অমিত
পাটোয়ারী
এক গলি পাঁচ ঘর
১
দিঘির গভীরে
বাঁধা ঘর। যে ঘরে
অতীত নেই , কাঁচের গুঁড়োর মত স্নান
মধ্যরাতে
পিতার সুরাপান
চলতে চলতে
একদিন মাটি কাঁপে
দিঘিও জানতে
পারে না
সন্তান কখন
নটরাজ হয়ে যাবে
গুটখার ছোপ -
রক্তের দাগ ,
আর
জমে থাকা
শ্যাওলার পাপে।
২
মায়েরও যা
দোষ ছিল
তাই নিয়ে
স্যুটকেশ ভরে
একদিন বড়ো
মেয়ে ,
একদিন ছোটো মেয়ে
ছেড়ে গেলো দু'শো কুড়ি বাই তিন।
কেজানে , হয়তো ডানা ভেঙে ছিল কিছুদিন!
তারপর চলে
এলো - তেমন বলার কিছু নয়
আবার জুড়লো
ডানা জাহাজ বন্দরে
এরকম হয়ে
থাকে। এরকম হয়।
৩
একলা অপ্সরা
ঘর
দুই শিশু
সাথে নিয়ে থাকে
স্বামী
সমুদ্র হলে পর
আলগোছে
রাত্রিকে ডাকে।
কারণ রাত্রি
এলে ,
সমুদ্র দিতে পারে নোনা
শিশুরাও
ঘুমোবে জল ছুঁয়ে
এমন হতেও
পারে ঘরে
এই সব কথা
তার শোনা।
৪
অশ্বত্থ গাছ
এবং প্রৌঢ়া
যদি একসাথে
থাকে
গাছও তাকে
খুঁজে বেড়ায় মৃত্যু হলে
পাতা পড়ে।
পাতা পড়ে। ডাকে -
নিঝুম রাতে
কাফন্ পেলে সাজায়
যেসব ঘুড়ি
সুতোর সঙ্গহীনা
ডেকে আনে , একের পিঠে অন্য সকল শোয়ায়
কুকুরও তার
শাবক আগলে রাখে।
৫
কুয়োর ভেতর
মায়ের স্বপ্ন
ছেলে বড়ো হবে
,
ডুবতে ডুবতে বালতি
বড়ো হয় , বড়ো হয়
কুয়োতলায়
কাটে অনন্ত সময়।
যদিও বড়ো হল , ছেলের অন্য ঘর
তাদেরও
স্বপ্ন ভরা কুয়ো
ভাবে ছেলে
বড়ো হবে। অতঃপর
ডুবন্ত বালতি
দেয় দুয়ো।