ঝুমা
মল্লিক
এসো হে বৈশাখ
চৈত্রের
পুরনো যত অসুখ আছে জানান দেয়
বৈশাখ আসছে,আসছে বৈশাখী সুখ ।
আমার মন
বৈশাখের দিন গোনে ।
বৈশাখ আমার
জন্ম মাস।
আমি এই
বৈশাখে এক পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছি।
আমার কবির
জন্ম বৈশাখ মাসেই।
চৈত্রের
দুপুরে মনে বৈশাখী স্বপ্ন জেগে ওঠে ।
পুরাতন যত
শোক তাতে আতরের গন্ধ ছড়ালাম।
পুরাতন চোখের
জলের গভীরতা কাজল দেখে।
নতুন
সূর্যোদয় হোক,হোক নতুন দিনের
সূচনা
নতুন বর্ষের
নতুন পাতায় রচিত হোক রচনা খানি।
আমি কবির
মুখোমুখি চোখে চোখ রেখে
গাইতে পারি ____
এসো হে বৈশাখ
এসো হে ।
আমার রবি
আমাদের জন্ম
মাস এক
সেই কবে থেকে,যখন ছোট ছিলেম তখন
তোমার ছবিতে
মালা দিয়ে প্রনাম জানাতাম
রবি ঠাকুর
তোমার গান ছিল আমার প্রাণ
কিন্তু কখন
গাইনি যে গান
আজ আমি অনেক
বড় হয়েছি
জীবনের অনেক
রবীন্দ্রজয়নতী পেরিয়েছি
২৫শে বৈশাখ
এসেছে অনেক বার
সব বারেই ছিল
তোমায় মালা দেবার পালা
আর মনে ছিল
অনেক ভালো লাগা
এই দিন টি
এলেই মন ভালো হয়ে যায়
আরো ও এক
২৫শে বৈশাখ আসছে
এবার টা একটু
আলাদা সববারের থেকে
তোমায় মালা
দেবো_
আর গাইবো
"হে নূতন দেখা দিক আরবার।
জন্মের প্রথম
শুভখন
রবি ঠাকুর
যানো,
আজ আমি লিখতে
পারি,বলতে পারি
গুনগুন করে
গাইতে ও পারি
প্রনাম নিও
রবিঠাকুর
"আমারে করো জীবনদান।
প্রেরণ করো
অন্তরে তব আহবান
শব্দেরা
মনের শব্দেরা
মুখের বাইরে
বেড়িয়ে আসেনি
কোনোদিন ও।
ইচ্ছে ছিল ____
দিন দিন
শব্দের ভিড় বাড়তে লাগলো।
একদিন
বিক্ষোভ হল
একদিন
বিস্ফোরণ হল
এখন শব্দেরা
মুখ থেকে বেরিয়ে আসে
আক্রমণ করে ।
সময় বুঝে
প্রতিবাদ করে আন্দোলন করে ।
রচনা করে এক
নতুন পৃথিবী
শব্দেরা আজ
হাঁসেকাঁদে
গান গায়
গুনগুনিয়ে
চোখে চোখ
রাখে।
মন মন খোঁজে
জমাট বাঁধেনা
বুকে ।
শব্দের চাষ
হয়
নতুন শব্দ ।
এক টুকরো সুখ খুঁজে
বেড়াই
সেই কবে থেকে
ভাবছি অনেক তো হলো দুঃখযাপন ।
একটু সুখ
খুঁজে দেখি
যদি পাই এক
টুকরো সুখ তবে বেশ হবে শেষমেষ।
সুখ খুঁজতে
বেড়োলাম পথের মাঝে
মেঘের কোলে
দুলে দুলে বললাম
ও ভাই মেঘ
দেবে একটু সুখ?
নদীর ঘাটে
কেঁদে কেঁদে বললাম
ও নদী সুখ
কোথায় জানো?
বন্দী খাঁচায়
ওই যে টিয়ে ওকে বললাম
ও টিয়ে তুই
কি সুখী?
পাহাড়, নদী ,সমুদ্র,মরুভূমি,সবখানে সুখ খুঁজি।
সুখ তুমি
কোথায়?তোমার বাস কোথায়?
কোথায় পাই
তোমায় _____
ঘুরে বেড়াই,খুঁজে বেড়াই।
এক টুকরো সুখ
চাই ,এক টুকরো সুখ ।
হঠাৎ ঝড়
হঠাৎ ঝড়ে
উজাড় হলো পৃথিবীর কতকিছু।
ঝড় নিজেই
জানেনা তার ধর্ম কি?
ভাঙছে,উড়ছে,হারিয়ে যাচ্ছে কত
স্বপ্ন ।
মুহূর্তের
মধ্যে কত নতুন বাসা ভেঙে যাচ্ছে
সাধের
গাছগুলো মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে ।
কত বিশ্বাসী
গাছের মৃত্যু হয়েছে
কত ফলফুল
অবাঞ্ছিত সাধে মাটিতে মিশে
আঙিনা জুড়ে
ধুলোবালি কতশত পাতার বাহার
অনবরত মেঘের
গর্জনে মন কাঁদে।
বৃষ্টির
প্রতিক্ষা,একসময় মনে ও বৃষ্টি
নামে ।
ঝড় একদিন
থেমে যাবে জানি
তবুও ঝড়ের
দাপটে ক্ষয়ক্ষতি দাগ রয়ে যাবে।