শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১৮

মৃণালিনী



মৃণালিনী

বৃষ্টির গায়ে লেখা প্রেমের গল্প


পদবি প্রাপ্ত রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে নেমে পড়ি নক্ষত্রহীন গলির ভেতর
সরু সরু নামহারা আগাছার ফুল অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে
কিছু রাস্তা পাড়া শিরোনামে মধ্যম
কিছু পাড়া জুড়ে এলাকায় উত্তম
বিশিষ্ট এলাকার পিঠে বিখ্যাত নামে পদবিধারী সরণী
কালো মসৃণ ঝকঝকে উন্নাসিক। বিংশশতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সুন্দরী ।

কিছু গল্প রাস্তায় জমে
কিছু বিনা ভূমিকায় শেষ নিঃশ্বাস উপসংহারে
কিছু গল্প উপসংহারের সুতো টেনে সম্পর্কের মোড় পরিবর্তন
কিছু গল্প আরব্য রজনী ইশারায় নির্জনে গুপ্ত কাহিনি
বুকে দন্ডায়মান ক্ষুধার্ত দানব ডাস্টবিনে জমা আবর্জনার ছেঁড়া ইতিহাস।
পায়ের চাপে চাপে মৃত আগাছার বুক চিরে
জলা জমি নরম পলির শরীরে লক্ষ্মীর পায়ের ছোপে কখনও
কেচ্ছা কাহিনি রাস্তায়- বৃষ্টির জলেও রাখে দাগের বার্তা

বড়ো বাড়ি, গলির কোণে শনি মন্দির, গেটের গায়ে আমগাছ
পরিচিতিতে নাড়ীর টানে আবহমানের নীরব সাক্ষী দেখে
পুরনো ঘটনায় নতুন মুখের পুনরাবৃত্তি
রাস্তার বদল হয় না, বদল হয় না কোন ঘটনা বা কাহিনি
শুধু বদল হয় ক্যালেন্ডার, কিছু মুখ, কিছু রঙ, নতুন সুরে পুরনোর পুনরাবৃত্তিতে
রাস্তা ক্ষোভে চৌচির কখনও স্তব্ধ বুকে গাঁথে ভূমিকায় উপসংহারের কাহিনি ।







হাতের ইশারা পাগলামি ছিল মেনে নিলাম
বাইক থামিয়ে উপকারের ভূমিকায় সেবক কালীমন্দিরে
নিয়ে যাবার ইচ্ছেটা বাতলামি ছিল মেনেই নিলাম
যৌথ পূজো দেবার নিয়মে রোজ বাইকে লিফট?
উদারতা অফিসেও সাহিত্য চলচ্চিত্র পরচর্চা
কুমারী স্তন ঘেঁসা রাস্তায়, চেয়ারে বিবাহিতার রসে পরকীয়া।

আমি কৌতূহলী প্রশ্নকর্তা মাঝসমুদ্রের তরণীতে
মেধাকে মাধ্যাকর্ষণ করতেই শেকশপীয়র থেকে রবীন্দ্রনাথ
কামু কাফে সার্ত্রে আরভিন সত্যজিৎ থেকে ঋত্ত্বিক
রোদের ছায়ায় স্নিগ্ধ মন নয়, '' মেটিরিয়াল
কামসূত্রের পোজে কোমর দুলিয়ে এল উন্মাদনা
তিন- চার সংখ্যা জুড়তে জুড়তে তুমি মূর্খ উন্মাদ পাহারা দায়িত্বে
বিনিময়ে রাতের উষ্ণ শরীর ভোরের পান্তায় বিলোয় মিথ্যার সুরা।







কথা বলা বন্ধ করে ভালো করেছিলাম
এখন কথা বলতে চাইছ না,নাই বা বললে
কথার ভাঁজে বিরক্তি ভালোবাসার প্রত্যাখ্যান
ঘেন্নাভরা চোখে অযাচিত অপমান!
কোথায় দৃষ্টিতে শাণিত তরোবারির তীক্ষ্ণ ফলা!
সব ধুয়েছে শ্রাবণের বৃষ্টিধারা
তিন রঙের জলধারার সঙ্গম; সূ্ঁচ চোখে কথায় ধূলো
প্রশ্নের উত্তরে সাধুভাষায় বাক্যের বল্লম
রিপিট টেলিকাস্ট দেখা হয় নি, বেতার সংবাদ একমাত্র মাধ্যম...


কানামাছি খেলায় তোমার চোখ খোলাই ছিল
স্ট্র্যাপের ভেতর উঁকি ঝুঁকিতে বাজের চোখের বায়না আক্ষেপ! না।
মিথোষ্কিয়ায় ঘূর্ণাবর্তে আমার প্রিয় শশ্মানঘাটের আয়না
এখন তো সবই খোলামেলা
দেওয়ালের পোস্টার প্রচার সুখে মেলেছে ডানা
বিজয় অভিযান লেখা হচ্ছে পাতায় পাতায়
পতকার আগে-পিছে এখন, পরে করবে শক্ত চেয়ারের বায়না
সব কিছু সহজ সহজাত গুণাবলীর সমাহার
দিল্লি আর দূর কোথায় আকাশের রাস্তায়!


