অরুণকুমার
দাস
বহুদিন
পরে-----
বহুদিন পরে একদিন
তার জ্যোৎস্না এসে পড়ে
ধীর-নিরুদ্দেশে --
চিঠিহিন শুধু ছবি,তার,
আয়নায় ঘোরাফেরা করে
রোদের ততটা আলো নেই
যতখানি ইচ্ছে
পোড়ায়-অস্ফুট সঞ্চয়
এবেলা ঘোড়ার অন্ধনয়নে
কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ
সুগভীর জলে নেমেযাওয়া
চাঁদ মুখ, গোপনে গোপন মেলামেশা
বৃক্ষের বধির সংলাপ
দেবদারুর পার্বত্য জীবণ
ক্যালেন্ডার ঘুরে ঘুরে
আসে, আসেনা ভালোবাসা -----
পলায়ন!
একবার তোমার ছবির সামনে
একটা গোলাপ রেখে একলা
হতে চেয়েছি
পিঠের পাহাড়টা দুলে উঠলো
বনপলাশীর মাঠ অন্ধকার
করে
নির্জনের চেরাজিহবায় কৃত্তিম
রোদ
বিভক্ত হতে হতে হলুদ
তৈ্যস
নদীর শৈশব কৈশোর মুছে
গেলে প্রতিদিন
ফাঁকা কফিনের দিকে
ঝুকেযাচ্ছি আমি
বিকল্প!
বুকের ভেতরে চিরুনি
চালাতে থাকি
বিকল্প অক্ষর উঠে এলেই
মুখ দেখে চমকে যাই
একটাই জীবন
কতো বিকল্প থাকে----
শব্দভেদী
পড়ন্ত বেলার সংলাপে চাঁদ
কতো পুরোনো অলিগলি
মনেরাখো
কতো দস্তাবেজ ভাঁজ করে
রাখা আছে
তৃতীয় ড্রয়ারে
কাঙাল আঙুল শুকনো
লিপিস্টিক খোটে
ঝড়ের আগের কুড়ানো আম
আজ শীত আবার যুবতি
তুমি আমি কিশমিশ, রশহীন -- জ্যোৎস্নায়
ধার করা চাঁদের আলোয়
ছাদে এসে বসেছি আবার
পুরোনো চিলেকোঠা সংলাপ; প্রলাপ সব
ব্যাস্ততা নেই
তোমারো
আমারো
কেবল এক বাণ আছে
শব্দভেদী
"যারে মারে বধে তারে----"
মৃত্যু
মৃতের চোখের শয্যায় লেখা
দীর্ঘ কবিতার লাইন
তাকিয়ে থাকি রুপ ও
অলংকারে --
অনবদ্য বলছি না
মহাকাব্যের চরিত্রেরা অনুপস্তিত
ছড়ানো মনিমুক্তোর আড়ালে
রক্তাক্ত অতীত নেই--
একধরনের গোঙানির শেষ
প্রান্তে শুয়েথাকা অর্বাচিন
জলের মতন ডাহুক ডাক-
বুকের অন্তরাত্মায় পাহাড়
ঘুম
নৈশব্দের ঘোড়ার হ্রেষা
ঝিলম পার হয়ে পশ্চিম সূর্যে নত
অট্টহাসির কৈফিয়ত
অপ্রত্যাশিত শিবলিঙ্গ
এই একটি জ্যোৎস্না এখনো জেগে, যার
পোস্টমর্টেম হতে পারে
দীর্ঘ ঘাসের মতন চুল
পদ্মযোনির অনুগল্পের
নায়িকাকে সাজিয়েছে
সাদা পলাশ রঙের মনখারাপ
আর একবার পৃথিবীকে দোলাও
তোমার উপস্তিতি নিরাকার
ব্রক্ষ্মের মতন -----
♥