লক্ষ্মীকান্ত
মণ্ডল
আর্দ্রতা
লালমোরামে পড়ে আছে
প্রজাপতির ডানা
সুতরাং সমস্ত তৃষ্ণার
অসুখে বাতাস নেই
খালি পায়ের পাতায়
যন্ত্রণার অসহ্য রৌদ্র
চোখের ভুলে হয়ে গেছে
প্রজাপতি শরীর
এমন সময়ে শুনশান
প্রিয়দের বৃষ্টি হয়ে গেছে
মৃত্যু পরিয়ে নিয়ে আমি
আজো সুন্দর,
রবিগান
গরিবি
জলবিন্দুর ফোঁটা ফোঁটা
আলোয় শান্ত পাড়া
তারপর শিরদাঁড়ায় মাটি
নিয়ে ডুববার আগেই
বাঁশঝাড় আর কলাবাগানের
শীতল পুকুর
মাঝে কোন ফাঁক নেই, উনুনের ধোঁয়ায়
মেশে ভাত স্বাদ, আশায় চাষার মত পথ
আধভাঙা সাঁকোর দূরে এই
আমি কালো চাঁদ-
পরাগ
কদমফুলের সংলাপ থেকে
মেঘকে বাদ দিলে
একটা স্কুল গ্রাউন্ড চলে
আসে বরদা গ্রামে
কোন সাজগোজ নেই, সাদা নীল জামা-প্যান্টের
বিষয়গুলি আঁকসি বেঁধে
পাড়তে থাকে পাপড়ি বৃত্ত
টের পাই, আমিও কিছুটা তেমন, বুকের ভেতর বাজে
পুকুরের পরাগ; ছায়াময় প্রতিবিম্ব এবং রোদ্দুর -
পৃথিবী
ছায়ার নিচে সেই লোক, কারো দূরে নয় কারো
কাছেও নয়, তবু স্নিগ্ধ হতে চেয়ে চা-ফোটার শব্দ,
আলাপে ঝিরিঝিরি বি পি এল
আর দাঙ্গার চিত্রকল্পে
বাজ পড়ে, হেলেপড়া বেঞ্চ ছেড়ে ঢুকে যাই ধোঁয়া ঘরে
স্রোত নামে, ছুটোছুটি ব্যঙের আতঙ্কে অস্থির মেঘ
তিনি একা বাইরে, বিদ্যুৎময় ইতিহাস; বটগাছ।
তাপ
নিরুপায় আলপথের ধারে
কয়েকটা স্থির দাগ,
তার পাশে সারি সারি
পিপাসার ফাটল, কখনও
ঘুর্ণি মুখ কখনও
অন্তরার- একঢোঁক জলের আশায়
কাক ঝুলে আছে টিউকলের
মুখে -
ঘাসের মৃত্যুর দিকে
দাঁড়িয়ে ভিড় সাফ করছি গ্রামীণ
পাট খেতের, কিস্তি দিচ্ছি কৃষিঋণের--