নাসির
ওয়াদেন
বিরহ মৃত্যুর
আলপনা
১
ঝুপ করে সন্ধ্যা নামলেই
মৃত গৃহস্থালি ভেসে আসে
ফ্যাকাশে মায়াবী রাত
অমলিন বিশ্বাসী চাঁদ
বশীভূত তৃণভূমিতে
কে পাহারা দেবে
এ পোড়া আকাশ
যুবতী বাতাস কবেই গেছে
মরে
☆☆☆
২
অজানা রোদ গায়ে ভীড়
জমালে
এক একটি বৈশাখী বারুদ
পোড়া জ্বরে
হরিণ প্রাণকায়া ঘুমোচ্ছে
---
জোড়াতালি দেওয়া বাতাস
বুনিয়াদী স্নেহ-উত্তাপে
নদী মাংস পোড়ায়--
শ্মশানে শ্মশানে ফোটে
দেহাতি শিশির ফুল
☆☆☆
৩
তুমি চলে যাও, তুমি চলে গেলে
আমার আত্মার খেত
সবুজ রোদ বিছিয়ে
তরমুজ শশায় ভরে ওঠে
নির্মিত ঘৃণা আর ধূসর
নিদ্রা
আমার অবসন্ন বিছানা--
সুচিসিদ্ধ গালাগালি খেয়ে
লুটিয়ে পড়ে বিরহের ছায়ায়
ভাঙাচোরা দিনগুলি ধরে
আনতে পারো হেমন্ত•••
☆☆☆
৪
নিজেকে অসমাপ্ত ছায়া
মাখিয়ে
শেফালি জোৎস্নার ভৌগলিক
বৃত্তে
শবদেহ তুলে রাখছি ---
পাঞ্জাবি বিকেল ডোরাকাটা
রোদ
নিখিল বাতাস, ভাঙাচোরা স্বপ্ন
দেখতে পাবে না মৃত্যু
মৃত্যু কী সরল, কী মহিম বিশ্বাস
জাগতিক উপত্যকার প্রতিটি
ভাঁজে
নীরবতা উপভোগ করে নীরবে
☆☆☆
৫
অনেক মৃত্যুর পর
সংরক্ষিত দেশে
ত্রিভুজাকৃতি প্রেমের
আবির্ভাব
কবোষ্ণ ভালবাসা জোড়াতালি
বাতাসে
সংযমী বিশ্বাসের বড়ই
অভাব
পোড়া নদীর স্নিগ্ধ জলে
বিষাদ ছায়া
অজানা রোদের ভাঙাফুটো
ছাদ
পুরোনো আলোর সমাপ্তির
ফ্যাকাশে মায়া
কায়াহীন শরীরে অমৃতের
স্বাদ
অনেক মৃত্যুর পর এসো
নতুন ছবি আঁকি •••
☆☆☆☆☆