আশরাফুল
মোসাদ্দেক
মাঝরাত এবং শেষরাত
নিশ্চুপে আসে ও উপহার দেয়
কোমল অপূর্ব সবুজ সময়
কুচিকুচি করে খায় স্যালাদেরম
তো
পূর্ণদৈর্ঘ্য এক লড়াকু ছায়াছবি
আলোকিত করে যায়–
মাঝরাত
পুনরায় আসে নিঃশব্দে বিজনে
এবং পেশ করে রসপূর্ণ সাইলেজ
আচারের মতো আয়েসে জাবর কাটে
স্মৃতি
সুদীর্ঘ এক গোয়েন্দা চলচ্চিত্র
কুচিকুচি করে যায়—
শেষরাত
বালিকার ছায়ামূর্তি
হেমন্তে মধ্য দুপুরে
কয়েক সেকেণ্ডইঘটে যায় ঘটনা
কেউ নেই ওখানে এখন
ভাসছে দুলছে এক অপচ্ছায়া
ছায়ামূর্তি এক মনোরম বালিকার
কখনো দেখে নি যে বালিকা
কীভাবে বৃতি থেকে ঝরে পড়ে
পাপড়ি
কীভাবে বৃক্ষ থেকে ঝরে পড়ে
পত্রালি
কীভাবে ক্ষয়ে যায় বিরহ
আকাঙ্ক্ষা এবং প্রাপ্তির
ভারসাম্যহীনতায়
সে তা জানো না
মাঝরাতে পাতাগুলো
পূর্ণ করি দীর্ঘশ্বাসের লিপি
কলায়
সিক্ত হয় অবহেলার শিশিরে
ব্যস্তপায়ীরা ত চলে যায় পূর্ব
নগরীতে
সে তা জানে না
বিরহ
বেলাভূমিতে
ঝরে থাকা শূন্য বোতল
স্বপ্ন দেখে ঐ
একাকী খুব একাকী
ফিঙ্গে কালো রাতে শুয়ে থাকি
টিকটিক করে ঘড়ি—
এখন কোথায়তু মি
চিঠি নেই বার্তা নেই
নেই দেখাদেখি কিংবা ফোনালাপ
এখানেই কি মহাকাব্যের ইতি
নক্ষত্রপুষ্পের চিরায়ত মৃত্যু
অন্ধকার তাকে সারি সারি অন্ধকার
শিশুর মতো হেঁটে যায় সময়
একাকী খুব একাকী