ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য
বিষাদ
ধূসরতা
ধীরে ধীরে দ্বিতীয় থেকে ফুটে উঠছে
চোখের কোণে ট্র্যাজিডির টান
মেঘের সিঁড়িতে পা টিপে টিপে
চারমাত্রার পিছল সামলিয়ে
থকথকে গলা সাবানের ডেরিভেটিভ
জামার কলারে চুইনকামে সাঁটা চটেচটে
যন্ত্রনা..
জিভ রাখলাম গান রাখলাম গলা রাখলাম
স্ত্রীরঙের স্বপ্ন ঠোঁটে নিয়ে উড়ে
গেছে বালি হাঁস
সূর্যাস্তের ওপারে
চুপচাপ শুয়ে আছে চাঁদ পদ্মের ছায়ায়
নুলো হাতে শিশু ছবি আঁকে হেলে সাপ
এক নিঃসঙ্গ কোকিল বাঁশিতে অবিরত
ঝড় তোলে কবির কুঁড়েঘরে
ডুবে যাই..
তবু্ও আমি তোমাতেই ডুবে থাকবো...ডুবে
যাবো..
শুধু তোমার ছায়ার পাশে
তোমার রমণের পাশে ছায়া হয়ে অনন্ত দাঁড়িয়ে আছি, যুগ থেকে যুগ
পার হয়ে আলোহীন হিম স্থবিরতা, ঘুমন্ত ইন্দ্রিয়ে আমার ল্যাংটো শৈশব অবহেলিত, তার উপেক্ষায়
নিথর শিবলিঙ্গ চোখ খুলে দ্যাখে গোধুলীর ছড়ানো রঙে ঘরমুখো কাকেরা বর্ণহীন খড়খুটো ঠোঁটে
নিয়ে পুলকিত, জঙ্গলে হাতির দল যে রাস্তা তৈরী করে নদী ও নারীর অবিরত সঙ্গমে শ্রাবনের
ধারার মত রক্তে ভেজা মাটির গালে ঝিলিক মারে দ্রৌপদী রোদ, পা টিপে টিপে কাকেদের ঘুম
টপকে যতটুকু কাদা মাখে ছায়া,তার কামভাব চিরহরিৎ বন, যদি আমায় কেউ পাগল বলে, আনন্দভৈরবী
বাঁধি গাছের বিনুনীতে, পাতার আঁচলে বেঁধে রাখা চাঁদ আমার সব রন্ধ উন্মুক্ত করে সাদা
বক হয়ে
উড়ে যায় ছায়া.....
দুর্বল ছায়াছবি
(জিম মরিশনকে মাথায় রেখে)
শব্দের বৈপরীত্যের মতো
পলাশবনের অন্তর চিরকাল বিদ্বেষপূর্ণ
জমে থাকে ক্ষোভ দুঃখ হিংসা
জমতে জমতে সাহসী হয়
ভাঙে, ফাটে প্রবঞ্চনার আত্মতুষ্টিতে
রুচিহীণ ইঁদুরের বিষ, ঝরা হলুদ পাতা
খসে পড়া ময়ূরের পালক অথবা
সাপের খোলস থেকে চামড়া চাঁচা,
সবই দুর্বল ছায়াছবি।
স্রাবের তরল থেকে বিভাজিত রক্ত
পদার্থের ঐশ্বর্য এবং
শকুনের পানীয়।
মলত্যাগের পূর্বে বেড়ালের মাটি আঁছড়ানো
মনে হয় অসহায় কৃষকের লাঙ্গলের প্রতিবাদ।
তবুও আশাবাদ নামে একটা ফল
কোথায় যেন লুকিয়ে আছে
আস্তাকুঁড় খুঁচিয়ে যে কাগজ উঠে আসে
শিশুর হাতে
তার শাদা পাতায় লেখা হয় আজকের কবিতা
তাই শেষ কবির শেষতম কবিতা একবার
পড়তে চাই।।