কবিতাউৎসব
সাক্ষাৎকার ১৪২৫
কবিতাউৎসব: কবিতা উৎসবের পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগত। কবিতা আর বাঙালি: বাঙালি আর উৎসব’ এ যেন এতটাই স্বত:সিদ্ধ যে, এই নিয়ে কোন সংশয়ের অবকাশই থাকে না। আমরা কবিতা
লিখতে ভালোবাসি। কবিতা পড়তে ভালোবাসি। কবিতায় থাকতে ভালোবাসি। আর কবিতা নিয়ে উৎসব
তো আমাদের বারোমাস্যা। তাই কবিতা নিয়ে বাঙালির এই উৎসবকেই আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ মাসিক
কবিতা উৎসব,শুধুমাত্র কবিতার জন্যে কবিদের মাসিকপত্র।
বাংলার জনজীবনে কবিতার এই যে একটা বিপুল প্রভাব এই বিষয়টি আপনাকে কি ভাবে প্রভাবিত
করে। এবং আপনার লেখকসত্ত্বার গড়ে ওঠার পেছনে এই প্রভাব কতটা ক্রিয়াশীল ছিল বলে মনে
করেন আপনি?
তনুজা চক্রবর্তী: প্রথমেই বলি আমি কবিতাকে ভালোবেসে ছিলাম প্রথম নজরুলের লিচুচোর কবিতাটি আবৃত্তি
করে পাড়ার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে,পরবর্তী সময়ে রবিঠাকুরের পূজোর সাজ আর সুকুমার রায়ের কাতুকুতু
বুড়ো কবিতাটি পাঠ করে। তারপর সিলেবাসে বিভিন্ন ভাষার কবিতা পড়ে আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়তে শুরু করলাম,সেই প্রেম সার্থকতা পেল আরও গভীরভাবে যখন প্রেমপত্রে বিভিন্ন
কবিতার লাইন কোড রূপে আসতে লাগল আর কলেজ জীবন শুরু হল। আস্তে আস্তে বুঝতে
পারলাম কবিতার একটা নিজস্ব জগত আছে যার ব্যপ্তি মানুষের হৃদয় অবধি। কবিতার পাঠক সবাই
নন,যারা কবিতা পড়েন
তারা কবিতাকে সত্যিই ভালোবেসে পড়েন। আমার আশেপাশে সেই মানুষদের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না, যতটা গল্পের পাঠকের সংখ্যা ছিল। হাবিজাবি লিখেছি
প্রচুর,সেগুলো যে কবিতা
হতে পারে তা কোনদিন ভাবিনি। একটা সময়ে যখন সেটা অনুভব করলাম তখন সময়টা অনুকূল
ছিল না আমার জন্য
খুব অল্প বয়সে বিয়ে ও সন্তান এসে যাওয়ার ফলে। কিন্তু গানটা কোনোদিন ছাড়িনি,তখন গানের মাঝে কবিতা ধরা দিত আমার কাছে,নজরুলের গান,গানের প্রতিটা শব্দ,ভাব আমাকে যেন কোথায় নিয়ে
চলে যেত। সেই অর্থে কবিতার প্রতি মানুষের এত ভালোবাসা প্রথম উপলব্ধি
করলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় আত্মপ্রকাশ করার পর। তার আগে কবিতার প্রতি মানুষের ভালোবাসা অনুভব করেছি শুধুমাত্র আমার স্বামীর চোখে, কথায়। একটা প্রত্যন্ত
গ্রামের মেয়ের সেই সময় কবিতা সম্পর্কে এর থেকে বেশি কিছুই জানা সম্ভব ছিল না। আমার মায়ের বিয়েতে
উপহার পাওয়া কবিতার
বই সঞ্চয়িতাই ছিল বারবার পড়ার জন্য একমাত্র কবিতার সংগ্রহ। তাই এখন কবিতা
লেখার যে উৎসাহ আমি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাচ্ছি সেটা আমাকে যতটা কবিতার জগত সম্পর্কে
জানতে সহায়তা করছে ততটা আমি আগে সত্যিই জানতে পারিনি। তাই আমার কবিতা
লেখার ভালোবাসার উৎস সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত, সেখানে কবিতাকে ভালোবাসার জগত অনেক পরে এসেছে। কিন্তু আজকের কবিতাউৎসব যে কাজটা করছে সেটা আমার মত ভালোবেসে
ও ভালোবাসা কে কাছে না পাওয়ার যে যন্ত্রণা তার থেকে তাদের মুক্তি দেবে,কবিতাকে ভালোবাসার এই যে
একটা বিশাল জগত আছে তা তারা সৃষ্টির প্রথম থেকেই অনুভব করতে পারবে। তাই আমি চাই কবিতাউৎসব
যে সুন্দর প্রচেষ্টা শুরু করেছে তা সম্পূর্ণ সফল হোক, মানুষ আরও বেশি বেশি করে কবিতাকে ভালোবাসুক।
কবিতাউৎসব: কবিতা লেখার শুরুর সময় থেকে আজ অব্দি সময় সীমায় কবিতা সম্পর্কে আপনার ধারণার বিশেষ
কোন পরিবর্তন হয়েছে কি?
