শীলা বিশ্বাস
আগুন
আমি পুড়ে যাই অলৌকিক আগুনে
আত্মহত্যা নাকি আত্মনিবেদন
তুমি চলে গেলে ......
দেখি পড়ে আছে আমার বিছানায়
আমারই কঙ্কাল
বিরহবাহী
প্রথম পঙক্তির পর দুজনেই লেখে তৃতীয় পঙক্তি
দ্বিতীয় পঙক্তিতে ছিল আমন্ত্রনের কথা
তৃতীয় পঙক্তি তুমুল ভালোবাসার
কেউ কাউকে কোনও আমন্ত্রন জানায়নি
আমন্ত্রনের বুক চিরে যায় নিবের আঁচর
আজও দুজনের ভালবাসায় অন্তরায় এক পঙক্তি
অথচ দুজনেই কি ভীষণ বিরহবাহী
দুজনেই বুকে ধরে অভিমানের পাহাড়
কবিতায় এক পঙক্তি সমান কত দুরত্ব
লিখতে ভুলে গেছেন ভালোবাসার মানচিত্রকর
কিছু ক্ষয়
কাব্যিক মেটাফোরের কোনও ব্যঞ্জনায় ছিলে না
সেদিন
শিখেছিলে আগুন লাগিয়েই বৃষ্টি নামানোর
প্রকরণ
হ্যামলিনের বাঁশি বাজে না আর তবু পিছু হাঁটা
স্পর্শ লেগে থাকা ইস্কিমিক রক্তপ্রবাহ হয়তো
সাবলীল
মায়া ঝরা আকাশে ঊর্ণাজালে পাতা ছিল অযুত
শব্দবন্ধ
ছায়া দীর্ঘ করা গাছের শাখায় কিছু ক্ষয় লেগে
আছে আজও
বন্ধুঋণ
বিষাদ আর শূন্যতা পাশাপাশি সাদা অক্ষর বারান্দায়
বৃষ্টিগন্ধের স্মৃতিভারে মৃত্তিকা তোমারই অনন্ত অপেক্ষায়
এক হাতে ধরেছি তোমার শোক সন্তাপ দগ্ধদিন
আরেক হাতে যাবতীয় জয় উল্লাস আর বন্ধুঋণ
বন্ধ্যামেঘ ভাসে খরার বুকে আনন্দ নেই কোথাও
শুধু বিদ্যুৎ চমকায় তুমি নেই বলে বৃষ্টি উধাও
বাঁশবনের কনসার্টে বেজে যায় বিদ্রুপ ক্যাকফোনি
কথা ছিল বন্ধু ফিরে এসো যেভাবেই
হোক এক্ষনি
মুক্তি
শূন্যতা আর
পূর্ণতার চূড়ান্ত বিন্দুগুলোর মধ্যে যে সরলরৈখিক দূরত্ব তারই মধ্যে কাল্পনিক
অসংখ্য বিন্দু। ধূসর সময়ের বিষাদগ্রস্থ বিন্দু একটা একটা করে তারা খসা সময়
চেয়ে নেয় তার মুক্তির জন্য। মুক্তি চায় পার্থিব কান্নার। অবয়ব খোঁজে শূন্যতার। আঁধার থেকে পূর্ণতার উল্লাসের
কাছকাছি কোনো বিন্দুতে হোঁচট খেয়ে পড়ে দিবাস্বপ্ন । চুরচুর ভাবনাগুলো
মরীচিকাময়। হারানো পথে ফিরে যায় আবার। একটু পরেই শুরু হয় আনন্দিত সময়ের উল্লাস ।
কারণ শূন্যতা আঁকতে চেয়ে জ্বলে গেছে একালের কবি। শুধু ভাস্বর হয়ে আছে
মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তের জল দিয়ে লিখে যাওয়া শব্দ মুক্তি।