ফিরোজ
আখতার
বকধার্মিক সূর্য
সেদিন ছিল
দগ্ধ আকাশ ;
তারা পোড়ার গন্ধ
তীব্র কটু ; স্বাদটা তবু লাগছিল না মন্দ ৷
নক্ষত্রের
ছাই মেখে গায়
ছায়াপথের
ভস্ম গাদায়
উল্কাপ্রপাত
: ঠিক যেন তার ফুলঝুরি প্রচন্ড ।
ব্ল্যাক
হোলের অভিমানে
নিঠুরতার
সময় যানে
বকধার্মিক সূর্য
ছিল নীরবতায় ভণ্ড ৷
ভীষণ রকম
ভন্ড !
তোমার নাভির বৰ্গমূলে
তোমার নাভির
বর্গমূলে ঝড় উঠেছে : ঘূর্ণি ঝড় ৷
পাতালঘরে
বন্দী প্রেমিক : কাঁপছে অধর থরোথর ।
ভালোবাসার
ম্যাপেল পাতায় , হলদেটে তার বুকের
শির-
ঋণাত্মক
চাওয়াগুলো শ্রান্ত ভীষণ; খুঁজে খুঁজে শান্তি
নীড় ৷
দেহের ঢালে, খাঁজে খাঁজে শুধুই শুধুই গভীর বন্যতা-
অনুভূতির
অণুগুলি পণ্য আজি ; নিলাম নদীর মন্দতা ।
কাতলা কালু
কাতলা কালু
প্রেম জোয়ারে
ভাসছে যেন
ভেলাটি,
খিদে-ঘুমের
নেই ঠিকানা
মন দিয়েছে পোনাটি
৷
রূপের খনি মন
ভোলানো
মৃগেল মাছের
কন্যাটি,
লিভ টুগেদার
করবে বলে
ফ্ল্যাট
নিয়েছে একটি ৷
লক্ষ টাকা
গচ্ছা গেছে
হিরের দামী
আংটি,
ধার করেছে
দ্বিগুণ সুদে
ভ্যানিশ
চোখের ঘুমটি ৷
পেটমোটা কুমড়ো
পেটমোটা
কুমড়োটার হঠাৎ করে হয়েছে গোঁসা,
লাউপিসি
বলেছে তাকে,
"তোর নাকি মোটা খোসা " !
কথাটা ঠিকই
পৌছে গেলো এঁচোড় কাকার দুই কানে,
কে যে সেটা
তুললো কানে,
এঁচোড় কাকাই সব জানে !
তাই না নিয়ে
সব্জিক্ষেতে প্রকান্ড এক ধুন্ধুমার -
দু'দলেতে ভাগ হয়েছে সবজিসকল আরেকবার ৷
পাতলা খোসা , মোটা খোসা , লালচে ও
সবজেটে
দল করেছে
পাতলা খোসা ,
লালচে ফল একজোটে ৷
অপরদিকে মোটা
খোসা,
সবজে ফলের দাবড়ানি,
শখের প্রাণটা
যায় যে বুঝি,
ভীষণরকম হানাহানি |
কোথায় ছিল
বুনো ওল,
বাঘা তেঁতুল সাথে নিয়ে -
হইহই করে
আসলো ছুটে,
মারবে বাঁশের লাঠি দিয়ে !
এমন সময় আসলো
চাষি,
কাস্তে বড়ো সঙ্গে তার,
"কোন
ব্যাটারা গন্ড করে, মুন্ডুখানি যাবে কার
?"
চোখ পাকিয়ে
এদিক তাকায়,
ওদিক তাকায় চাষিটি
শেষকালেতে
কুমড়ো ব্যাটার সারলো কাবার কম্মটি ৷
ইচ্ছেস্বপ্ন
আমার ইচ্ছা
বড়ো হয়,
সাগর জলের
সফেন ফেনায় লবণ খানিক হই ।
তোমার
কালোচোখের গভীরতায় জাল পেতে যে রই ।
আমার ইচ্ছা
খানিক হয়,
তোমার খোলা
দেহের আদিমতার প্রিজমটুকু হই ।
মনের আলোর
ভগ্নদশার সাতরঙা রং হই ।
আমার ইচ্ছা
যদি হয়,
তোমার খোলা
পিঠের বক্ররেখায় সাপের শরীর হই ।
বুকের খাঁজের
নিষিদ্ধতায় ফুটতে থাকা ভুট্টাদানার খই ।
তোমার ইচ্ছা
যখন হয়,
আমার ডুবতে
থাকা মনকে আমি তোমার মনে ছুঁই ।
নারী ও
প্রকৃতি : দুইয়ের মাঝে আধডোবা হয়ে রই ।