গৌতম
কুমার গুপ্ত
সুখ
সুখ ভাল লাগে
অলৌকিক
আঁধারে নাগরিক চাঁদ
বাগানে বনসাই
গোলাপের লাল
ঠোঁটে
সাজানো প্রিয়তম শরীর
সুখী দেখতে
ভাল লাগে
রসুইঘরে গান
অন্নভোগ
রকমারি সুখ
প্লেটে
সুগন্ধ মুহূর্তের শ্বাস
বিনুনি উচ্ছল
বিদিশা তমসা
অরুনিমা সেন
ঐশ্বর্য রায়
অনন্য বল্লরী
খাজুরাহো চিত্রালি
শাড়িতে সুখী
যুবতীশ্রী মাধুরী
সুখের রূপভাষ
অহং রচনাবলী
যদি বৃষ্টিহীন হও
যদি
বৃষ্টিহীন হও
আমি খেলব না
আজ খেলা
ভরে নিতে হবে
কলস জলসত্র
চোখে এঁকে
নেবো বৃষ্টিচ্ছায়া
আমার কাটবে
না অলসবেলা
দূরে ভেসে
যাবে বাদল মেঘখানি
দু একখানি উড়ে
যাবে বাদামী চুল
রোদ্দুরে
তাকাবে ভীরু দুই চোখ
হাওয়া হাওয়ায়
কই সে আতর নারী?
তবু তো সহসা
আদর দেবো ঠোঁটে
চুম্বনে মেঘ
এঁকে যদি বৃষ্টি নামে
কথা দিলাম
ভিজে নেবো
তোমাকেও
ভেজাবো সাথে
দুজনে দুজনায়
অথৈ বৃষ্টি রাতে
আমার জন্য
আমার জন্য
রেখো মেঘখন্ড
হাওয়া,
বৃষ্টি
-ফোঁটার মুহুর্ত।
বৃষ্টিশেষে
জমছে তারা
আকাশে।
জানালায় নদীর
ডাক।
নিশ্চুপ
পাখিদের রিক্ত ঠোঁটে
বিষাদ সংবাদ।
চুপকথায় সবাক
চুম্বন,
ঠোঁট পেতে
বসে আছি
যদি দাও বাসর
সন্ধ্যা।
বৃষ্টির উৎসব
আনন্দ লিখে
নিলাম
হোঁটের
সুসংবাদ
বুকের ভেতরে
গোপন পরাগ
জেনে নিলাম
এখন দিব্যি
বাতাস বইছে শরীরে
লজ্জা নিবিড়
রোপণ করেছ এতোদিন
প্রকোষ্ঠ
ঘিরে প্রাচীর লৌহ
সৌন্দর্য্যের
তুঁতে নেলপালিশ ম্যানিকিউর নখ
চুলের
বিদিশায় খেলে শ্রাবণী দোলা
সুখী
চন্দ্রকলা
রেশমী পশমে
মখমল আদর মেখে
খুব করে
হাঁটি সাবলীল বাগানে তোমার
আজ থেকে
দৈনন্দিন প্রবল মেঘ জুড়ে
বৃষ্টির উৎসব
নৈঃশব্দে
জেনেছিল কেউ
ফুলের নৈঃশব্দ থেকে
ঝরে গেছে
সবর্ণ হিম
পায়ে ভেজা নূপূরে
মেয়ে গন্ধ
নিয়ে চলে যাচ্ছে
অজরা বাতাস
পৌরুষে উঠেছে
সর্বনাশা ঝড়
কে যাচ্ছে
তবে সুদূরে কুহুতান ফেলে
প্রেম ছিল
সুখ ছিল
চোখের গভীরে
মৃদু কাঁপনও ছিল
আর ছিল
নয়নিকা অবুঝ ভাষা
কাঁটা নিয়ে
অস্থির ছিল
শাখার প্রশাখা
কখন যেন জেগে
ছিল শরীরী কলরব
ভুলগুলি ফুল
হয়ে ফুটে যদি সেই
আকাশের নীলে
তারাগুলি চেনাবে ছায়াপথ
প্রেমে
অপ্রেমে জীবন
পুনরায় জাগাবে শপথ