শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮

জয়া চৌধুরী



জয়া চৌধুরী

অর্ঘ্য

আর কেউ শব্দে ডেকেছিল?
শব্দ কি টংকারে বেজেছিল?
শব্দ যে কুমারী নিষ্কলুষ
শব্দ অর্ঘ্য কি নয়?










চান্স

এভাবেই তবে ভেবে যাবি আজও
এভাবেই পাখির পালক ছাড়াতে ছাড়াতে নেই হয়ে যাই
এভাবেই ভালোবাসারা মনে শরীরে আটকে থাকুক
এভাবেই অভুক্ত থেকে যাই শেষ শ্বাস তক
এভাবেই বাড়িয়ে দেওয়া হাত মাড়িয়ে দিয়ে যা
এভাবেই তোকে পূর্ণ শ্রদ্ধায় ভরিয়ে দিতে চেয়ে হীন করে যাই
তবু জানি ভালোবেসেই যাবি এভাবেই
তবু জানি থেকে যাবে পুরোনো সকলেই
তবু জানি টুয়েলভথ ম্যানেদের দলে রাখা হয়...









ছোট্ট ব্যাপার

সেসব অন্য কথার দিন
সেসব অন্য রকম ভাঁজ
তাকে নিত্য গোপাল ভেবে
মেয়ের এমন রকম কাজ
দিনে দিন থাকে নি আর
রাতে সকাল বেলার আঁচ
ফিরে দেখতে গিয়ে বুঝি
তেনার উপচে পড়া সাধ
তবে বিশদ কিছু হয়নি
রানী গোঁসা ঘরেও যান নি
এখন এদিক সেদিক ঘোরা
মনে কান্না ফুলের তোড়া
আবার এগিয়ে এলে হরি
রাধার মান ফুরাবে ঠিকই









ধর্মরাজ

সবকটা ইচ্ছে মাড়িয়ে এখানে এসে পৌঁছেছি
জানি এ কোন গন্তব্য নয়, মাঝের কোন চটিই হবে
নামজাদা কোন চটি খুঁজি নি আর, বারবার
নামের মোহে পড়ে খন্ড কেটেছে প্রতিটি চাকলা হৃদয় টুকরো
পাঞ্চালীর বস্ত্রের মত নেহাত সে মন
তাই এখনো বাড়িয়ে দেয় তার আকুল হাত
এখনো চোখ বেয়ে জল পড়ে অতুল কোনো মায়ায়
এখনো তীব্র শীৎকার তার ভালোবাসায়
এখনো সে সৃষ্টি করে আর একটি মিলস অ্যান্ড বুন গল্প
গন্তব্যে যাবার পথে ধর্মরাজ তবে সঙ্গে থাকুন
নিজের জন্য কিছু চাই নি আগে, একবার চাইছি... দয়াময়








বসন্ত

আজ সেই পার্ক টার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম
সেই সেখানে আমরা বসে কফি কুলফি বরফ
কিংবা টুকটাক
গম্ভীর তর্কের সময় অবশ্য গাছপালা ঘেরা
কফির কাপ। জানা কথাই তুমি বড্ড তার্কিক
খুব রেগে গেলে ইঞ্জিনের মত ধোঁয়া
ও আমার অভ্যেস খুব
সাঁই সাঁই বাতাস কেটে তটে ফিরছি যখন
প্রাণ ভরিয়ে দিচ্ছিল তোমার গান, চোখও
এখানে বসন্ত খুব...
ওখানে?