শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮

অরুণকুমার দাস



অরুণকুমার দাস

সাইবার ঘোড়া

১।

একটি সাইবার ঘোড়া
গ্যাংরেপড উদ্বাস্তু
টুকরো টুকরো মন ও শরীর

খান খান সন্ধার অল্প আলোয়
কোনদিকে চলেযাবে তুমি ---

সমুদ্রের প্রতিভা লুকিয়ে ঝাউবন বাউল

এত-স্মৃতি আলোচনা
ব্যাকরণে কি কি ছিল -

বার্ধক্যের নদীতে সাপ,
সেলাই করা অগ্নুৎপাত
দুঃশ্বাসন!

প্যাঁচা ডেকে উঠলেই পর্ব শেষ
খনন শুরু

মনের ক্রিম উপচে পড়লে বোধের ঘোড়া
খানিকটা শুশ্রূষা







২।

কাকে কাকে য্যানো বন্দনা লিখেছি
এই পর্বের বাইরে একটি সাদা মুখ, অনেক চিৎকার
খয়েরি আকাশের বদলে মানুষের মুখোশ  চাইছিনা

চিনাবাদামের খোশারা শান্ত হও
ভিন্নসাইজের বুট মাড়াচ্ছে
অনিদ্রার শীত
কিছু মেটাফিজিক্যাল চিত্র

সম্পর্কের আধুলি-টাকাটা খোয়া গেলে
এই দালাল প্রথা
সাতজীবন আগের গল্প মুখস্ত বলে দিচ্ছে

রোদের ঘোড়ারা বাইক কিনলে
পেঁজা তুলোর ওমে ডিম ফুটিয়ে নিচ্ছি
আবার মানুষ হব---







৩।

হাত ফস্কালে তীক্ষ্ণ তাকাচ্ছে রোদ
বাইফোক্যাল দিনটা যান্ত্রিক

দৃশ্য দৃশ্য প্রেম সাদাজামার
বুকপকেটে গুঁজে শুয়ে পড়ি

আবার, একশ বছর পরে দেখা হবে

ল্যাপটপে মুখ গুঁজে বশেথাকা কফিহাউস দীধা হও
পাতালদেশে হোলিখেলে ইশকাবন মেয়েরা

এবারের বৃষ্টিতে মা হতে পারেনি -

মাঝরেতের আকাশে,
তাদের আত্মহত্যার দৃশ্য নান্দনিক
ঘাসফুল পাখি হয়ে উড়েগেলে তোমার বিকেল
হলুদ জ্যোৎস্নার বদলে
পরকীয়া বিয়োবে







৪।

দুটো হাত এগোচ্ছে
একটাও গোলাপ নেই

পারফিউম - একটি পাবলিক প্রস্তাব

আমার মাথার ভেতরে মাইক্রোফোন আছে
সাদা ইচ্ছে কালো ইচ্ছে
                                আবাশন ঘিরে থাকে

সব লাফ গন্তব্যে যায়না
তবু,ঘোড়া কিনি
বাহারি পাতারা ঝরে গেলে ইচ্ছে-মৃত্যু
বনসাইটবের যৌনতায়

বসন্তের বাইরের দেয়াল
পিঠঘসে চলে যায় দিন
আবার চায়ের কাপ, জমেওঠা ফাইল
ডুবে যাই-

মাথাথেকে পা-অব্দি কাম

একটা কোনো পথ
একটা কোনো আরক এনে দাও

সঞ্জীবনী গল্পে ঢুকে গেলে
কফিনের দোকানদার বাড়ি চলে যায়যায়







৫।

পেছনের দুটো চোখ খুলেরেখে ঘুমোই
সামনের দেয়ালে অন্ধকার লেখা
ভালো ঘোড়া পেলে কিনব
ডানাওয়ালা ঘোড়া
সকাল বিকাল উড়ান

প্রদীপদৈত্য জেগে উঠলে
এই কাঠ কাঠ পরিস্তিতিও অবশিষ্ট থাকবেনা
তখন জলমহলের জলজীব
মিথ্যে মিথ্যে ধারাবাহিক লেখক

দেখ এই অমার দেশ
ব্যাবহারিক বিজ্ঞাপনে ভাসাচ্ছে শহর, আর
উলঙ্গ হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম







৬।

বুকের মধ্যে হিজড়ে পট্টি
হাততালি দিয়ে ঢোলক বাজিয়ে মাতিয়ে দিচ্ছে
দাঁড়াচ্ছে কেউ কেউ-

বোলচাল ধার করা
তবুও দাঁড়চ্ছে

সম্পদ লুকিয়ে রাখতে রাখতে
পিপড়ে মোহনায় এলে
পেছনে তাকানোর অবকাশ নেই

বাজার দরের কাছাকাছি
একটা অটোগ্রাফ

এক একটা সাঁতার এত দীর্ঘ হলে আমি
ঘোড়ানিয়ে বসে থাকি
সকাল পেরিয়ে সকাল চলে আসে
খ্যামটা শেষ হয়না

ঘোমটার মধ্যে ভয়
যদি অন্যমুখ দেখেফেলি!