শুভশ্রী
সাহা
চরিত্রহীন
অসময়ের
বর্ষা চরিত্র নষ্ট করে দেয়
এলোমেলো
সকালে ডুবে যাওয়া রাস্তায় পারাপার
হাওয়ায় দোলে
এলামুণ্ডার ফুলকলি কোমর
বারান্দায়
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আলতো চায়ে চুমুক
কামিজ টা
আটকে আছে ফরসা গোড়ালীর খাঁজে
একদৌড়ে
রাস্তা পার আকাশলীনার বাংলা অনার্স
অসময়ের
বর্ষায় আলসে দুপুর পরিচিত রিংটোন
ফুলেল পর্দা
উড়ে উডে চুমু দেয় আয়নায়
আলসেতে ভেজা
লাল শাড়ি বাতাসে ছড়িয়ে যায়
ভালোলাগা
অপ্রতিরোধ্য পাসওয়ার্ড ছাড়াই
এক চাদরে
অবাধ্য আদর বহুদিনের প্রিয় গান
তোমার মুখে
মখমলি বর্ষার পুরোনো রুপ টান
জয়জয়ন্তী
জল থৈ থৈ
মেঘলা আকাশ
আলসে শরীর
ঠান্ডা বাতাস
তোমার সাথে
নিঝুম দুপুর
শরীর মন
টাপুর টুপুর
এক তারাতে
তোমার সাথে
মেঘের কাছে
রবীন্দ্র নাথে
মেঘমল্লার বা
মধুবন্তী
জোয়াড়ি আজ জয়
জয়ন্তী
শ্রাবনেই
ফোটাব পলাশ
শারদ রোদের
ঝলমলে কাশ
ঋন----
যারা যারা
ভিজে যায় আজীবন
মেঘ কথা রাখে
নামিয়ে শ্রাবন
সেই সব
বৃষ্টি দিনে সাক্ষী ছিল প্রতি রাত
বিষাদ কথা
জানবে,
জানবে না কেউ আর
ভোরেরা
বলেছিল আছি তো নীল ভরানোর
অন্তরালে ছিল
মায়া মুখ আলো হারানোর
তোমাকে বুকে
করে কাটে আমার দিন
দীর্ঘ বর্ষা
নামে মিটিয়ে গ্রীষ্ম ঋন
কেটে যায় এক
এক করে -- ক্ষত বিক্ষত সময়
হারায় না
আসলে ফিরতে চায় আয়না হৃদয়--
প্রস্থান
যাচ্ছো, যাও
কোথায় যাও এই
তুমুল ধারাপাতে
উঠোনে তোমার
টগর ভেজে নি:শব্দে
যাচ্ছো যাও
দরজাটা
ভেজিয়ে দিয়ে যাও
চারাগাছ গুলি
যত্নের,
যদি উপড়ায় গাইগোরু
আমার ঘুমের
বড় প্রয়োজন
চুপকথা হয়ে
থেকে গেছে স্বপ্নেরা
নিয়ে যেও
তোমার বই,
ডায়েরিটা
সব নিয়ে যেও
যেখানে যত
কিছু পড়ে তোমার
শুধু এই
শূন্য ঘর থাকল আমার
গভীর ঘুমে আর
একবার চেষ্টা স্বপ্ন নির্মান---