এই প্রসঙ্গেই জানতে চাইব আমাদের বঙ্গসংস্কৃতিতে কবিতা লেখা
কতটা হুজুগ সর্বস্ব আর কতটা সাধনা সাপেক্ষ বলে মনে হয় আপনার।
তনুজা চক্রবর্তী: কবিতা সম্পর্কে আমার যা ধারণা ছিল তা অনেকটাই বদলে গেছে। আমি কবিতাকে যেভাবে
ভালোবেসেছিলাম সেই ভালোবাসায় অনেক রদবদল ঘটাতে হয়েছে চাহিদার সঙ্গে, সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে। এখন কবিতা লেখাটা
বেশ খানিকটা সময় কাটানোর একটা পক্রিয়া বলে আমার মনে হয়, যেখানে সেইভাবে কিছু না পড়েই অনেকে কবি হতে চলে
এসেছেন। সহজাত সৃষ্টির যে একটা নিজস্ব অনুভূতি আছে সেটা আমি খুব কম
খুঁজে পাই, কেমন যেন জোর
করে লেখা হয়েছে বলে আমার মনে হয়।
কবিতাউৎসব:
কবিতা লেখার প্রেরণায় স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ না কি অভিজ্ঞতাজাত
জীবনবোধ সঞ্জাত চেতনার নান্দনিক বিকাশ, কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় আপনার
কাছে? যদি একটু বিস্তারিত আলোচনা করেন এই বিষয়ে।
তনুজা চক্রবর্তী: আমি দুটোরই প্রয়োজন
আছে বলে মনে করি। এই দুটোই একে অপরের পরিপূরক,কোনো টাকে ছাড়াই কবিতা লেখা
সম্ভব নয়। কবিতা যেমন অনুভব করতে শেখায় তেমনি কবিতা ইতিহাসকে চিনতেও
শেখায়। তবে স্রষ্টার ভালোলাগা অনেক সময় এদের মধ্যে বৈমাত্রেয় ভাইবোনের
সম্পর্ক স্থাপন করে, তখন পাঠকের মনে হতেই পারে এদের মধ্যে যেকোনো একটা হলেই কবিতা
সৃষ্টি সম্ভব হয়। কিন্তু মন দিয়ে পড়লে বোঝা যায়,দুজনেই দুজনের সঙ্গে আছে,তারতম্য শুধুমাত্র পরিমাণে। পড়ার ইচ্ছে আর সময় এতটাই কমে গেছে যে,কবিতা নিজেই নিজেকে
উপলব্ধি করাতে ভুলে যাচ্ছে।
কবিতাউৎসব: কাব্য সাহিত্যে শ্লীলতা অশ্লীলতার বিতর্ক চিরন্তন। একবিংশ শতকের প্রথম পর্যায়ে
দাঁড়িয়ে এই বিষয়ে আপনার মতামত জানতে আগ্রহী আমরা।
তনুজা চক্রবর্তী: বুদ্ধদেব বসু বলেছিলেন,“যা কিছু ব্যক্তিগত তাই পবিত্র।“ আর আমি মনে করি মাত্রাজ্ঞান থাকাটা খুব জরুরী। মাত্রাজ্ঞান ঠিক
রেখে যাই লেখা হোক সেটা শ্লীল না অশ্লীল সেটা বিচার করার দরকার আছে বলে আমার অন্তত
মনে হয় না। তবে পাঠক তার ব্যক্তিগত মতামত সবসময়ই প্রকাশ করতে পারেন, সেখানে স্রষ্টার নিরপেক্ষ
থাকাটাই কাম্য হওয়া উচিত ।
কবিতাউৎসব: বাংলা সাহিত্যের আদিগন্ত জুড়ে যে তিনজন কবির ভুমিকা বা প্রভাব সবচেয়ে বেশি, সেই রবীন্দ্রনাথ নজরুল ও জীবনানন্দের কাব্য ভুবন ছাড়িয়েও বাংলা কাব্যসাহিত্য
আজ অনেকদূর বিস্তৃতি লাভ করেছে। সেইখানে দাঁড়িয়ে আজকের বাংলা কাব্যসাহিত্য
সম্বন্ধে আপনার সামগ্রিক মূল্যায়ণ সম্বন্ধে যদি কিছু বলেন বিস্তারিত ভাবে।
তনুজা চক্রবর্তী: এখানে আমি একটাই কথা বলব, কবিতার অতিরিক্ত গদ্যপ্রেম
