অর্ণব
আশিক
এ শহরে তুমি নেই
এ শহরে তুমি নাই
কি করে বুঝাই
এ শহর যন্ত্রণার।
এ শহরে তুমি নাই
কি করে দেখাই
অশ্রুজলে ভাসে এ শহর।
এ শহরে তুমি নাই
কি করে বলি
ভালোবাসা সারারাত কাঁদে
বুকের ভিতর।
এ শহরে তুমি নাই
দু:খ কাঁদে বুকের ভিতর
চুম্বনে ভাসা আমার এ
শহর।
নির্জন দুপুরের কষ্ট
আসো ভুলে যাই ভুলে যাওয়া
সুর
রোজকার পারাপার, কবিতার আঁকাবাঁকা পথ
সেই নির্জন অপরাহ্ন, অধীর অপেক্ষা
তোমার আমার দেখা বাঁশির
দুপুর।
আসো ভুলে যাই হারানো
কর্পূর
কপালের ঘামে আটকে থাকা
চুল
নাকের পাটায় লাগা বুকের
গন্ধ
ছাদ ঘরের তপ্ত দুপুর।
আসো ভুলে যাই ঘামে ভেজা
দিন
কষ্ট মাখা সোহাগি সময়
থর থর কাঁপা দু'জনের শরীর
আলিঙনের সুখে ছিড়েফেলা
ক্ষণ
সোহাগ মাখা তপ্ত দুপুর।
আসো ভুলে যাই হারানো দিন
গ্রীষ্মের নির্জন দুপুর
মাতাল করা বাশির সুর
সব হারায়, হারায় না স্মৃতি
শুধু হাহাকার।
এখন তাপিত বুকে জ্বলে শুধুই
আগুন
বুকের গভীরে উঠে চাঁদ
সন্ধ্যার।
দুপুর
এ দুপুর বাজায় সুর
তুমি নেই, কষ্টগুলি নড়েচড়ে
বুকের ভিতর
বিষণ্ন সময় যায় বয়ে
আকাশের কোনে এক চিলতে
সুখ
কেবলই তোমাকে খোঁজে।
একাকীত্বের কষ্ট
ইদানিং আমাকে একাকীত্বের
রোগে পেয়েছে
সবার মাঝে থেকেও একা
থাকি
একা হই বারবার
দূরে চলে যাই সব থেকে, সবার থেকে,
একা হয়ে যাই।
মাথার ভিতরে একা হই, বোধে একা হই
যন্ত্রণায় একা হই,
হৃদয় শুধু বলে এই
একাকীত্বে তোমাকেই চাই।
তবু আমি কিন্তু তোমারই
আছি, একান্তই তোমার,
শুধু তুমি নাই।
আমার কষ্টগুলি আমাকে একা
করে
আমার স্মৃতিগুলি আমাকে
একা করে
আমার ভালোবাসার ছটফটানি
আমাকে একা করে।
আমার এ একাকীত্ব শুধু
তোমাকেই খোঁজে
নিবিড় করে তোমাকেই
খোঁজে।
এ একাকীত্ব তোমাকে
পাবার।
নিখুঁত দু:খ
সব সুখ বুকে নিয়ে
একটাই নদী থাকে শুয়ে
তুমি সেই নদী।
তুমি সেই এক
মায়া কি পূর্ণিমা
চাঁদ শুধু জানে।
আমার পিপাসা তুমি
নিখুঁত একটি দু:খ।