শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১৮

পৃথা রায় চৌধুরী


পৃথা রায় চৌধুরী

অপসরণ

নিয়ম করে সহনশীল হবার শিক্ষা দিয়ে গেছো
সে নিষ্ঠার সাথে চিবিয়ে গেছে নিজের তাবৎ ইন্দ্রিয়।


তোমার টেম্পোরাল লোবের কিছু অংশ ছাড়া
বাকিটার মালিকানা কেবলই তার জেনে
মিঠিমঠি খুশি উপচে যাওয়া চুপ চোখ,
বিষাক্ত পিঁপড়েরা সারিবদ্ধ খেয়ে গেলো
প্রাণ, নিঃশেষে নির্বিকার।


এখন কাজলের নাম মেঘ, আলগা হাসি রোদ
চলে যাও, চলে যাও সুরে নুয়ে পড়া অষ্টম বিস্ময়
বেহায়াপনার চরম সীমায়
দেওয়াল দেখিয়ে ঘোষণা করেছে আনারকলি হও।


চলে যাওয়ায় আওয়াজ থাকতে নেই,
জানান দিলে থেকে যায় ফিরে আসার খড়কুটো
কে না জানে, সেখানেই জন্মায় পৃথিবীর তিনভাগ।







ভালো থাকা

খণ্ড খণ্ড ঘুম, রক্ষিত দেওয়াল
দরাজ গলায় বিভিন্ন সুরের স্বপ্ন;

ইতস্তত আঙ্গুল ছুঁয়ে দ্বিতীয় জন্ম
ভুলের পথে তর্ক মাখা ওম।

একটা অন্য ছাদের ওপর
কুসুমরং শরীর...

কথা মিশছে
আবার শরতের নদী
খনি অভিমুখী।







জোয়ার আসে

তাই নিজের নিয়েই থাকা
তাই সাগর আঁকড়ে রাখা
তাই উড়িয়ে দেওয়ার কাল
তাই ছেঁড়া মুঠোর জাল...


..ফেরা।







আতরদান

মানিব্যাগের গোপন খোপে
একটুকরো রামকৃষ্ণ স্টুডিও
চিটচিটে আঠেরো একুশ পাশাপাশি
তামাটে বিবর্ণ।


পিঠ পর্যন্ত দেওয়াল ঠেকে গেলে
আজান আরতি গির্জার ঘণ্টায়
মিশে যায় বহু পুরনো
ঘাড়ে গলায় লেবুপাতা গন্ধ।


স্টেশন রোডে অমৃত বস্ত্রালয়
এখনো বেচে থান কেটে
কুমারী রঙের ষোড়শী ছিট
ম্যাচিং ওড়না।







জলচিঠি

অন্ধত্ব মেনে নিয়ে অবিশ্রান্ত ভিজে চলেছে পাতারা
অন্ধকারের তেজে ভোর ফুটে ওঠে না সেই কতো কাল
স্বপ্নের সেই গোল বাঁধানো গাছতলা
অপেক্ষার সাদা হতে থাকা চুলের গুছি
ফ্যাকাশে হতে থাকা তারায় শুধু বর্ষাকাল


সামান্য অকারণ হাসির ছোঁয়াও মিলতে নারাজ কড়া পাহারায়
কবে মর্চে ভেঙে আবার সূর্যের আভাসে লেখা হবে,
আশ্বাস মিথ্যে ছিলো না!


কিছু চিরকুটে পাঠানো বুদবুদ ভরসায়
খুশির প্রলেপে অভিমান, পথচাওয়া, কারণকান্নার ঢেউ
গোলাপি ওড়নায় কালো পাঞ্জাবী ধোয়া পৌরুষ...


চিত্রকল্পের সুগন্ধ মেঘছেঁড়ার রং গায়
উন্মাদ এলোমেলো রাতবেহালায়।