শুভাশিস
দাশ
ঈশ্বর ও আমাদের যাপন
আমাদের এই আধ
পোড়া যাপন
এই নিত্য
অভাব এরপর বলো কি করে
ভালো আছো ?
আমাদের
প্রেমগুলো দলা পাকিয়ে
কুয়ো তলার
পাঁকে ঘুরপাক খেতে খেতে
একসময়
নিস্তেজ হয়ে যায় ,
নববর্ষ আসে, আসে নতুনের বৈশাখ
তেমনি ছেঁড়া
সময়ে শুয়ে দিন গুনি l
পোড়া ঘর
শূন্য মাঠ আর হেয়ালি যাপন
হে ঈশ্বর আর
কবে আমাদের ভালো হবে l
সে আসছে
শেষ না করা
চিঠির শব্দ গুলো
কালরাতে
স্বপ্নে বলে গেলো সে আসছে
জেলখানা থেকে
সমস্ত কয়েদি বলে উঠলো
আমাদের সাথে
নিও
সংশোধন হয়েছে
আমাদের বিগত ভুলের
এই সময় কুলি
বস্তির রামেশ্বর জিজ্ঞেস করলো
শান্তিপুর
লোকাল কতো দূরে ?
বুঝি না!
ফুটপাত জুড়ে
পড়ে থাকে ধর্মের লাশ
চারপাশ ঘিরে
থাকে ব্যাভিচারী শকুন
শুদ্ধ হতে
গিয়ে কতো গঙ্গা জল নষ্ট হলো
নষ্ট হলো
ঈদের জন্য রাখা সুগন্ধি আতর
ও গো মানুষ ,তুমি আর কবে আলো
দেখবে ?
এখন বিষন্নতা
অক্টোপাসের মতো চেপে ধরে
কী জানি
আমাদের আরও কী কী দেখতে হবে !
রুদ্র বৈশাখ
তোমার
রুদ্ররূপ তছনছ করে দিলো
আমাদের
সাজানো বাগান
ধরাশায়ী করে
দিলে আমাদের মধ্যবিত্ত সুখ
ক্ষেত জুড়ে
হাহাকার
তুমি কি
বিবেক হীন হে মহাকাল ?
তবে কেন অমৃত
করেছিলে পান
গরল টেনে
হয়েছিলে নীলকণ্ঠ
সৃষ্টি চাই ,প্রলয় নয় ওগো রুদ্র
বৈশাখ ....
নবজীবন গানে
জাগাও আর একবার
আমাদের সব
ভাললাগা গুলো l
রবি -বৈশাখ
চারিদিকে
বাজে শাঁখ
এলো আজ বৈশাখ
নতুন পাতায়
সাজে ধরণীর মুখ ,
কে যেন মনের
দ্বারে
ঘন ঘন কড়া
নাড়ে
আনন্দে ভরে
যায় বুক !
রবি গানে
কবিতায়
প্রাণে মনে
উছলায়
চারদিক বাজে
তাঁর সুর ,
আকাশে মেঘের
ফাঁকে
হাত ছানি
দিয়ে ডাকে
আমাদের প্রিয়
কবি
রবিন ঠাকুর !