নাসির
ওয়াদেন
হালখাতার
বৈশাখ
রোদ একতারা
বাজিয়ে বসন্তকে
আহ্বান
করেছিল রঙিন ফাল্গুনে
পলাশ শিমুলের
কিশমিশ রঙ
রূপের নেশা
গড়ে এক নতুন সভ্যতা
একমুঠো
বিশ্বাস হাতের মুঠোয় রাখি
হাঁটুজলে
কিলবিল করে শরমের পোকা
এক্ষুনি
লার্ভা কেটে শুঁয়োপোকা
বৈশাখকে
তীব্রভাবে বরণ করে নতুন
পাতাখসা
রাতের চাঁদনী
একটা রঙিন
প্রজাপতি পাতাঝরা বনে
উড়ে উড়ে নতুনের হালখাতা শোনায়--
বৈশাখী
বৈশাখী
আগুন-ঝরা আকাশের বুকে
সুখের
আলোকসুন্দরী ঝরাল বাতাস
বিটপীলতায়
বিবর্ণপত্রের মর্মরধ্বনি
আগ্নেয়পাখিরা
আজি ফেলিতেছে শ্বাস
পত্রে পত্রে
ছন্দে ছন্দে বিদ্রোহে ঝড়ের নিশান
স্বস্তি
অস্বস্তি বুকে জীবনের নবীন উচ্ছ্বাস
বেহায়া
স্রোতের বুকে মনুষ্যের প্রাণোজার ঢেউ
স্মিতারমনীর
আগুলফ কেশ-- ত্যাগের প্রভাস
ক্ষণজীবনতুল্য
পত্র পতনে আনে নতুনের দিশা
কালবৈশাখী
আনে জীবনজড়ত্বে ছন্দের তৃষা
নিশির বুকে বসন্তের
নীল চাদর
নদী জোৎস্নার
তারা হয়ে ভেসে যায়
মনের সাগরে
কংক্রিটের নৌকারা
অকল্যাণের
পাল তুলে ভাসছে --
জিহাদের
নালায় নষ্ট হচ্ছে শখের গণতন্ত্র
মৌলিক অধিকার, সংবিধান গুলি মারো--
বইয়ের
লিপিগুলো কিলবিল করে উইঢিবিতে
মানবাধিকার
কাঁদে বস্তীআন্দোলনের গলিতে
কৃষকের তরমুজ
ক্ষেতে,শশার ডগায়
মরুভূমি
ভিজছে উটের গ্রন্থির জমাজলে
স্বপ্নের
ছাদে নেমে আসে যাযাবর, বেদুইন
আরব্যকথার
পলেস্তারা
উষ্ণতা
ভালবাসার পারদ উঠানামা করে
নিশির বুকে
বসন্তের নীল চাদর
অমাবস্যা
কিছুদিন নীরবে থাকুক
পূর্ণিমার
শিয়রে জাগে নববর্ষ
দুপুরের কপালে রোদের
চুমু লেগে
একজন কবিকে
পাঠালাম নরকের দ্বারে
নরক
যন্ত্রণার তীব্রতা মেপে দেখতে
সে ফিরে এলো
না --
আর একজন
গিয়েছে স্বর্গের বাগান
সুমিষ্ট ফল
আর অমৃতের স্বাদ ল্যাকটোমিটার
নিয়ে মেপে
মেপে ক্লান্ত
ফিরতেই চাইল
না আর
রোদকে দূত
করে পাঠিয়েছিলাম ঈশ্বরের কাছে
অস্থির ঈশ্বর
রেগে লাল
রোদকেই বন্দি
করে রাখল নরকের আগুনে
স্নিগ্ধতা
ছুঁয়ে গেল শরীর
যুবতী হাওয়া
সৌহার্দ্যের সহবাসে আপ্লুত
বিদ্যুত কপাল
পুড়ল বৈশাখের
ঝড় দুপুরের
কপালে রোদের চুমু দিতেই
ধ্বংসস্তূপের
ভেতর শুনতে পেলাম জীবন-শব্দ
সৃষ্টিকথা
চাষের
উদ্দেশ্য একখণ্ড আকাশ কিনেছি
নাভির নীচে
এক বিঘত দূরে
আনাড়ি হল্লার
বুকে অতৃপ্তির হালচালনা
নতুন ফসলের
গন্ধ গানের সুরে সুরে
জীবন রাঙিয়ে
দিলে এক মৌলি চাঁদের সুধা
এক এক
ঝরাপাতা এক এক সৃষ্টিকথা
ঘুমন্ত
চাঁদের বাটি উলটে চাষি অনবরত ভিজছে