মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭

শ্রাবণী সিংহ



শ্রাবণী সিংহ

বিরহ-
******************
১)
হাতের নীলবর্ণ রেখায় কার ছায়া? কার ছায়া?
বুঝিনি তো
চেটো ফুটে বেরিয়েছে আলোর দ্রুম,
জ্যোৎস্নার মিটমিটে অবসর
আগুন জ্বেলে যায় বারান্দায়,
জল-বাহিত খামে ফুটে উঠে
বিরহের কারনামা
না-দেখার মত করে চেয়ে রই।





২)

শহরে যারা শীতরাতের মত একা,
আমি তাদের একজন।
এটুকু বুঝে নিই,
যেটুকু আমার প্রাপ্য
বধ্যভূমির দিকে ছুঁড়ে দিই হাতের গোলাপ,
 শিশিরেও আগুন জ্বলে।
প্রেম বঞ্চনার পাশে সহজ আর্তিও ফেলে গেছে প্রাক্তন
অস্বচ্ছ ফুলদানির কাঁচে বে নী আ স হ ক লা
তাকে ভাবছি,
তার কথা লিখি না






৩)

এড্রোনিল ফেরি করে বিদগ্ধমন,
অবসাদে বাসা বাঁধে হৃদয়
দক্ষিণের সি-বিচের নোনা হাওয়ার ন্যুড শিহরণ
কি করে এড়িয়ে গেলে এলোচুলের বিশেষণ,
আজও বুঝি না।





৪)

বিরহপতনের  ভরভরন্ত কলস  উলটে আছে দাওয়ায়
যারা ফেরেনি ঘর,
তাদের উপর স্থির প্যাগোডার আকাশ।
খইফুলঝরা ঘাসের কাঁটায় হিমশিশির,
পায়ে পায়ে মাড়িয়ে যায় আবাগীর মন।
ওই মেঠোপথই সংসার,
সাজানো ঘর তো চারদেয়ালেরও হয়।





৫)

পশমে বুনে চলেছি স্মৃতিহাঁস,
চোখ আটকে আছে স্বচ্ছ কাঁচ জানলায়
এক ক্যারাভ্যান অন্য শহর পেরোচ্ছে
টি টি চরছে রাতচর,
চাঁদের ম্যানিয়াক আলো বিছানা হাতড়ে কাউকে যেন খুঁজছে
... খুঁজেই চলেছে।
দেহের বাকি অংশ ঘুমিয়ে পড়লে  অনড় জেগে থাকে বিরহী যক্ষকুল।

********************************