দেবযানী কর সিনহা
সময়ের সেবক
ঠোঁট থেকে জরায়ু পর্যন্ত সম্পর্কের
বিচারালয়
সর্বক্ষণ উষ্ণ বাতাস ঘোরে মেদ মৃত্তিকায়
সময় পেরিয়ে যায় আবিল অনাবিল ক্ষুন্নিবৃত্তি
যুগ পার করে অন্য যুগ আনবার মকশ
করা
ঋতু মেনে চলার চেষ্টা করে চকমকি
কিন্তু বিদায়ের আগে ঠোঁট বুক কাঁপে
নাভিমূল বিচ্ছিন্ন করে জীয়ন সুকৃতি
তাগিদ
সঠিক বিচার হল কি, কে দেবে তার সম্মান
বোধগম্য যুক্তিতর্ক বহাল, তারপর
হাতে
উঠে এল প্রণামীর মতো কিছু মীমাংসা.
করলার রেসিপি
বড় কিছু ঘটে যাওয়ার পরে আরো অপেক্ষা?
এইবার ফিরে যেতে হয় ঠিক পন্থায়
জিভ তিতো তবু চোখে ছুটির ঘন্টা বেঁধে
গলাধঃকরণ করবে উপকারী করলার রেসিপি
দেখবে আবার কোনো অতিথি যেন মিষ্টি
না
আনে,ত্যাগ করবে মিষ্টি বুলি,দুটি অস্থির ভ্রু
চতুর বয়েস এলে বোঝা যায় শর্করা আর
নয়
দাঁড়িয়ে থাকার চেয়ে হেঁটে এগিয়ে
যাওয়াতেই
তুমি পোড়াবে মেদাড়ালের বিষাক্ত ক্যালোরি.
ঝোঁক থাকলেই ঝুঁকি কেন
অবগুন্ঠনে থাকলে দম বন্ধ হয়ে আসে
যারা নিন্দুক তারাই ঠিকটা দেখছে,
রেগোনা!
এক হাতে চুমু দিচ্ছে কবিতা, করছে
আদুল
দাঁতে হাড় মাস বিচ্ছিন্ন করাটা এমন
কিছু না
চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিতে গেলে
ওই কপটই
বাঁচাবে আবার কোনো সন্ধেতে জাহাজ
থেকে
মাঝ সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলবে, ফসল তুলতে
চায়
তুমি যখন জলের মানবী, সে ছুঁড়ে দেবে
লাইফ-
জ্যাকেটটি, তুমি হাতড়াবে দুনম্বরি
বস্তু কিন্তু
ডেকে বসে বসে সে গুনবে তারকা! ঠিক
তখন
তোমাকে বাঁচাবে কোনো বদনসিব অনাহুত
যে রমণী তোমাকে হত্যা করবে সে তুমিই-
এটাও অস্বীকার করব না,সৃজনশীলরা
খুনি না
যেদিন তনুভার তুলে নিতে রাজি হবে
একা
সেদিন রাম রাজত্ব করবে অবিসংবাদীরা.