বিশ্বজিৎ
দেব
আলেকজান্দ্রিয়া
একথা জানতেন
না রাজগুরু অ্যরিস্টটল
শেষঅব্দি
ইঁদুরেই খেয়ে যাবে তন্তুময় প্রাণ
পালিয়ে যাবার
আগে
এই কথা
জেনেছিলো ব্যর্থ সহিস,
ভ্রুকুটিতে
ভয়
জেনেছিলো
সংক্রামিত শিবিরের হাওয়া
কালান্তক
রনলেখা নীল নদী বয়..
মনসামঙ্গল
নদীর সাথে
তোমার দেখা
তোমার সাথে
আমার
কথার পিঠে
কথার পাহাড়
কথার
যৌথখামার...
এ ভাবেই
গ্রাম্য কথারা থাকে
মুখ বুজেঁ, ইটসলিং এর ভাঁজে
লুকোনো
সম্পর্কের মতো
কলোনির
মেয়েটির বুকে
কোলে করে
সে-ই কুড়িয়ে এনেছে ছেলে
বিনিময়ে
মিশিয়েছে মাটি
মাটির মানে
ছাঁচ,তীরের গায়ে
তীর জুড়েছে
একশো দিনের কাজ
এ নিয়েই
গ্রাম্য কথারা থাকে
তোমার আমার, যেরকম
গায়ে লেগে
থাকে সর্পবাসনা
ভয়ে ভয়ে
গোটা শ্রাবনের মাস!
নবপত্রিকা
নতুন করে
কান্না লেখো নতুন করে নদী
নতুন করে
জন্ম লেখো নতুন করে হৃদি
অভিমান তার
রয়ে গেছে যায় একা
শ্যাওলা
জড়ানো তন্তুর পোকা
মরে গিয়ে
যায় উড়ে তার পায়
যন্ত্রণা যতো
বোকা
আমি তো
তোমারই আকাশ
জানালায়
দেখা অজানার রেখা
থেমে গেছে
এসে বন্দর একা
বাতিঘর ঘীরে
রাত নামে যার
অবয়ব ঘীরে সঙ, ঈশানের কোনে
লিখে যায়
রেখে বিদ্যুৎ তার বাঁকা.....
নুতনু করে
সাগর লেখো
নতুন করে
নোনা
নতুন করে অতল
লেখো
নতুন করে
চেনা
মুর্শিদি
খাঁচার ধারনা
ফেলে যারা উড়ে যায়
তারা পাখিদের
মতো নির্মোহ, নিরুপায়
কাঠের
আদলগুলি শুধু ঝুলে থাকে
বারান্দার
নৈঋতে
যতিচিন্হ
অবধি অসফল বাক্যবন্ধগুলিও
থেকে যায়
এভাবেই, পাখি থেকে যায়
থেকে যায় পাখি
থেকে মোহ,হরিনাম
দানাপানি
খেয়ে লালন ফকিরের গান হয়ে
তারা আবার
ফিরে আসে খাঁচার ভেতর!
রুটি
বিপুল আগুন
আর প্রক্রিয়াকরনের
আঁচ থেকে
দুরে ব্র্যান্ডেড রুটি গুলি
বাজারে বিকায়,বাচিক পাখিটি এসে
মগডালে বসে,গান গায়
ময়দাঠাসা
বেকারীর চিমনির উদাসীন
মুখগুলি
সন্ধ্যায় তারাদের দলে
মিশে যায়
সারাদিন উদগত
ধোঁয়া আর
নিকষ কার্বন
শেষে নীহারিকাদের
ঝলমলে নামে
রুটিগুলি
বাজারে
বিকায়!