শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১৮

অমিত পাটোয়ারী


অমিত পাটোয়ারী

এক গলি পাঁচ ঘর


দিঘির গভীরে বাঁধা ঘর। যে ঘরে
অতীত নেই , কাঁচের গুঁড়োর মত স্নান
মধ্যরাতে পিতার সুরাপান
চলতে চলতে একদিন মাটি কাঁপে
দিঘিও জানতে পারে না
সন্তান কখন নটরাজ হয়ে যাবে
গুটখার ছোপ - রক্তের দাগ , আর
জমে থাকা শ্যাওলার পাপে।

             





মায়েরও যা দোষ ছিল
তাই নিয়ে স্যুটকেশ ভরে
একদিন বড়ো মেয়ে , একদিন ছোটো মেয়ে
ছেড়ে গেলো দু'শো কুড়ি বাই তিন।
কেজানে , হয়তো ডানা ভেঙে ছিল কিছুদিন!
তারপর চলে এলো - তেমন বলার কিছু নয়
আবার জুড়লো ডানা জাহাজ বন্দরে
এরকম হয়ে থাকে। এরকম হয়।

           






একলা অপ্সরা ঘর
দুই শিশু সাথে নিয়ে থাকে
স্বামী সমুদ্র হলে পর
আলগোছে রাত্রিকে ডাকে।
কারণ রাত্রি এলে , সমুদ্র দিতে পারে নোনা
শিশুরাও ঘুমোবে জল ছুঁয়ে
এমন হতেও পারে ঘরে
এই সব কথা তার শোনা।

         






অশ্বত্থ গাছ এবং প্রৌঢ়া
যদি একসাথে থাকে
গাছও তাকে খুঁজে বেড়ায় মৃত্যু হলে
পাতা পড়ে। পাতা পড়ে। ডাকে -
নিঝুম রাতে কাফন্ পেলে সাজায়
যেসব ঘুড়ি সুতোর সঙ্গহীনা
ডেকে আনে , একের পিঠে অন্য সকল শোয়ায়
কুকুরও তার শাবক আগলে রাখে।

      





 

কুয়োর ভেতর মায়ের স্বপ্ন
ছেলে বড়ো হবে , ডুবতে ডুবতে বালতি
বড়ো হয় , বড়ো হয়
কুয়োতলায় কাটে অনন্ত সময়।
যদিও বড়ো হল , ছেলের অন্য ঘর
তাদেরও স্বপ্ন ভরা কুয়ো
ভাবে ছেলে বড়ো হবে। অতঃপর
ডুবন্ত বালতি দেয় দুয়ো।