পিয়াংকী মুখার্জী
শান্তি
ঘরের একটা দেওয়ালজুড়ে
সবজে সবজে ক্যানভাস,
মধ্যরাতে জোনাকি হাতড়ানোর অভ্যাস
যৌনতাকে প্রশ্রয় দেয়,
বুকের খাঁজ নির্দ্বিধায় চিরে ফেলে
কুড়িয়ে পাওয়া ঝিনুকের অসমান ধারগুলো,,
কামোষ্ণতার কবচ খুলে বেরিয়ে আসা দৈত্য
আড়ালে দাঁড়িয়ে...
গ্রীষ্মের দাবদাহের ভর সন্ধ্যায় নিমগাছের নীচে,
বস্তা পেতে বসে সবুজ কয়েকটা পৃষ্ঠা
আবার পূর্ণতার ক্ষেত্রফল হিসাব করে ,
পাশে বসে সুর করে ঠাম্মা পড়ছেন "ঠাকুমার ঝুলি"!!
সৃষ্টি
উনুনে ভাত ফুটছে,
জোরালো শব্দ
ভূমিকম্পের মতো আছড়ে পড়ছে
হাঁড়ির এপাশ-ওপাশে,
এঁটো মোছার ন্যাতাটা
প্রতিক্ষণ পরিশোধন করে নিজেকে,
ওর শিক্ষিকা যে "মা"
সন্তানজন্মে,
আমি এমনই এক দুর্ভাগা,
যে কিনা, মাকে নিয়ে মুক্তগদ্য বানাই,
স্ক্রিপ্ট সাজাই,
কাস্টমার খুঁজি আমার হযবরল লেখনীর!
মায়ের পূজ্যদেবতার আগুনে
অপদার্থের অক্ষরগুলোকে পোড়াই...
সন্তানের মুখাগ্নি সেরে
শুদ্ধ সাদা কাগজে স্বপ্রতিবিম্ব আঁকি...
সৃষ্টিসুখী বৃষ্টির জলে মুখ ধুয়ে আমায় প্রশ্ন করে
অশিক্ষিত শিক্ষা নাকি শিক্ষিত অশিক্ষা,
কোনটা অধিকমাত্রায় বিক্রয়যোগ্য?
সুখ
রঙ্গিন মোড়কে ঝাঁ-চকচকে প্যাকেটে
সুসজ্জিত বিগবাজারের মুদিসদাই,
পাড়ার চেনা কাকুর দোকানেও পাওয়া যায়,
যদিও তথাকথিতরা তাচ্ছিল্য করে বলেন "লুজমাল",
বাংরেজীটা অনুশীলন করতে পারলেই কত্তা,
আপনার পিএইচডি ডিগ্রি টা পাক্কা!
তবু প্রতিনিয়ত বাথটবের বডিওয়াশের ফেনায়
আমি দৃশ্যায়িত কুয়াশা খুঁজি...