আমার পছন্দ হয় না। মাঝে মাঝে কবিতা পড়তে গিয়ে খুব কষ্ট হয়, খুঁজে পাইনা তার ছন্দ তার
সুর। নিজস্বতা হারিয়ে ধার করা জীবন নিয়ে পথ চলছে মনে হয়। কবিতা নিজেকে
বদলাতে গিয়ে হারিয়ে না যায়,এটা আমি সবসময়ই ভাবি। কবিতার অতি আধুনিকতা
কবিতার ভালোবাসা কে অনেকটাই হত্যা করেছে। কবিতাপাঠ শুনলে আজকাল আমার কেমন যেন নাটক শুনছি
মনে হয়,বোধহয় আমিই ভুল।
কবিতাউৎসব: কবি আর কবিতার পাঠক এর মধ্যে যোগসূত্র হিসাবে সাহিত্য সমালোচকদের ভুমিকা কতটা
গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাছে?
তনুজা চক্রবর্তী: অবশ্যই সমালোচনার দরকার,সমালোচনা তখনই কেউ করবেন যখন তিনি কবিতাটা ভালোভাবে পড়বেন,এটাই সবচেয়ে বড়ো পাওনা। সমালোচনা না হলে
সৃষ্টির কোনোদিন উন্নতি হবে না। তাই সমালোচনার দরকার,তবে সমালোচনায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখা খুব দরকার। যাকে ভালোবাসি
সে বাজে লিখলেও তাকে তোলার জন্য ভালো ভালো কথা লিখে দিলাম,এই ভাবনাটাই চিরকাল সবচেয়ে ক্ষতি করেছে সাহিত্যের,দিনদিন যার মাত্রা বাড়ছে
স্বজনপোষণ করতে গিয়ে।
কবিতাউৎসব:
কবি হিসাবে একজন কবির সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্বন্ধে আপনার
অভিমত কি? আপনি কি কবিতার সামাজিক দায়বদ্ধতায় আদৌ বিশ্বাসী?
তনুজা চক্রবর্তী: আমি ব্যক্তিগতভাবে
মনে করি সমস্ত সাহিত্য ও কবিতার সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকা
উচিত। শিল্পের জন্য শিল্প এটা আমি বিশ্বাস করিনা,আমি মানি মানুষের জন্য শিল্প।
কবিতাউৎসব: নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শ কবিতার সাহিত্যমূল্যের পক্ষে কতটা প্রতিবন্ধক বলে
মনে করেন আপনি। না কি রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তি থেকেও মহত্তর কবিতার সৃষ্টি সম্ভব?
তনুজা চক্রবর্তী: কারও নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতেই পারে, তবে সেক্ষেত্রে তার লেখার
পাঠক বেশিরভাগ তার মতাদর্শের বিশ্বাসী মানুষ হবেন। অধিকাংশ মানুষ
কাব্যগুণ বিচার না করে শুধুমাত্র তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের উপর গুরুত্ব দেবেন এটা তো সৃষ্টির
এক বড় প্রতিবন্ধকতা।
কবিতাউৎসব: কবি শঙ্খ ঘোষের মতে,
‘সাহিত্যের, সমাজের, আমাদের মূল্যবোধের,
আমাদের জীবনযাপনের সামূহিক ক্ষতি করাই এস্টাবলিশমেন্টের কাজ’। আপনিও কি সেই মতে বিশ্বাসী? আবার আমরাই দেখতে পাই এই এস্টাবলিশমেন্টেই অনেক কবি সাহিত্যিককে খ্যাতির শিখরে
পৌঁছিয়ে দেয়। একজন সত্যিকারের কবির পক্ষে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কতটা দুরূহ বলে
আপনার মনে হয়?
