শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

অনিন্দ ঘোষ


অনিন্দ ঘোষ

বুদবুদনগরে---লিফ্লেটশহরে

এক বালুকাবেলায় আমি দেখেছিনু। ঈশানী নাচের ধুলোপার। ওপার হ্রদের কালঢেউ। জ্বরজ্বর গায়ের সমুদ্র। ভেঙে ফ্যালে ফসফরাসের রেণু। কঙ্কালিীতলায় শুভোদয়। পিলা। পিঙ্গল। ঝমঝম। পবিত্রপাঠ। বাঘনখের মাধবীলতায় লতিয়ে ওঠে জাহাজিয়া নাবিক।

আনন্দাদ্ধেব সাঁতার। সাঁতারুর সুগন্ধী পর্যটন। অপূত। পূত। পর্যটন। যজ্ঞডুমুরের বাসনাময় পদ্মপাতা। গর্ভমুখর জলবন্দনা। বন্ধনমুক্ত করো হে ভ্রাম্যমান কস্তূরী চন্দ্রিকা। শীতঘুম ফাটিয়ে চারুচক্র করো হে খঞ্জনী, আবরণ বর্তিকা।

এখন অবরোহণ কাল। নক্সীদার। অতল খাদ। বেদ বেদান্ত উপহারবৃক্ষ। ফিরে আসা যাক এখন ধ্বনির কাছে, প্রতিধ্বনির কাছে।






ইতরানা সংগঠন ...

রক্ত দৌড়চ্ছে। অশ্রুময়। অশ্রুমোচী যাতনা। আঁচল ভিজে। মদালসা। একশো সেতারে যাতনাবিদ্ধ। ধুম্রনেত্র। কনকাঞ্জলি। গাংশালিখের জোয়ার ঠেলে বেরিয়ে আসা হেমপ্রযুক্তি। রক্তে রন্ধ্রে অনন্ত পর্যটন। মুখোশের ধাতু চিরে পল পল পাণ্ডুলিপি।

ভীত সন্ত্রস্ত। নুনের মহিমা। লবনাক্ত ডুবুরী। যার পর নাই সামুদ্রিক শুশুকের মাতোয়ারা। সিন্ধুকে ভেবেছি বিষ্ণু। নমস্তের জড়োয়া কৃষি। কিশোরী মৃগশিরার গন্ধে বর্ণে বিস্ফারিত একতারা।

বাউলের আহির-রথ। নেমে এলেন যিনি তার এক চোখ রূপার তৈরি। দৃষ্টি যেন সোনার কুঠার।
পরম অর্থে চরম ঈশ্বরের ঠোঁটে আঁকা হোক একটি ব্যর্থচুম্বনের প্রতিশ্রুতি।







লাবণ্য মহামায়া

ঈশ্বরের অঙ্কুর বাড়ে গোকুলে। পায়ে পায়ে লাথিতে প্রণামে। প্রণামী বাক্সে। মন্দির নাকি মহার্ঘ হয় স্বপ্নগাঁথা বুলবুলির প্রব্রজ্যায়। সৃষ্টিরসুধার অপার বিশল্যকরণী।

দেশী প্লাবনের রসে মাতাল ঈশ্বরীর মধু। মহার্ঘ্যতম চুম্বন। চুমুমেশানো হালকা মাতালের দ্রবণ। বিশ্বাসের বাঁশী। আশ্বাসের মোড়ক। পরম অন্নসত্রে আকাশবালির পূর্ণিমা। হে অতল, তোমার গুহাস্বরে, তোমার গেরস্তবেদনায় কতো রঙের পারদবস্ত্র, শরৎঅস্ত্রের মহাপূর্ণিমা, বন্ধনের চূড়ায় অবাক হেসে ওঠা তরণীগম্ভীর  কাকে করি অনাদিরম্ভার তুলি, কার ভুলগুলি ওড়াই পিঞ্জর খুলে
কার অপেক্ষার টিয়াকে পরাই মোজেইকের বেড়ি ভেবে পাইনে কূল, ওগো সবুজস্থল, জলপরী।







জয় শ্রীরাম

ছক কাটি। কারিগরের ঘাটে।
মায়ের দুধের মতো, বটের আঠার মতো, সিক্ত ঈশ্বরীর মতো, বন্ধুতা পাতাই মহাদানে। অগ্রদানীর পিরীচে তর্পণের তটরেখা। বালুকার কোমর আঁকড়ে জটিল হয় তেমাথা সিগ্ন্যাল। গন্ধমাদন কিম্বা আলোতোয়া পর্বতের আফিংঠেক।

ঈশ্বরীও কামাতুরা হয়ে ওঠেন।
কুত্তাপ্রবণ মানুষ চেনা অচেনার হিসেব আঁকে। ঈশ্বর ভিজেশ্যাওলা। সবুজ উদোম পরা কিশোরী আর যুবতীদের প্রসাদ সাজায়। অনুপ্রাসের নকুলদানা আর বাতাসায় কেঁপে ওঠা পৃথিবীর কলসভরা পুস্পরেকাবি।