অভিষেক
ঘোষ
সে দিকে পিঁপড়ে যায়
না...
কালবৈশাখীর
বুক ভেদ করে সে বেড়িয়ে এলে,
সান্ধ্য
জলখাবারের ঘরে,সোনার চিনি,মাটিতে
লুটোয়...
তোমায় কুড়িয়ে
আনার আগে,সে কুড়াতে যায়,
লবণনৌকায়,মেঘের ছাল এমনি ধারলো ব্যথাতে
কাটা...
যতভাবে কাটা
যায় কাটি,বিষণ্ণতাবাদ।
যেন চুন পুড়লে,কালো মাংস,রোদে কালো
হয়নি,
যত টা কালো
পিপীলিকার শুঁড়ে,
লেগে খাকে
খাদ।
ঘামজলে যা হয় না
গমের বস্তা
ঠুকরে ঘোলা পায়রার ঠোঁট ভেঙেছে...
সকালছায়া
জেনেছে,আমাদের উঠোনে,শুকনো বীজ
বসে আছে,কাদার তলায়।
অঙ্কুরিত
ঘ্রাণ স্পর্শ করতে হলে,তাকে নিয়ে
যেতে হবে,
অগ্নিস্তোত্রে,
অনির্বাণ
আলোর ফলায়।
যতক্ষণ না
শিকড়ের প্রথম পায়ে হাঁটার শব্দ পাবে মাটি
অনিবার্য
কারণই কেউ নিচে বেড়ে ওঠার গতিবেগ খোঁজে
সমস্তটাই
ক্রন্দনছাপ,
ওই পেয়ারা
পা্তার রান্নাঘরের চাল
তোমার
ফ্যানের ধোঁয়া,বইতে বইতে
যে নদী নালা
উপকূল ফেলে
সমদ্রেই মেশে,
তা
আমার দুচোখ
বোঝে...
পাষাণযাত্রী
বাহকের শক্তি
কমলে,বহনে দূর দেখা যায়,
সমুদ্দুর
দেখা যায় নটার হাওয়ায়,আমাদের
ঘরে।
প্রথম রোদে
বারান্দা আরাম পেয়ে দরজায়
দরজায়,
জলছাপে
সন্ধ্যের কিরণ অবদি
নিজেকেই,
একটু ধরে...
সেই ধরাও
ছেড়ে যায়,পরের দিন এলেই
পুঁথির ধুলো
তুলে চোখ এগিয়ে আসে প্রায়
হাতে যখনই
ঠোঁট রেখে থেতলে দিয়েছ ইট
জানবে তারও
প্রাণ আছে
দুঃখ পেলে
সেও গান গায়।
ও দেখেছে সে বছর
কাঁচা রঙের
জানলায় হাত দিয়ে এগিয়ে গেছে রোদ
কোথাও এসে
পরে নি ছায়া,ছোট হাতের রেখায়,তিল।
অভিশাপ
সর্বস্য ঘুটিয়ে নিয়ে যায়,লুটিয়ে দেওয়া
পথে
পথ মুড়ে
কেঁদেছিলে তুমি,বলেছিলে-এ ঘটানও তবে
বাতিল!
তবে এই ফালা
ফালা বুকের কাছে,এগিয়ে দেওয়া ফল
বাগান ছুটে
বেড়িয়ে যায়,জঙ্গলের একূল,অকূল নিঃস্বে
এ বিশ্বে
জলঘাতাক,স্থলঘাতক বহু হাওয়া ছিল না
তাই জানলা
বন্ধ হওয়ার আগে,হলুদ মাটি,আঁকার
খাতায় মিশেছে
আর বুঝেছে
শিশিরেরও মনে মনে কাতরতায় কেটেছে
অনেক দুপুর
যে বছরে শীত
থেকেছিল,মোটে আড়াই দিন এখানে।
তখন তো শুধুই
বৃষ্টি পরত,
আর জুড়িয়ে আসত গাছ
কাঁচা রঙের
গায়ে,আটকে থাকা
সেই
ছোট রোদের
হাত,
সব জানে।
অতলান্তে তার উপনয়নের
দিনগুলো
এখন আমি আর
দীর্ঘ নই,প্রতি সূক্ষ্ম চোখে ঘুরতে আসা বালি
যখন আমরা
বন্ধ করি চোখ,পদভ্রষ্ট হয়ে গেলে,আগুনের আঁচ কমে
আবারও অনেক
বছর পর,যখন এসে খুঁজব সেই মেরুন বোলডার,
যাতে ক্ষয়ে
গেছে ঢেউ,আমরা দুজন বসেছিলাম বলে,
জোত্যিমুখ,দীর্ঘ পরিশ্রমের ফলে
ফসল এখানে
সাদা হয়ে আকাশের মেঘ কমায় প্রচুর
কাঁকড়ার
বাড়িতে পা দিয়ে আমরা হাতের তালু ও
ঘর্ষণ
শাস্ত্র পড়াই,
যারা নিজেকে
পড়তে শেখেনি,ঝালাই হওয়া মুক্তমালায়,
তাদেরকেই অতি
জীবন থেকে বেছে,
প্রতিবাদগত
নিশ্বাসে জড়াই
তবে এর চেয়ে
বেশি জড়িয়ে গেলে ঢাক ভেঙে যায় কাঠির জোরে,
আমি যতক্ষণ
চুপচাপ শব্দের ভিতর,শান্তি দিয়ে যাবো
ন্যাড়া সাগর,
যেন তার পৈতে
হবে বলেই,সে আটকে আছে চারদিন ঘরে,
উপরন্তু কান
ফুটিয়ে,অনেকের কান্নাই চেপে বসেছে আমার মনের
উপর