আশা-ভরসা স্বপ্নভরা চিঠিগুলো আজও রাণারের কাঁধের বস্তায়
গন্তব্য দূরে ঝুমঝুম ধ্বনির অনুরণন তারা মাইলস্টোন নক্ষত্রপথের রাস্তায়।






দেবদারু ম্যাচিওর হয়েছে, শাখামূল ছড়িয়ে আমিও
ও অনেক কিছুই জানে যা তুমি জানো না
রান্নাঘরে ক্লোরোফিলের খুনসুটিতে সূর্যের আড়ালে আধবোঝা চোখে
শিশুপাতাদের খিলখিল হাসিতে গাঢ় বুদ্ধিমতীদের ভাঁজে ভাঁজে
চাতকের চোখে তুমি, দূরে বর্ষাহীন আকাশ
তৃষ্ণার মরুভূমিতে দৃষ্টি ঘড়ির চোখে সময়
লোক লজ্জার অলংকারহীন তোমার বুফে ভালোবাসা
বিবাহিতা বিধবা আমন্ত্রিত ভোজনশালায়, কুমারীর প্রবেশ নিষেধ
সুতরাং

     রক্তাক্ত আত্মায় তৃষ্ণার অনুভূতি গৈরিক,ছেঁড়া স্বপ্নগুলো লাগেজে
মার্বেল চোখে সূর্যের আতঙ্ক রোপকূপের শিহরনে অ্যালজোলাম; উপসংহার নয়
কাহিনি পার্ট ওয়ান শেষে চলছে পার্ট টু ও পার্ট থ্রি, রিপিট টেলিকাস্ট
হোটেল রেঁস্তোয়া সেফটি লোনের লোনলি ফ্ল্যাট,
আফটার শেভ ফ্রেশ লুক স্ট্যাপের ঝুলে পড়ায় কানাফুচির গোলাপ
দেবদারুর চোখে জল, আর একটিতে বসন্তের ধূলো
ত্রিকোন পরকীয়া বিতৃষ্ণায় ও ঝরায় পাতা, পাতার স্তুপে গোনে সময়
আজও ত্রিকোণ কাহিনিতে স্মৃতিহারা চোখের সাক্ষী দেবদারু পাঁজরহীন।







আমাকে বোঝাতে এসো না আর
নিরলঙ্কার জীবন তোমার দেয়া উপহার
পৃথিবীর স্টেজে সবাই অভিনেতা
সুদক্ষ চরিত্রে অভিনেতা মগজে নাট্যকার চোখে চোখে মূকাভিনয়
চিত্রগুপ্তের খাতা কলিকালে হারিয়েছে নাম ধাম বংশ পরিচয়।



থেলতে যাওয়া টমেটো হাটভাঙা মাঠ ছেড়ে
বেহুলার ভেলায় তুমিও ঠিক পৌঁছে যাবে
ম্যানিকুয়িনের সৌন্দর্যে অভিভূত মনে বিখ্যাত শপিং মলে।






তুমি বলতে তোমাদের মুখগুলো ভাসে আবর্জনার নোনতা জলে
রাতের কথারা পাশ ফেরে যেমন ভোরের আবেশে সূর্য অনুরাগে
অকালবৃদ্ধের হাসি, মেনীর বারোয়ারি পূজো প্রাপ্ত ডগি ক্লান্তিহীন খাসি
নেটওয়ার্ক বেতার সংবাদে শুনি সূচনা লগ্নের বাগদত্তার কাহিনি
অবাক করে না তোমার গুণাবলী সংকীর্তনে
পুরুষ হলে হয়তো হত!
আনুগত্যের আকাশ চায়নি কোনদিন কেমিক্যালের ম্যানিকুইন!

 

ভদকা গলে বরফে, আলো নেভায় নোনলি ফ্ল্যাট
মেনী হুলো ডগি চৌষট্টি কলার খাসি পাহারার দায়িত্বে
লোকে বলে লিভিং রিলেশন!
আমার ভাবনাতে
শিকারী শিকারের কামদেবতা পুরুষ চরিত্রে তুমি অতিউত্তম।







হাইওয়েতে হাতের ইশারায় থমকে দাঁড়িয়েছিল তোমার কৌতূহল
উপকার সৌজন্যমূলক প্রশ্নে বাইকের টেউয়ের বাঁকে বাঁকে
তিনটি শব্দ অনুচ্চারিত মনের ক্যানভাসে সেভক কালীবাড়ি
বিপরীত মুখে তৃষ্ণার্ত চাতক মানসিক সঙ্গী
আষাড়ের শরীরে ফুটো,
কথায় হাসির ঝর্ণাধারা নীরব রাস্তার চোখের পাতায়
শিরোনামহীন নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

ঋতুবতী বর্ষা কতবার ধুয়ে দিয়ে গেছে মসৃণ গালের পীচ
পারেনি সিগারেটের ধোঁয়ার কুন্ডলী
লাল শাড়িতে দোদুল্যমান রাগ- রাগিনী
নির্বাক আর্তনাদে ভরাট প্রতিদিনের রঙ বাহারি অপমান।

রাস্তা জানে শুরুর প'রের শেষ বাঁক
সমাপ্ত ভালোবাসার অসমাপ্ত উপসংহারে মনের মৃত্যু
রাস্তা নীরব ডায়রি, প্রতারণার গল্পেরা মিথ্যার বর্ষা
একটি স্তরে গুটিয়ে রাখবে মিথ্যা প্রতারণার মিউজিয়াম
গিরগিটি রঙ বদলাবে চিরকাল কালের ঠিকানায় চিঠি লিখে