বৈদূর্য্য
সরকার
জীবন মানে অনন্ত বিরহ
স্মৃতির বদল
আগে যে মেয়েটাকে কাজল
মনে হত
কার্তিক বিকেলে সে
নিতান্ত কেজো,
আমি কিশোর থেকে রফিবেলায়
এসে
বুঝতে পেরে গেছি জীবনে ক’ঘন্টা ।
হেমন্ত এসেছে – হেবি স্মার্টনেসে
পাখিরা উড়ে যায়, সৌরভ ফটো তোলে ।
মুগ্ধ করে দেওয়া
ব্যাগপাই দলের
ব্যান্ডমাষ্টার এখন ফল
বেচে ।
কৈশোর স্বপ্ন নাটক
বন্ধুতা
লিটলম্যাগেরা ...
হারিয়েছিল বলেই
কোনও স্বীকৃতি না পাওয়া
লোকেরা
অযথা বিনয় না, রাগ দেখাতে চায় ।
পুরনো সে কবিতা সুরেলা
হাসি ছাড়া
ব্যাঙ্ক ব্যালান্স নিয়ে
ভাবতে হয়,
মিসফিট সংসারে ঢুকে পড়েছি
বলে
সমন্বয় রাখি পাখা খোলা
বন্ধে ।
পতন
দুই বিনুনি তরুণী
শিরশিরে সারাহায় ডাকেনি কোথাও
গঙ্গা এসে বাঁক নিলে
অতীত প্রেমিকা বলেছিল,
প্রকৃত বিশুদ্ধ বলে যদি
কিছু – তা হল অবিকৃত অতীত !
অতীতের আকর্ষণ কমে আসে ব’লে মানুষ নিজের মতো
পৃথিবীর আকার যেমন নিজের
মতো হয়েছে ।
জীবন মানে যে শুধু
ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকা
রবীন্দ্রসঙ্গীত নয়, প্রেমে যে প্রবল আঁচড়কামড়
তা জানতাম না বলে বুঝতে
পারিনি...
তোমার নখে কি ছিল, ম্যানিকিওর নাকি ম্যাজিক !
ভুলতে পারিনি কৈশোরের
সেই অবোধ ছবিটা,
চোখের সামনে দিয়ে-
পথ চাওয়ার সে আনন্দে
আমরা যেতে চেয়েছিলাম
চিরযৌবনেরর দেশে ।
কোথাও বিশেষ সুবিধা না
করতে পেরে শেষে
এসে পড়লাম বসন্ত পেরিয়ে
বৈশাখের কামনায়।
বিশ্বাস
হেমন্ত আসছে বলে সব ভোলা
যায় - নিজেকেও
বাতাসের শিরশির মাখি
খোলা জানলায়,
জীবন সাজানো মানে অন্য
কিছু নয়
নিজের ছবিটা ভাল ফ্রেমে
বাঁধিয়ে রাখার ব্যবস্থা ।
অচেনা শহরে যেমন রিক্সা
ভ্রমণ
বহুদিন আগে থেকে ঠিক হয়ে
আছে,
এসময় ঠিক এভাবেই নিজের কাছে নিজেকে
জোর করে বারবার বলি –সব ঠিক হয়ে যাবে ।
আগে যেখানে ছিলাম নির্জন
প্রান্তরে
ফিরে যেতে হবে যদিও পথ
অজানা,
ব্যক্তিগত উত্তেজনা
-কিসের মেমরি মনে নেই
পাকদণ্ডি বেয়ে জীবন
ড্রিবল করে যুব বিশ্বকাপ ।
সামান্য
সাধনে যেমন ঘটে
এ সামান্য উপহারে ভরে
থাকে মন,
সিগন্যাল না পাওয়া
সুপারফাস্টের পাশ দিয়ে কখনও
বয়ে যায় লোকাল জীবন ।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে এলে
বিএসেনএল নাম ফিরে আসে
বুকের মধ্যে যেমন জমে
থাকে কবিতার ঘাম,
আমরা যে সবাই আসলে
বিভ্রান্ত বলে ভেবেছি
আমাদের সবার শরীর ভাড়া
নেয় পদাবলী ।
আসলে কিছুই নয় শুধুমাত্র
ধূধূ - ধ্বংসকে সামনে নিয়ে
বসে আছে যারা চোখে
ভবিষ্যৎ মেখে,
দারিদ্র দেখাতে নেই যে
কারণে ঠিক তেমনই
বিষণ্ণতা ঢাকি ঝকঝকে
প্রোফাইল পিকচারে ।
সন্ধিপ্রস্তাব
একটা সকাল বিকেল গিললে
সন্ধেবেলা হাই ওঠে
কোথাকার সব অসংলগ্ন কথা
আলো মরে এলে, রঙ মাখানো ব্যস্ততা
ঘাই মেরে যায় মাথার ভেতর
।
জীবন আসলে এক পর্যাবৃত্ত
গতি
ডাকনামে চোরাবালি কোথায়
ডুবেছি,
নিম্নচাপে ভাসতে থাকা
শহরে রাতে ফিরে আসি
সকালের রোদে লেখা থাকে
স্বাগতম ।
‘সো হোয়াট’ বলে ভুলে যাচ্ছ এ সৌজন্য বিনিময়
কতটা কাছের ছিলে ভেবে
দেখা আশ্চর্য অতীত,
কতদূর যেতে হবে কার কাছে
ঠাঁই
ব্যর্থ মানুষের অহংকার
ছাড়া কি বা থাকে !