শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮

রাহুল প্রামানিক



রাহুল প্রামানিক

অব্যক্ত মন

সুদূরের প্রতিক্ষনে নীরব সুচেতনা নির্লিপ্ত থাকে
ক্লান্ত পাখি ডানা ঝাপটায় অনবরত 
স্বপ্ন পাশ কাটিয়ে যায় ,
বাস্তবতার সম্মুখে দাঁড়িয়ে গাণিতিক ফরমূলা ভুল হয়
মরীচিকা ছড়িয়ে যায়  সর্বত্র ।

আর না পথ বাধা পায়, দূর্বা মাড়িয়ে যায়
দিবা স্বপ্ন বড় মারাত্মক
কিন্তু ক্ষতি কিডিজিটাল দেশ তো
শুধু মোটা ভাত চাই….না না নুন না
শুধু দুধ সাদা ভাত….  





আগুন

বিবর্ণ প্রাচীন দেওয়ালের ফাটল বেয়ে
চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে সভ্যতা ।
আর তারই মৃদু শব্দ কর্ন গহ্বরে দীক্ষার বীজমন্ত্র প্রতিধ্বনি হয়ে
তা পিচ্ছিল ভেল্ভেটে ডিক্বাজি খায় ।

অবাধ্য মনটিকে অন্ধকূপের কুঠুরিতে নির্বাসন দিয়ে ;
বসে আছি শুভ্র বিছানাকে আলিঙ্গন করে ।
লুঙ্গির গিঁট আল্গা করে পেতেছি ফাঁদ পশ্চিমী ঢঙে, এসো
হাজার বছরের খিদে মেটাব আজ;

পেয়ালা ভরা হাঁড়িয়া থরে থরে সাজিয়ে রেখেছি
সুগন্ধি বিছিয়েছি অজানা পরিক্রমনের পথে

এসো ইতিহাসকে গণ্ডূষে পান করব,
পৃথিবীর সাবেকি ছন্দময়তা বড়ই মধুর
শুষ্ক বারুদে আগুন দাও





ইমারত

ভেজা পাতায় বিমুগ্ধ স্বচ্ছ বিন্দু সব
ক্ষনিকের হিরে উবে আকাশ ছোঁয়ায়
তুমিই আমায় বললে, স্বপ্ন গুলো রেখো
থরে থরে সাহারার বুকে ।

আমি দু- পা এগিয়ে তিন পা পিছোয়
মনে বাড়ে অলীক ইমারত, ক্রমে
ক্রমশ যায় না চেনা পাহাড়ী উপত্যকা
বুকের অখিলে হাবুডুবু খাই, আর
ভেজা বাদামী দাগ রাখি
                                  শুভ্র পাতায়

শিরা ও উপশিরার উষ্ণ খরস্রোতে





ঘড়ির কথা 

স্বপ্নগুলো ঝুলতে থাকে,
ঘুরতে থাকে ঘন্টামিনিটসেকেন্ডের কাঁটায়
টিক্টিক্শব্দ করে জেগে থাকে বিন্যাস্ত ভাবে
আমি মোটা ফ্রেমে দেখি বার বার
নিজেকে খুঁজতে বড়ই কষ্ট হয়;
বজ্রের আলোর মতো বেচেঁ আছি
                                        স্বপ্নগুলো ও রয়েছে
ভ্যাবসা অস্বস্থির মধ্যে অস্তিত্ব সংকটে থাকে
মাঝপথে স্তদ্ধ হতে চায় মোরক লড়াই
বাধাগুলো চোখ পাকিয়ে থামাতে চায়
ঘড়ি তবু সচল বেপোরোয়া কৃত্রিম মঞ্চের ওপর
আর
নার্ভ অক্ষর বৃত্ত ছন্দের মৃদু তরঙ্গে
                                          নিবেদিত উদ্ভট্ট নৃত্য
তবু আগুন সন্ধান করি বরফের সাথে

আত্মার খোরাক আবহাওয়ার সাথে বন্ধুত্বের নেশায় মত্ত
খরস্রোতা সময়ের নির্মোহ দাপটে কেউ কি কথা রাখে






তবু আশা

জীবনটাকে অতিবাহিত করা কম কিছু আর্ট নয়
মুহূর্তগুলো এক একটা রিহার্সালের মঞ্চ ।
দিন গুলি দিনান্তে এগিয়ে চলে
ভাষা বন্দী হয়ে থাকে নিঃস্তদ্ধ আঙিনায়

অল্প ভাবনা জমতে থাকে সুদীর্ঘ কাল
ইচ্ছের প্রবাহ হাতের ফাঁক থেকে মুক্ত হয় ,
নির্ভরতাটুকু আত্মবিশ্বাসকে উপেক্ষা করে
নাগাল পাওয়া প্রতিবিম্ব থেকে যায় আজীবন ।