শংকর
ব্রহ্ম
বিশ্বকবিতা দিবসে
জানি না কবে
যে কবিতা
বুকের ভিতরে, ফুল হয় সব ফুটবে
কবে যে কবিতা
বুলেটের মতো
সময়ের আগে ছুটবে?
কবিতা যে আজ
হাঁপানি টানে ধুঁকছে
শিকারী কুকুর
চারপাশে তার
রক্তের ঘ্রাণ শুঁকছে |
আজ সব যারা কবির রক্ত চুষছে
সেই ক্রোধে
বুঝি কবিতাও আজ
রাগে, প্রতিবাদে
ফুঁসছে।
এইসব
দুরাচারীদের রাখতে পারবে বশে
কবিতা কি আজ বিশ্বকবিতা দিবসে?
এখন আর কোন কথা নয়
আমিই
শহীদবেদীর পাশে
পুঁতে রেখে এসেছিলাম
মিছিল শেষের
রঙিন পতাকা,
তারপর ফিরে
গিয়ে আর খুঁজে পাইনি তা।
এখন ক্ষিদে
আর ক্লান্তি
সব কিছুর সার কথা যেন,
এখন আর কোন কথা নয়।
এখন সমস্ত
কথারা
জমে জমে নিরেট পাথর,
কেবল বরফ
যেন।
আমদের মধ্যে
কে যে
সেই পতাকা
গোপনে বয়ে বেড়াচ্ছে,
এখন আর কোন কথা নয়
সমস্ত সময়
জুড়ে,পল-অনুপল
কেবল বরফ ভেঙে জল।
জীবন কেন যে ছোটো?
কেন যে এসেছি
আর কেনই বা যাব
এর কোন উত্তর
আছে কিনা ভাব,
যেতে হবে
সকলকে আগে আর পরে
সেই নিয়ে
ভাবনাটা বোকারাই করে।
এসেছি যখন এই
পৃথিবীর বুকে
তাকে ছেড়ে
যেতে হবে সুখে আর দুখে,
শুরু আছে শেষ
নেই এমন কি হয়
তবে আর মরণকে
পাও কেন ভয়?
আসিনি তো
সেচ্ছায় যাওয়াটাও তাই
এই নিয়ে
ভাবনার আর কিছু নাই,
কষ্টের
দিনগুলো ফুরালেই তবে
নিশ্চিত জেনে
রাখ তুমি চলে যাবে।
তাই কাজে
ডু্বে থাকি সময়ের সাথে
জীবন কেন যে
ছোটো পড়ি ভাবনাতে।
দুটি রচনা
(পরিপূরক
একটিই কবিতা )
এক :::::
শ্রেষ্ঠ দান
´´´´´´´´´´´´´
একজন
ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে তুলে দাও
একগুচ্ছ লাল গোলাপ
আর তার
প্রেমিকার হাতে
এক আঁটি লালশাক,
তারপর উচ্চ
কন্ঠে বল
এটাই হল পৃথিবীর শ্রেষ্ট দান।
কেউ প্রতিবাদ
করলে,
তার গলা টিপে
ধর।
দুই :::::
অধিকার
যে কোন রমনীকে খুশি মতো ধর্ষণ কর
তারপর প্রচার করে দাও
মেয়েটা আসলে
কুলটা ছিল,
যেন তাতে তোমার
ধর্ষণের
অধিকার জন্মে গেছে,
সব দোষ
মাফ।
স্বাধীনতা
আমরা কেউ
কোন অভিযোগ
করতে পারি না
কেন না,
আমরা কেউই এর
বাইরে নয়
তবু আমরা
বিস্মৃত হই না,
যে আমরা
ক্ষুধার্ত।
ঘাস বেড়েওঠে
দিন দিন,
জাতীয় উৎপাদন
কেউ আমরা গরু
ছাগল নই,
কে বোঝাবে কাকে?
তবু স্মৃতি
বেড়ে ওঠে
এবং বাড়ে ইতিহাস।
রাস্তগুলি
সবই বন্ধক
চুক্তির ধার বাড়ছে ক্রমশ
অথচ কোন বিপদ
সংকেত নেই
যে যেমন খুশি হাসছে।
এখন শূন্যতা
শুধু ধু ধু মাঠে,
আমরা
কোন অভিযোগ
করতে পারি না
কারণ আমরা
সত্তর বছর আগেই
পেয়েছি স্বাধীনতা।