জ্যোতির্ময়
মুখার্জি
আমি
জানলা হতে চাই'
তারপর মেয়েটা
ফিসফিসিয়ে বলল
ঠোঁটে-নাকে।
দমবন্ধ। একইসঙ্গে লেপ্টে
বাইরে
আত্মীয়স্বজন সমেত একগুচ্ছ ডালপালা
নিঁখুতভাবে, খুব সম্ভবত চলন্ত
দুপুর
ট্রেনের মতো।
নিঃশ্বাসে বা ওইরকম কিছু
কেঁপে ওঠা
শরীর এবং কিছু মুহূর্ত
আয়না চোখে
'আমি জানলা হতে চাই'
লোনা জাহাজ
এখন সে
দূ........র…...ত্ব
বিনীত বা
বিষণ্ণ
কিছু বাতাস
প্রার্থনার সময় সমুদ্র হয়
প্রেম একাকী
আমার
ইতিমধ্যে
ভাঁজ খুলে প্রচলিত মাস্তুল
আর ফেরিঘাট
আদবকায়দাসমেত
লোনা জাহাজ
আমারা বীজ বুনি
রোদ্দুরে
আমি নির্বাক
ও তারস্বরে
কিছু মৌলিক
বিছানা
পৃথিবীর খোলা
মুখে নিবিড় পায়চারি
সময় ফতুর হলে
বা ঝুলন্ত রক্তে
টুকরো বা
টুকরো ও টুকরো
অবশেষে টুকরো
টুকরো করে নিলাম
বাতাসের
ক্রমবর্ধমান ঋণ
আমারা বীজ
বুনি রোদ্দুরে
মেয়েটি অপেক্ষা করে
অতঃপর
সন্ধ্যা হয়
অন্তত শেষ
মুহূর্তে। গভীর ঘুমে
সে আসতে পারে
বা বৃষ্টি
জড়িয়ে।
রূপান্তরিত। বা গড়িয়ে
বা থালার মতো
মিশে বা
জ্বলে উঠে
কিছু মনের
ভিতর। কিছু নীল পোশাকে
এইভাবে।
এমনভাবে। ঠিক এমনকরেই
মেয়েটি
অপেক্ষা করে
শব্দগুলো অ্যাত্তোই
ইস্পস্টো
হাতগুনতি। যে
যার মতো
ছেলেমেয়ে। মেয়েছেলে
এবং একটি
ছদ্মনাম
ভেতরটা দেখে
নিতে পারো
পিলপিল। ঠাসা
তারাও কিন্তু
যথেষ্ট নান্দনিক
কিছু
চিত্রশিল্প
রক্তে টেনে
নিলে নিঃসঙ্গ তথ্যভান্ডার
যাক্গে, আমি চইল্লাম
হেঁচড়ে।
ঝুঁকে। পা টেনে
ঠোঁটে তর্জনী
ঘইষে
শব্দগুলো
অ্যাত্তোই ইস্পস্টো