তনুজা চক্রবর্তী: কাজটা সত্যিই দুরূহ। এস্টাবলিশমেন্টের মধ্যে থাকলে কবিরা তার অঙ্গীভূত
হয়ে যান। স্বাধীন চিন্তাভাবনা তখন তিনি হারিয়ে ফেলেন। এটা আমার ব্যক্তিগত
পর্যবেক্ষণ থেকেই বললাম।
কবিতাউৎসব: বাংলা কাব্যসাহিত্যের উপর বিশ্বসাহিত্যের প্রভাব সর্বজনবিদিত। আপনার
কাব্যচর্চায় এই প্রভাব কতটা সচেতন ভাবে এসেছে? এই প্রসঙ্গেই জানতে চাইব, আপনার খুব প্রিয় বিদেশী কবি কারা?
তনুজা চক্রবর্তী: সব দেশেরই সাহিত্য বা কবিতার মধ্যে বিদেশী সাহিত্যের প্রভাব
থাকে । কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত আমি সেটাকে এড়িয়ে চলেছি, ভবিষ্যতের কথা এখনই বলতে
পারব না।
কবিতাউৎসব: কিন্তু বাংলা কাব্যসাহিত্যের প্রভাব কি বিশ্বসাহিত্যের কোন অংশের উপর দেখা যায়
আদৌ? না গেলে কেন?
তনুজা চক্রবর্তী: এ বিষয়ে আরও নির্দিষ্ট করে গবেষণা করার প্রয়োজন আছে। তবে আমার উপলব্ধি বলে আমাদের বিদেশী সাহিত্যের
প্রতি যতটা প্রীতি আছে,অন্যদের ততটা নেই।
কবিতাউৎসব:
একজন প্রকৃত কবির কাছে প্রাতিষ্ঠানিক পুরস্কার কতটা
মূল্যবান? পুরষ্কারের খ্যাতি কবির প্রতিভাকে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেয় না কি এগিয়ে নিয়ে
যেতে সাহায্য করে আরও?
তনুজা চক্রবর্তী: পুরষ্কার একটা স্বীকৃতি যার ভালোমন্দ উভয় দিকই আছে।
কবিতাউৎসব: আজকের বাংলা কবিতায় ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মধ্যে সমন্বয় সাধন কতটা জরুরী বলে মনে
হয় আপনার? এই বিষয়ে তরুণ প্রজন্মের কবিদের ঠিক কি পরামর্শ দিতে আগ্রহী আপনি?
তনুজা চক্রবর্তী: আমার অভিজ্ঞতা বলে,ঐতিহ্যের ভিতের উপর আধুনিকতা গড়ে ওঠে। তাই ঐতিহ্য কে
বাঁচিয়ে রাখা আর আধুনিকতাকে গ্রহণ করার মানসিকতা দুটোকেই কবিতার মধ্যে বাঁচিয়ে রাখার
খুব দরকার।
কবিতাউৎসব:
আজকের বাংলা সাহিত্যের দিগন্তে কবি খ্যাতির যে একটি বাজার
মূল্য দাঁড়িয়ে গিয়েছে সেটিকে আপনি কিভাবে দেখেন। অর্থাৎ এর ভালো মন্দ দুই দিকের
বিষয়ে যদি বলেন।
তনুজা চক্রবর্তী: কবি সাহিত্যিকদেরও পেটের ভাত লাগে,তাই খ্যাতির বাজার মূল্যের
দিকে অনেকেরই নজর থাকে। কিন্তু শুধুমাত্র বাজার মূল্যের দিকে লক্ষ্য রেখে
যদি ক্রমাগত লেখা চলতে থাকে তাহলে সাহিত্যের মান তলানিতে ঠেকতে বাধ্য। এটা একজন সাহিত্যিকের
কখনোই কাম্য হওয়াউচিত নয়।
কবিতাউৎসব: কবিতাউৎসবের পক্ষ থেকে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। পরিশেষে জানতে চাইব বাংলা
কাব্যসাহিত্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
তনুজা চক্রবর্তী: আমি অবশ্যই আশাবাদী,বাংলা কাব্য সাহিত্য তার সফলতা ধরে রাখবে। তবে তারজন্য আমাদের সৃষ্টিটাকে এমন হতে হবে যাতে সেটা সর্বজন গ্রাহ্য হয়। কাব্য মানেই কঠিন কঠিন শব্দের সমাহার নয়,তারমধ্যে ভাবনা চিন্তার সুন্দর জগতটা ধরে রাখতে হবে
সহজ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। কবিতা পড়তে গিয়ে অভিধানের সঙ্গ এখন একটু বেশিই
নিতে হচ্ছে কবির কাব্য প্রমাণের তাগিদে। আর পাঠের অভ্যাস তাই দিনদিন তলানিতে ঠেকছে, সেটা নিয়ে ভাবার সত্যিই খুব
দরকার ।