মন্দিরা
ঘোষ
বর্ষাদিনের পাঁচালী
১
ভিজে রেনকোটের দুরত্বে
চেয়ে থাকা ঘাসফড়িং
বুকের ছলাৎটুকু শুষে নেয়
বৃষ্টিজলের আদর
ইউক্লিডীয় তত্ত্বে ঘামদুপুরে
অপেক্ষা কড়া নাড়ে
দোরগোড়ায়
২
ঘরময় লাল নীল পর্দা
ঝোলানো
এলোমেলো ঝড় বয়ছিল খুব
অন্ধকারে বাতিটা উস্কে
দিয়ে
হাত গুটিয়ে নেওয়া
অসমীচীন
সব বৈধতা পুড়ে গেল
অবলীলায়
৩.
ছায়ারা বাড়িয়ে থাকে হাত
অন্তর্জলে কখনো বাগেশ্রী
কখনো বসন্তবাহার
আভোগে ডুবে থাকা মগ্নতায়
সুরতাল হীন আলোর
বিন্দুটি
ধীরে ধীরে নিভে যায়
অনাদরে
৪
ছাতার দুপাশে
কামিনীকাঞ্চন
বর্ষাপরাগ ঢেলে দিচ্ছে রেনু
রাতের পদ্য লেখে
বৃষ্টিকলম
অবিশ্বাসের আঙ্গুল
পল্লবিত ঘটে
চৌকাঠ সাজায়
শিল্পী হাতে নেয় কুঠার
কালো নির্মেদ ষোড়শী
যৌনতায়
পাথর খোদাই চলে রাতভোর
৫
ভোরের আলোর নরমটুকু
লেগে থাকে হাঁটা পথে
ভেসে থাকায় জোনাকি সুখ
ক্ষিদে আর ঘামে ডুবে
থাকে
শরীরের জরিপ গুলি
না ফেরার টানে তীব্র দহন
চেয়ে থাকা বাদামী
রাত্রিসংলাপে
দিন আহ্নিক শুরু হয়