মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭

রাহুল গাঙ্গুলী



রাহুল গাঙ্গুলী

সূত্র : অলীক দূরত্বের সংকেত
-----------------------------------------------
১)
ঘাসের ভিতরে জল বয়ে যায়
নিঃশব্দে গোপন আখ্যান চলে।তারাজু সুতোর খেলা
আয়নায় পোড়া দাগ।পোড়া জল
সুতেলি সুড়ঙ্গে গোপন অজগর।মৌন তারাফুল : নিঃসঙ্গ
অভাব : বড়ো বেশী সুখানুবিক।গা ঘষটানো সময়



২)
মৃত আয়নায় সোহাগি চাদর = হঠকারিতা
এভাবেও বালিদ্বীপ : ০-গামী ভগ্নাংশ অলীক।জেগে ওঠে
ফড়িঙ কুয়াশা : কুয়াশাময় ইঙ্গিতে ঈশান
রাত চাটা অলীক : বালিমাখা শিকড় চিরে আবার
আদুরে কোলাহল।ভীড় : আয়নার মৃত মাটির বিলাস



৩)
কুয়াশাকণা বয়ে যায়।দূরবীন শরীর
আলোকবর্ষের ? পার : কফোঁটা জল নিতে পারো
জলীয়বাষ্প।পরিচয় না থাকলেও পরিচিত
২মুখ খোলা কংক্রিট নল।হাওয়াঘরের সুখী অসুখ
অসুখে কোনো দ্রাব্য দাহ্যতা নেই।শুধুই আলেয়া



৪)
মিথোজীবীতার চাহিদা।শরীরে জানান এটুকুই
হলুদ সোনা গলে।তাজমহল ভেদে বুনোঅভ্র ঢেউ
মিশে যাচ্ছে : গাঢ় ও সম্পর্কিত
নিশানায় সময়।সৌর প্রতিফলন : কালো বুটের ঈশ্বর
শরীর অভাবে অশরীরী হাসে।খসছে তামাম যৌতুক



৫)
ঢেউগুলো : যেন আকাবাকা সর্পিল শরীর
ঢেউ।অমোঘ কাটাকুটি।ঘুড়ির ভেলায় থাকা ছবি
ঢেউজাতো ওঠানামা।ফ্রেমহীন প্রমুখ নিঃশ্বাস
দ্বীপ জাগা রাত।শিকড় অন্তঃমিল।শাদাকালো ঢেউ
শরীরে কেনো পিচ্ছিলতা।ফেনা ভাঙা ঢেউ।ঢেউ কাটে



শব্দরূপ : রাহুল

(একটি তানকা ফর্মেশনের কবিতা, একটু অন্যভাবে ২০১৭তে দাঁড়িয়ে)