শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

গৌতম কুমার গুপ্ত


গৌতম কুমার গুপ্ত

আরোগ্যের পরে

সিরিঞ্জ থেকে নব আরোগ্য লাফিয়ে পড়লে
বুকের ভেতর  চাঁদ কিরণ দেয়
তুমি কি তার এযাবৎ অদেয় পূর্ণিমা জানো?

আহা,আমার ত্বকে আলোকিত গোপন দেশ
মুখে আরোগ্য কুশলের রচনাবলী প্রিয় পথ্য
বিনিদ্র ভাসে না আর বিছানায়, মৃত্যুও দেখি না

বেছে বেছে অলৌকিক রাখি ঐন্দ্রজালিক
ঔষধে খুঁজি আমার দুরূহ উপশম
পকেটে ঘোরে দিব্য নিভাঁজ প্রত্নজীবী কৌলিন্য

সেই থেকে ভাবতে শিখেছি আপ্লুত উচ্চারণ
কেটে কেটে বলি শাড়ীর ঔজ্জ্বল্য উল্লিখিত বক্ষবন্ধনী
নন্দনে বিনোদন বাতাস এখন প্রবল খেলে যায়







প্রেম

বখে যাচ্ছে ঠোঁট যখন তখন নেশাগ্রস্ত রাঙা মুখ
গন্ধ নিয়ে বিচার করে নাকের নরুন নথভাঙা
তুলনারহিত থাকছে জিভ জিভকোরকের স্বাদ
আমিই প্রধান উপযাজক খিদের, আমার খাদ্যে

হাতেপায়ে ঐরাবত নিজের ভেতর একলা গনেশ
ধূলোকাদার রাস্তা বাদল রিদম কার্তিক ময়ূর নাচ
প্রত্যঙ্গের আচ্ছাদনে থাক গোপন , গোপনই থাক
নিজের ভেতর নাড়া দিই অঙ্গরাগের ইন্দ্ররাজ

প্রাকবসন্তে ওই আড়বাঁশীটি যখন তখন কেষ্টরাধা
কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়ার গোপন আঁতাত নাই যে বাধা
ঠোঁটের ভেতরে রাঙাপান কষ বেয়ে নামছে প্রেম
মজ্জাগত পৌরুষে তার সারগর্ভে নারীর নিকষ হেম







সময়ের স্মৃতি

সময় কখন পেরিয়ে গেলো বন্ধ দরজা দিয়ে
ঢাকা আঢাকা দেখা অদেখা কিছুই ছিল না খেয়াল
দেরাজের ফাঁকে দেখি কলমের মিথ্যে উঁকি
আমার ভেতর কি আগুন গিয়েছে থেমে?

কখনো কি থামে তাই ? আছি দ্যাখো বারোমাস।
ফাইলে কাগজে এখনো আঙুলের ছাপ লেগে
কোথাও যেন পাতায় পাতায় অাপিস গন্ধ পাই
সময় আমার পেরিয়ে গেল অজানার সংকেতে

বন্ধুরা সব ফি-রোজে কাজের ফোয়ারা ছোটে
সমাধান খোঁজে দুই চোখ অজানায় দ্রুত পাড়ি
আঙুলের ফাঁকে গলেছে সময় সৌরশেষের গান
গণকযন্ত্র বসে আছে একা কাছে কেউ নেই তার

চেয়ার টেবিল চেতন অচেতন বিশ্বাসী চারপায়া
স্মৃতির স্মরণে রেখে যাই আজ লেখনী কাগজে মায়া