শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

কাজরী বসু


কাজরী বসু

যুদ্ধ

মধ্যিখানে ব্রেক নিও আজ। যুদ্ধটায়।
অনেক যুদ্ধ ঘরেই রইল। বন্দুকও।
চোখ রেখেছে মেয়ের দিকে। জঙ্গিরা।
ছিঁড়ছে খাচ্ছে হাত বাড়াচ্ছে। জঙ্গি নয়?

উগ্রপন্থী আগুন পুষছি। ডোমেস্টিক।
হিংসে রাখছি হিংসে খাচ্ছি। খুঁজছি ব্লেড।
কান্নাগন্ধে উঠলে উঠল রান্নাঘর।
অন্য কি আর ব্যাখ্যা দিচ্ছ সন্ত্রাসের?

হচ্ছি বন্ধু হইনি বন্ধু। জানলে না।
রাগ রেখেছি গুপ্তমন্ত্রে। বাঘনখে।
কোতল করছি বোতল ভরছি। হাসছি খুব।
আমার কাছে অর্থ শিখবে কোন প্রেমের?

গন্ধ আসছে। গন্ধ পাওয়ার প্রশ্নতে
উত্তরে ভুল,দক্ষিণে ভুল। কোনটা ঠিক?
যুদ্ধ হচ্ছে যুদ্ধ চলছে। সবখানে।
পারলে থামাও। বাঁধ দিয়েছ বন্যাতে?







আঁচ

চুল্লির ফাঁকে রাখো সুনিপুণ শীত।
গুঁজে দাও প্রগলভ কাঠ।
আগুনের জ্ঞান নেই ভাবো! হিতাহিত!
বেড়ে যায় একলাফে গতিশীল  জ্বর।
বালাইষাট!
সব জ্বর ছাড়ে, তৎপর!

আমিও পুড়ব ভাবি, গোটা ভুলচুক।
বাষ্পেরা তারই একফাঁকে
ঘোলা করে কেটলির মুখ।

নুন পোঁটলায় নিতি সেঁকা
কিছু কিছু পুড়ে যাওয়া মানে শুধু ছ্যাঁকা।

শীত রাখি সযত্নে উপরের তাকে।
আগুনের আঁচে শুধু অপেক্ষা থাকে।







সিলেবাস

যে খননে বুকের গভীরে
মাটি খুঁড়ি আমি, ছুঁই মূল
তুমি তার স্বরূপ চেনোনি বিলকুল।

খাঁজ কাটা পাথরের গায়ে
ঠেস দিয়ে নির্ভরতায়
দাঁড়ালেই বেপরোয়া ভাবো
ছুঁয়ে যাও ছুতোয়নাতায়..

যে ছোঁয়ারা আছে তবু নেই
সে আগুনে আজন্ম জ্বলো।
আঁচটুকু খোলসের খোলে।
একই আছে। একই আছে সেই।
পাখিদের পাঠ শেষ হলে
তুমি তাকে ব্যভিচার বলো।