মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭

সৌম্যকান্তি চক্রবর্তী



সৌম্যকান্তি চক্রবর্তী

হাতছানি

চারিদিকে নানা নিষেধ,
নিয়ন্ত্রণের নানা কৌশল
গণতন্ত্রের সহাস্য পরিহাস,
ভোরের পাখিরাও ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে,
শুধু বুদ্ধিমানের প্রতিপালন হবে বটবৃক্ষের নীচে,
কিছু অবলা প্রাণীর ডাকতে মানা,
সিংহের রাজত্বে বাঘেরা সংখ্যালঘুত্বের আওতায়
জিরাফের উঁচু গলায় শুধু সুউচ্চ বৃক্ষের পাতা খাওয়ার হাতছানি ...
===============================






চিনির মত মিষ্টি

ওগো সুন্দরী তোমার চেয়ে থাকা,
চশমার ফাঁকে মোবাইলে চোখ রাখা
বাইরে গোধূলি সূর্য কিরণ ছড়ায়,
ভিতরের আলো তোমার রূপের ছটায়
কি যে অনুপম তোমার দারুণ দৃষ্টি,
মুখমণ্ডলে বিধাতার সে কি কৃষ্টি
তণ্বী তনয়া হাসিটাও কি যে সুন্দর
মনে হয় ওটা চিনির মতই মিষ্টি
======================





চোখের ভঙ্গি

চোখে তোমার নিত্যনতুন ভঙ্গি,
মনকে কেমনে ঘুড়ি বানিয়ে
করলে প্রেমের জঙ্গি?

এসেছে এমন রাত সৌভাগ্যবান,
ভালোবাসে সবে যাকে দূর থেকে
সে যে নিকটেই বিদ্যমান
কত কথা আছে তোমাকে বলার
কত প্রশ্ন জমে আছে
স্বপ্নে যে কথা প্রত্যহ বলি,
বাস্তবে মুখে থেমে গেছে

সম্মোহনই করল তোমার আলোকিত কায়া,
চাঁদও তোমার ঐ আলোরই হালকা কোনো ছায়া
তোমার দৃষ্টি করল সৃষ্টি হৃদয়ে নতুন ঝঞ্ঝা,
এখন সেই ঝড়েতেই নাও ভিরিয়ে পূরবে মনোবাঞ্ছা
======================




নানান দুঃখ

পৃথিবীতে আমার তোমার
দুঃখ আছে হাজার হাজার,
ভালোবাসার দুঃখে তবু
কাঁদে শহর কাঁদে বাজার
কষ্টে আছে অনেক লোকে
বেঁচে আছে দুঃখ শোকে,
ভালোবেসে দুঃখ পেলে;
চোখ ভেসে যায় চোখের জলে
চাঁদের নাগাল পায় না সবাই,
দীপের আলোয় ঘর ভরে যায়
======================





তোমার মুখ

তোমার মুখের দিকে তাকিয়েছিলাম
যখন আমার সঙ্গে কথা বলছিলে,
প্রতিটা কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে
এক অদ্ভুত ভালোলাগা ছড়িয়ে পড়ছিল
আমার মনের পরতে পরতে,
তুমি যে কি বলছিলে সেদিকে মন ছিল না,
তোমার চোখ বড় বড় করা,
তোমার ভুরু কোচকানো,
তোমার হাত নেড়ে বোঝানো,
এইসব খুঁটিয়ে দেখছিলাম;
সত্যি বলতে কি যখন হাসছিলে
তখনই এক মোহময়ীকে দেখছিলাম,
তারপর যখন জিজ্ঞেস করলে আমাকে
আমি বোকার হাসি হাসলাম,
তখনো তোমার রাগী মুখটা দেখার মতই ছিল!