সোমা
জানা
হাতপাখা
জানো বেশ
কয়েকদিন ধরে
আমার
হাতপাখাটা খুঁজে পাচ্ছিনা।
খু্জে দিতে
বলেছি মাকে কতবার,
আজ দিচ্ছি
কাল দিচ্ছি বলে ফেরাচ্ছে বারবার।
জানি
এখন fan ac আছে কত কিছু,
তবু সেই ঝালর
দেওয়া লাল ফিতের,
ফুল আঁকা সেই
পাখা
ঠামার হাতের
কতই আদর মাখা।
নিশ্চই তুমি
ভাবছ
পাখা নিয়ে
পাগলামো দেখো কেমন।
আর এ কি আর
পাখা যেমন তেমন,
দাদু ঠাম্মার
প্রেমের গল্প মাখা
সুখ সোহাগের
সবই হিসেব রাখা।
দখো আজ
কালবোশেখি কেমন
ঝড়ো হাওয়ায়
সবই ওলটপালট,
লোডশেডিং এ
বন্ধ আলো ac
আজকে যদি
থাকতো পাখা খানা
বেশ জব্দ হতো
তবে লোডশেডিং এর ছানা।
লাজমী
ছিন্ন ভিন্ন
লাজের অন্তলেখা লাজমী
ঘাগরা, চূর্ণী বোরলা চুড়ি
তে আদ্যোপান্ত ঢাকা।
রুটি,আচার,পাপড় র নিকোনো
উঠোনের মিট্টি।
দিন শেষে
দেশি দারু তে খোলামকুচি সব লাজ।
দগদগে ঘা,পিঠে কালশিটে কলসি
মাথায়
দূর বহুদূর
একুশ শতকের নারী দিবস।
মরীচিকা র টান
উপচেপড়া আশা
কলসী ভর্তি
উৎযাপিত হ্যাপি উইমেনস ডে।।
বিবাহ
অন্তহীন
আন্দদের ধুলোমাখা খেলাঘর
অতলান্ত খাদ
কিংবা স্বপ্ন মহলা।
অশিতে নিনাদ
চাপা আর্তনাদ,
তীব্র দহন
জ্বালা একবুক ক্ষত মাতৃদুগ্ধ।
অনির্বাণ
নিকিয়ে নেওয়া কাজললতা
বুভুক্ষু
যৌবনের অট্টহাসি।
পৈশাচিক
ভালবাসার অনঙ্কুরোদগম।।
ঝিলিক
নিস্তরঙ্গ
নিভৃতে নিয়ন আলোর মালা।
চকিতে ঝিলিক
দিয়ে শিহরিত দোলা,
এ কেমন খেলা
জীবন তোমার
বারে বারে
তুফান তুলে বিধ্বস্ত
নিজের সাথে
নিজের তরবারির কাটাকুটি।
রক্তাত
প্রতিটি কনায় ছিঁড়ে খু্ঁড়ে
ক্লান্ত ঝড়ো
ডানা কাটা এক কাক।।
ইতিহাস
বড় শামিয়ানা
র নীচে
স্বাদ বদলের
কাঁচা মাংসের পিন্ড।
টুকরো টুকরো
আস্বাদন।
আচাঁনোর পরে
ভাবতে বসা সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ।
ছুঁড়ে দেওয়া
বাসি রুটি
পুতি গন্ধ ময়
ভালোবাসা।
বুকের মধ্যে
এক দলা
পুঁজ রক্ত ঘা
নিয়ে জীবিত
দীর্ঘ
বিরহতায় কাতর বৈরাগী।
অভিবাদনে
স্তম্ভিত নির্বিকার পরিহাস
জলভাঙা
শব্দদানবীর মেঠো আঙিনায়
ধুলোমাখা
পদচিহ্ন একেঁ চলেছে কৌতুহলির ভিড়।
নিঃস্ব
অজাতশত্রু রাখাল বাঁশীর
বেদনার সুর,পথিক এর মৃদু হাসি
বলে দিয়ে গেল
জ্বলছে চিতা
অস্থি তোলার
সময় হয়নি এখনও।
কি বলি বলো
তোমায় প্রিয়
সর্বহারার
শয়নকক্ষে ফুলসজ্জা
রজনীগন্ধা র
গন্ধে,ভোজের আয়োজনে
আজ তোমার ও
নিমন্ত্রণ ।।