেষ প্রশ্বাসের দিনে
এসো
তোমার হাতে
তুলে দেবো সেদিন
আমার মুকুট-সম্মান।
পরাগ
মৌচাকে চুমু খেয়েছে কে ?
পরাগমিলন
ঘটিয়েছে যে।
এখন উপায় কী ?
হাতুরী পেটাই বাকি ।
মধুচন্দ্রিমার
মানে ?
ভ্রমর সব
জানে ।
মৌমাছি
-শ্রমিক
এবার বুঝে নিক
শাসন
জারিজুরি
কে মেনেছে
থুরি !
পরাগের জাবরকাঁটা
বারবার একই
হাঁটা
প্রেম কী বলে?
ভাসে অথৈ
জলে।