বিপ্লব
গঙ্গোপাধ্যায়
তথাগত
এই
বোধিবৃক্ষতলে প্রেম বাঁশি হয়ে বাজে
সেই সুর
কেঁপে কেঁপে জ্যোৎস্নায় স্নিগ্ধ করে
চারপাশ
শিল্প শব্দ
সঙ্গীতের সমস্ত সরণি
তপস্যার এই
পথ প্রসবযন্ত্রণায় কুরে কুরে খায়
কী খোঁজে?
অনন্ত
রাত্রিহীন ঘুমে ছেঁড়াখোঁড়া তন্দ্রার ভেতর
জ্বরে তাপে
শোকে শুশ্রূষায়
আরোগ্যভূমির
পাশে অপলক চেয়ে থাকে শ্মশানের ছায়া
কোথায়
মুক্তির পথ ?
অখণ্ডমণ্ডলাকার সেই সত্য জীবনের রূপ রস ধ্বনি
তৃষ্ণার্ত
অন্বেষণে অস্থবির হাত
ভেঙে দেয় ঐশ্বর্যের আলোমুখ ,
সুন্দরী
একান্ত নারী , দাম্পত্যস্থাপত্য, অপত্যের মায়াবী আঙুল
তাকে ফেরাতে
পারেনা ।
সত্য শুধু
সত্য আর শিল্পের নির্মম অক্ষর
সুজাতার
পরমান্ন , নির্বানের পথ ।
শেকড়ের ডালপালা
থেমে আছি
শুধু গাছগুলো
বড় হয়ে উঠছে চোখের সামনে
কোথাও চলে
যাচ্ছে
ফুল ফোটানোর
সময় হলে
ফিসফিস করে
ঝরে পড়ছে
ভালোবাসা
স্থির হয়ে
আছে চোখ
হাত পা
চলাচলের
রাস্তা
শুধু উপরের
দিকে আকাশ
যা বেড়ে
যাচ্ছে সীমাহীন
গাছেরা চলাচল
জানে
আমি শুধু
স্পর্শ করে আছি শেকড়ের ডালপালা
আবর্তন
ভ্রমণপিপাসু
মাটি সরে আসছে চৌকাঠের দিকে
এবং
দৃশ্যগুলি বদলে দিচ্ছে তোমার চোখ
চশমা পুরানো
হলে
অভিজ্ঞতা
সাবালক হয়
লেন্স বদলাতে
বদলাতে
এক পৃথিবীর
থেকে
অন্য পৃথিবীর
দিকে ঘুরে যাচ্ছে
আমার বয়স ।
বৃষ্টির জানালা খুলে
এক
কালো দাগ
মুছে ফেলা গোপন অসুখ
মীমাংসাবিহীন
তুমি শুয়ে আছো আজ ক্যালেন্ডারে ঝরাপাতা,
উড়ন্ত আঁচল
দিয়ে ঘেরা এক নির্মম বুননে
জলশাঁখ বেজে
ওঠে বুকের কার্নিশে
শব্দ ছিটকে
যায় ফুঁ য়ে
ব্যথার
অপ্রেম স্পর্শ শরীরের ভাঁজে বিষ
নীলকণ্ঠ
সহিষ্ণুতা বোবাজলে ডুবেছে আবুক
চলে যাচ্ছে
অগভীর
সদুত্তর
প্রশ্নের দ্রাঘিমা
অপরাহ্ণে
দলছুট আলো
দুই
মাঠ বলতে
সবুজের সমারোহ
টুকরো টুকরো
আলো এসে
তার গায়ে
নির্জন স্বাক্ষর রেখে যায়,
তখন কারুকাজ
করা মনখারাপ ছিটকে যায় দূরে
ঐ নদীর
কিনারে
বৃষ্টির
জানলা খুলে কেউ এলো
তার হাতে
বন্ধুত্ব স্মারক
বিদ্যুৎলতার মতো
এক ঝলক ক্ষনজীবি সুখ
এপিসোড
ঘুম পিছলে
যায়…
স্টিরিওফোনিক
কিছু বাকলের ঘ্রাণ
গান বাজে…
পার্শ্বচরিত্রসহ উঠে আসে
অনাত্মীয়
ছায়া।
নিলয়ের
ফিসপ্লেটে চিড়,
টি আর পি
আকাশমুখী
আনাড়ি প্রলেপ
ঢাকা ক্ষত…
ঐ মেয়েটির
জন্য চেরাপুঞ্জি নেমে এল আজ ।