বৈশাখি
চ্যাটার্জী
অব্যয়
একটু আলো চাই
সেই মৃত্যুর।
অনেক দিন ধরে
বন্দী কালো
কফিনে একটা মৃত্যুর।
একটু আলো চাই
সেই মৃত্যুর অন্ধকারে
কেমন কুঁকড়ে
মরে তার ভয় গুলো।
পচা গলা
সারসংক্ষেপ থেকেও
বেরিয়ে আসে
একটা ভয়।
জীবন্ত একটা
ভয়।
নিঃশ্বাস জমে
যায়
কিছু ভয়
মৃত্যুর মধ্যেও
হৃৎস্পন্দন
বাড়িয়ে চলে।
অনেক দিন ধরে
বন্দী একটা মৃত্যু।
একটু আলো চাই
সেই মৃত্যুর।
খবর নেই কোন
অনেক দিন কোন
খবর নেই
চোরাকুঠুরিতে
বন্ধ আছে যে সভ্যতার আলো।
কোন খবর নেই
সেই আলোর বিন্দুর।
খবর পাইনা
জংধরা জানালা থেকে দেখতে পাওয়া
খোলা
আকাশটুকুর নীলচে রঙের।
কিছু জীবন্ত
জমা ব্যথা কবরের মধ্যে বন্দী
অনেক দিন খবর
নেই কোন কঙ্কালের –
হৃৎপিন্ড
কিভাবে ধুকপুক করেছিল
সেই সব মৃত
সারসংক্ষেপ কাহিনীর।
তবু খবর আসে
রোজ
কিছু না আসা
খবর খবরের সাথে
রোজ ভাসে আর
রোজ কিছু
অনেক দিন ধরে
হারানো খবর গুলো ---!
কোন খবর নেই
তার ॥
রাত নেমে এলে
রাত নেমে এলে
অন্ধকারে যে
আলো হারায় ,
সে আলোর বুকে
স্বপ্ন বোনা আশা
বাস করে ফিরে
আসার।
রাত নেমে এলে
একবুক
ভালোবাসা অন্ধকারে
নিঃশ্বাস
নিতে শুরু করে
একটা বুক চায়
মাথা পাতার।
রাত নামলে
অগনিত নক্ষত্র
জেগে ওঠে
মিটমিট করে হাসে ,
রাতও ভালবাসে,
অন্ধকারের
বুকে জমে থাকে কিছু কথা।
হয়তো বোবা
কথা বা হয়তো ভাষা আছে।
দিনের আলোয়
তারা লুকিয়ে থাকে।
শুধু রাত
নেমে এলে
কিছু স্বপ্ন
দিনের আলোর মতো ভাসে ॥
অনুভব
একটা অনুভূতি
দিয়ে গেছো তুমি।
সেই অনুভূতি
চলার পথে
রোজ দুদন্ড
থামিয়ে দেয় আমাকে,
ভালোবাসার
কিছু নিঃশ্বাস উড়ে আসে দূর থেকে ,
তার অনুভব
মাখি গায়ে।
কিছু উষ্ণ
স্রোত বয়ে যায় আমার শিরদাঁড়ায়।
তারপর আবার
চলতে থাকে পথ।
চলতে থাকে
বিরহী অনুভব ॥
একটা চিৎকার
মাঝে মাঝে
ভীষন রেগে যেতে মন চায়।
একটা বুকফাটা
চিৎকার করব ভেবেছি
যদি তোমারা
শুনতে পাও।
জানি লাভ নেই
কোন
অর্ধেক
শতাব্দী ধরে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে
গলা ফাটিয়ে
মরেছি কেউ শুনতে পাইনি।
হয়তো আগত
শতাব্দীরা শুনবে বা শুনতে পাবে।
হয়তো চাইবে
শুনতে।
তারা একটা
বুক ফাটা চিৎকারের জীবাস্ম
নিয়ে রিসার্চ
করবে।
তারপর
কাটাছেঁড়া অদ্ভুত সব কাহিনী লিখে দেবে।
কিন্তু
কাহিনীর অন্তরালে থেকে যাবে সেই বুকফাটা চিৎকার ॥